দীনবন্ধু মিত্র

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

দীনবন্ধু মিত্র (১০ এপ্রিল ১৮৩০ – ১ নভেম্বর ১৮৭৩) উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার। তাঁর লেখা নাটক সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে অন্যতম গভীর অনুভূতি প্রদান করে। নীলদর্পণ (১৮৬০) হল তাঁর একটি ঐতিহাসিক নাটক, যা তাঁর "সর্বোত্তম রচনা" হিসাবে মনে করা হয়। এই নাটকের মাধ্যমে দীনবন্ধু মিত্র জাতীয় চেতনা উজ্জীবিত করেছিলেন। তাঁর রচনাশৈলীতে নতুনত্ব পরিলক্ষিত হয়। এর পরে ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় নাটক নবীন তপস্বিনী। এ নাটকটি তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করেন। দীনবন্ধু মিত্র-এর দুটি উৎকৃষ্ট প্রহসন হলো সধবার একাদশী ও বিয়ে পাগলা বুড়ো। ইংরেজি শিক্ষিত নব্য যুবকদের মদ্যপান ও বারবণিতাকে উপহাস করে রচিত প্রহসন ‘সধবার একাদশী’। ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর অপর এক প্রহসন জামাই বারিক প্রকাশিত হয়।

উক্তি[সম্পাদনা]

নীলদর্পণ (১৮৬০)[সম্পাদনা]

  • কাঙালের কথা বাসি জলে খাটে।
    • পৃষ্ঠা ১ (সাধু চরণ চরিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত)
  • জীব দিয়েচে যে, আহার দেবে সে।
    • পৃষ্ঠা ৫ (সাধু চরণ চরিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত)
  • হাসি সুখের রমণী, সখের বিনাশে হাসির সহমরণ।
    • পৃষ্ঠা ২৫ (সরলতা চরিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত)
  • চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী।
    • পৃষ্ঠা ২৭ (পদী ময়রানী চরিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত)
  • সময় গুণে আপন-পর।
    ঘোরা-গাধা এক দর।
    • পৃষ্ঠা ৩৩ (গোপী চরিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত)
  • সতীত্ব সোনার নিধি বিধি-দত্ত ধন,
    কাঙ্গালিনী পেলে রাণী এমন রতন।
    • পৃষ্ঠা ৩৮ (সাবি চরিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]