জ্যোতির্বিজ্ঞান
অবয়ব
জ্যোতির্বিজ্ঞান (ইংরেজি Astronomy প্রতিশব্দটি গ্রিক: ἀστρονομία শব্দটি থেকে উদ্ভূত) হলো প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি শাখা। এই শাখায় গ্রহ, প্রাকৃতিক উপগ্রহ, তারা, ছায়াপথ ও ধূমকেতু ইত্যাদি মহাজাগতিক বস্তু এবং অতিনবতারা বিস্ফোরণ, গামা রশ্মি বিচ্ছুরণ ও মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ প্রভৃতি ঘটনাবলি এবং সেগুলির বিবর্তনের ধারাটিকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান , রসায়ন ও ভূগোল এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও ব্যাখ্যা করা হয়। সাধারণভাবে বললে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে ঘটা সকল ঘটনাই জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। ভৌত বিশ্বতত্ত্ব নামে আরেকটি পৃথক শাখাও জ্যোতির্বিজ্ঞানের সঙ্গেই সম্পর্কিত। এই শাখায় সামগ্রিকভাবে মহাবিশ্ব নিয়ে বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা করা হয়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- মহাবিশ্ব বৃহৎ। সত্যিই বৃহৎ। আপনি সত্যি বিশ্বাসই করতে পারবেন না কত বৃহৎ এই মহাবিশ্ব।
- আপনি যদি প্রফুল্ল হন, এবং তাই থাকতে চান, তাহলে জ্যোতির্বিদ্যার অধ্যয়ন বাদ দিন। সমস্ত বিজ্ঞানের মধ্যে, এটি একাই ভয়ানক চরিত্রের যোগ্য।
- টমাস হার্ডি - টু অন এ টাওয়ার, ১৮৮২, খণ্ড ১।
- আশ্চর্যের বিষয় না এটা! নক্ষত্রের ক্ষেত্রটি এত বিস্তৃত কিন্তু মানুষ তা পরিমাপ করেছে।
- আনাতোল ফ্রাঁস - দ্য গার্ডেন অফ এপিকিউরাস, ১৮৯৪।
- গ্রহ ছাড়া আকাশে যত ছোট-বড় আলোকের বিন্দু দেখা যায়, তাহারা সকলেই নক্ষত্র বা তারা। ইহাদের সঙ্গে আমাদের সূর্য্যের কোনো সম্বন্ধ নাই। এরা নিজেরাই একটা একটা প্রকাণ্ড সূর্য্য এবং তাহাদের রাজ্য সূর্য্যের রাজ্য হইতে অনেক দূরে। আমাদের সূর্য্য আট্টি গ্রহকে আপনার চারিদিকে ঘুরাইয়া লইতেছে। যে-সকল মহাসূর্য্যকে আমরা অতি দূরে ছোট নক্ষত্রের আকারে মিটি-মিটি জ্বলিতে দেখিতেছি, তাহাদের প্রত্যেকটি হয় ত অনেক গ্রহকে এই রকমেই বাঁধিয়া ঘুরাইতেছে। কিন্তু তাহা দেখিবার বা জানিবার উপায় নাই। ইহারা এতদূরে আছে যে, খুব বড় দুরবীণ দিয়াও তাহাদের সন্ধান করা যায় না।
- গ্রহ-উপগ্রহ, গ্রহ-নক্ষত্র- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, প্রকাশস্থান- এলাহাবাদ (প্রয়াগরাজ), প্রকাশসাল- ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩২২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৬
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে জ্যোতির্বিজ্ঞান শব্দটি খুঁজুন।