জীবনানন্দ দাশ।
এই পাতাটি দ্রুত অপসারণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। প্রদত্ত কারণ হচ্ছে: আগে হতেই বিদ্যমান। আপনি যদি দ্রুত অপসারণের সঙ্গে একমত না হন, তবে দয়া করে এটির আলাপ পাতায় কারণ ব্যাখ্যা করুন। যদি এই পৃষ্ঠাটি স্পষ্টভাবে দ্রুত অপসারণের মানদণ্ড পূরণ না করে, অথবা আপনি এটি ঠিক করতে চান, তবে দয়া করে করে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলুন, তবে খেয়াল করুন আপনার নিজের তৈরি করা পাতা থেকে নিজে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরাবেন না। প্রশাসক, অপসারণের আগে কোনও কিছু এখানে সংযুক্ত কিনা তা ও পাতার ইতিহাস পরীক্ষা করুন। এই পাতাটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন মোহাম্মদ জনি হোসেন (অবদান | লগ) ২১:০৯ ইউটিসি (১ সেকেন্ড আগে) |
১। " ঝাউয়ের কাননে মিঠা মাঠে মটর- ক্ষেতের শেষে
তোতার মতন চকিতে কখন আমি আসিয়াছি ভেসে। " ( আমি কবি, -- সেই কবি -- : ঝরা পালক )
২। " শঙ্খশুভ্র মেঘপুঞ্জে, শুক্লাকাশে, নক্ষত্রের রাতে ;
ভেঙে যায় কীটপ্রায় ধরণীর বিশীর্ণ নির্মোক, তোমার চকিত স্পর্শে, হে অতন্দ্র দূর কল্পলোক! " ( নীলিমা : ঝরা পালক )
৩। " নব নবীনের লাগি
প্রদীপ ধরিয়া আঁধারের বুকে আমরা রয়েছি জাগি। " ( নব নবীনের লাগি : ঝরা পালক )
৪। " গাহি মানবের জয়!
-- কোটি - কোটি বুকে কোটি ভগবান আঁখি মেলে জেগে রয়! " ( নব নবীনের লাগি : ঝরা পালক )
৫। " ধবল কাশের দলে, আশ্বিনের গগনের তলে
তোর তোরে ড়ে কিশোর, মৃগতৃষ্ণা কভু নাহি জ্বলে! " ( কিশোরের প্রতি : ঝরা পালক )
৬ । " যে বিরহ জাগে চরাচরে
গোধূলির অবসানে শ্লোক ম্লান সাঁঝে, " ( কিশোরের প্রতি : ঝরা পালক )
৭। " দরিয়ার তীর ছাড়ি দেখ নাই দাব - মরুভূমি
জ্বলন্ত নিষ্ঠুর ! " ( কিশোরের প্রতি : ঝরা পালক )
৮। " কে যেন রেখেছে সবুজ ঘাসের কোমল গালিচা পাতি! / যত খুন যত খারাবীর ঘোরে পরান আছিল মাতি, / নিমেষে গিয়েছে ভেঙে / স্বপন - আবেশে রেঙে / আঁখি দুটি তার জৌলুস রাঙা হয়ে গেছে রাতারাতি। " ( মরীচিকার পিছে : ঝরা পালক ) ৯। " অদূরে আকাশে মধুমালতীর পাপড়ি পড়িছে ঝরি
নিভিছে দিনের আলো ; " ( জীবন- মরণ দুয়ারে আমার : ঝরা পালক )
১০। " দীর্ঘ দিবস বয়ে গেছে যারা হাসি অশ্রুর বোঝা
চাঁদের আলোকে ভেঙেছে তাদের ' রোজা ' ; " ( জীবন - মরণ দুয়ারে আমার : ঝরা পালক )
১১। " লুটায়ে রয়েছে কোথা সীমান্তে শরৎ ঊষার শ্বাস!
ঘুগু - হরিয়াল - ডাহুক - শালিখ - গ্যাংচিল - বুনোহাঁস " ( বেদিয়া : ঝরা পালক )
১২ । " কোন দূর কুহকের কূল
লক্ষ্য করি ছুটিতেছে নাবিকের হৃদয় - মাস্তুল কে বা তাহা জানে। " ( নাবিক : ঝরা পালক ) ১৩। " বনের চাতক বাঁধল বাসা মেঘের কিনারায়,- মনের চাতক হারিয়ে গেল দূরের দুরাশায়। " ( বনের চাতক - মনের চাতক : ঝরা পালক )
১৪। " চিনিমাখা ছায়ায় ঢাকা চুনীর ঠোঁটের মাঝে
লুকিয়ে আছে সে কোন মধু মৌমাছিদের ভিড়ে। " ( বনের চাতক - মনের চাতক : ঝরা পালক )
১৫। " গাগরীর কোলে তার উথলিয়া ওঠে নাই আমাদের
গাঙিনীর ঢেউ। " ( একদিন খুঁজেছিনু যারে : ঝরা পালক )
১৬। " ছলাময় আকাশের নিচে
লক্ষ প্রেতবধূদের পিছে ছুটিয়া চলিছে তব প্রেম - পিপাসার অগ্নি - অভিসার! " ( আলেয়া : ঝরা পালক )
১৭। " অনন্ত অঙ্গার দিয়া হৃদয়ের পাণ্ডুলিপি গড়ি,
ঊষার বাতাস ভুলি, -- পলাতকা রাত্রির পিছনে যুগ - যুগ ছুটিতেছ কার অন্বেষণে! " ( আলেয়া : ঝরা পালক )
১৮। " বাংলার মাঠ - ঘাটে ফিরেছিনু বেনু হাতে একা,
গঙ্গার তীরে কবে কার সাথে হয়েছিল দেখা। " ( অস্তচাঁদে : ঝরা পালক )
১৯। " বাতাস আজি ঘুমিয়ে আছে
জল - ডাহুকের বুকের কাছে ; " ( ছায়া প্রিয়া : ঝরা পালক )
২০ । " কাঁদছে পাখি পউষনিশির
তেপান্তরের বক্ষে! " ( ছায়া প্রিয়া : ঝরা পালক )
২১। " মোর জানালার পাশে তারে দেখিয়াছি রাতের দুপুরে ---- / তখন শকুন বধূ যেতেছিল শ্মশানের পানে উড়ে - উড়ে। "
( ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল : ঝরা পালক )
২২। " শুক্লা একাদশী রাতে বিধবার বিছানায় যেই জ্যোৎস্না ভাসে / তারই বুকে চুপে - চুপে কবি আসে,--- সুর তার আসে! "
( কবি : ঝরা পালক )
২৩। " জোনাকির মতো সে যে দূরে - দূরে যায় উড়ে উড়ে --- / আপনার মুখ দেখে ফেরে সে যে নদীর মুকুরে! "
( কবি : ঝরা পালক )
২৪ " জ্বলে ওঠে আলেয়ার মতো তার লাল আঁখিখানি।
আঁধারে ভাসায় খেয়া সে কোন পাষাণী! " ( কবি : ঝরা পালক )
২৫। " বৈশাখের বেলাতটে, সমুদ্রের স্বর, ---
অনন্ত, অভঙ্গ, উষ্ণ, আনন্দসুন্দর! " ( সিন্ধু : ঝরা পালক )
২৬। " জয় পুরোহিত আহিতাগ্নিক, -- জয়, -- জয় চিন্ময়! / স্পর্শে তোমার নিশা টুটেছিল, --- উষা উঠেছিল জেগে "
( বিবেকানন্দ : ঝরা পালক )
২৭। " হে প্রেমিক মহাজন,
তোমার পানেতে তাকাইল কোটি দরিদ্র - নারায়ণ ; " ( বিবেকানন্দ : ঝরা পালক )
২৮ । " মহামৈত্রীর বরদ - তীর্থে ---- পুণ্য ভারতপুরে
পূজার ঘন্টা মিশিছে হরষে নামাজের সুরে - সুরে! " ( হিন্দু - মুসলমান : ঝরা পালক )
২৯। " আমার মনের চিতানলে জ্বলে লুটায়ে যেতেছে ছাই!
আমার চোখের অশ্রুপুঞ্জে লভিয়াছে তারা ঠাঁই। " ( নিখিল আমার ভাই : ঝরা পালক )
৩০ । " বরফের মতো চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা! "
( মাঠের গল্প - পেঁচা : ধূসর পাণ্ডুলিপি )
৩১। " নিঃসঙ্গ বুকের গানে
নিশীথের বাতাসের মতো একদিন এসেছিলে, -- দিয়েছিলে এক রাত্রি দিতে পারো যত! " ( সহজ : ধূসর পাণ্ডুলিপি )
৩২। " যে কবি পেয়েছে শুধু যন্ত্রণার বিষ
শুধু জেনেছে বিষাদ, মাটি আর রক্তের কর্কশ স্বাদ, সে বুঝেছে, --- প্রলাপের ঘোরে যে বকেছে, --- সেও যাবে সরে ; একে - একে সবই " ( কয়েকটি লাইন : ধূসর পাণ্ডুলিপি )
৩৩। " তুমিও আমার মতো সমুদ্রের পানে, জানি, রয়েছো তাকায়ে, / ঢেউয়ের হুঁচোট লাগে গায়ে, --- / ঘুম ভেঙে যায় বার বার / তোমার ---- আমার! "
( কয়েকটি লাইন : ধূসর পাণ্ডুলিপি )
৩৪। " তারা ভরা আকাশের তলে,
জীবন সবুজ হয়ে ফলে, শিশিরের শব্দে গান গায় অন্ধকার, --- আবেগ জানায় রাতের বাতাস! " ( কয়েকটি লাইন : ধূসর পাণ্ডুলিপি )
৩৫। " গানের সুরের মতো বিকালের দিকের বাতাসে
পৃথিবীর পথ ছেড়ে --- সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে হৃদয় ভাসিয়া যায়, -- সেখানে সে কারে ভালোবাসে!--" ( অনেক আকাশ - ধূসর পাণ্ডুলিপি ) ৩৬। "আকাশ উঠিবে কেঁপে আবার সে সংগীতের ঝড়ে! " ( অনেক আকাশ : ধূসর পাণ্ডুলিপি )
৩৭। " গাছের শাখার জালে এলোমেলো আঁধারের মতো
হৃদয় খুঁজিছে পথ, ভেসে - ভেসে, --- সে যে কারে চায়! " ( অনেক আকাশ : ধূসর পাণ্ডুলিপি )
৩৮ । " রাঙা রোদ, -- নারীর মতন
এ দেহ পেয়েছে যেন তাহার চুম্বন ফসলের ক্ষেতে! "
( পিপাসার গান : ধূসর পাণ্ডুলিপি ) ৩৯। " বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ / খুঁজিতে যাই না আর ; "
( তিন নাম্বার সনেট : রূপসী বাংলা )
৪০। " কামরাঙা - লাল মেঘ যেন মৃত মনিয়ার মতো /
গঙ্গা সাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে -- আসিয়াছে শান্ত অনুগত / বাংলার নীল সন্ধ্যা --- কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে : " ( ছয় নাম্বার সনেট : রূপসী বাংলা ) ৪১ । " বেহুলার লহনার মধুর জগতে তাদের পায়ের ধুলো - মাখা পথে বিকায়ে দিয়েছি আমি মন " ( দশ নাম্বার সনেট : রূপসী বাংলা ) ৪২। " সুরঞ্জনা, আজও তুমি আমাদের পৃথিবীতে আছ ; পৃথিবীর বয়সিনী তুমি এক মেয়ের মতন ; " ( সুরঞ্জনা : বনলতা সেন )
৪৩ । " সবিতা, মানুষজন্ম আমরা পেয়েছি
মনে হয় কোনো এক বসন্তের রাতে : " ( সবিতা : বনলতা সেন )
৪৪। " সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ
বিকেলের নক্ষত্রের কাছে : " ( সুচেতনা : বনলতা সেন )
৪৫ । " পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন ;
মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীর কাছে। " ( সুচেতনা : বনলতা সেন )
৪৬ । " আমরা জটিল ঢের হয়ে গেছি --- বহুদিন পুরাতন
গ্রহে বেঁচে থেকে। " ( আবহমান : বনলতা সেন )
৪৭। " সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা নামে ; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল ;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল ; "
( বনলতা সেন : বনলতা সেন )
৪৮। " কার মুখ ? --- আমলকী শাখার পিছনে শিঙের মতন বাঁকা নীল চাঁদ একদিন দেখেছিল তাহা ; "
( স্বপ্ন : মহাপৃথিবীপৃথিবী )
৪৯। " সকালের আকাশের মতন বয়স ; /
সে সকাল কখনও আসে না ঘোর, স্বধর্মনিষ্ঠ রাত্রি বিনে। " ( বিভিন্ন কোরাস : মহাপৃথিবী )
৫০। " সেইখানে যুথচারী কয়েকটি নারী
ঘনিষ্ঠ চাঁদের নিচে চোখ আর চুলের সংকেতে
মেধাবিনী ; --- দেশ আর বিদেশের পুরুষেরা যুদ্ধ আর বাণিজ্যের রক্তে উঠিবে না মেতে। "
( গোধূলিসন্ধির নৃত্য : সাতটিটি তারার তিমির )
৫১। " পিছনের ঢেউগুলো প্রতারণা করে ভেসে গেছে ;
সামনের অভিভূত অন্তহীন সমুদ্রের মতন এসেছে ; " ( সূর্যপ্রতিম : সাতটি তারার তিমির )