বিষয়বস্তুতে চলুন

দ্বীন

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, পাশাপাশি আরব খ্রিস্টানরাও তাদের উপাসনার ক্ষেত্রে এই শব্দটি ব্যবহার করে |একে প্রায়শই "ধর্ম" হিসেবে অনুবাদ করা হয়, কিন্তু ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে,

যা কুরআন ও হাদীস হতে প্রাপ্ত শিক্ষা, আদর্শ ও নির্দেশাবলী দ্বারা পরিচালিত হবে। ইসলামী শরীয়াহ আইনকেও অনেক সময় দ্বীন হিসেবে নির্দেশ করা হয়| কিছু মুসলিমের মতে, দ্বীন শব্দটির প্রয়োগ পরিসর হল শুধু মুসলিমদের ধর্মীয় জীবন। আবার কিছু মুসলিমের মতে, দ্বীনের প্রয়োগ সামষ্টিকভাবে মুসলিমদের জীবনের সকল শাখায় প্রযোজ্য হতে পারে।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসাবে পছন্দ করলাম,
    • সূরা আল-মায়েদা:৩
  • নিশ্চয় যারা বলে, ‘আল্লাহই আমাদের রব’ অতঃপর অবিচল থাকে, ফেরেশতামণ্ডলী তাদের কাছে অবতীর্ণ হন এবং বলেন, ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর, যার ওয়াদাপ্রাপ্ত তোমরা হয়েছিলে। আমরা দুনিয়ার জীবনে তোমাদের বন্ধু এবং আখেরাতেও। সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা কিছু তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য আরও থাকবে যা তোমরা দাবী করবে। পরম ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে আপ্যায়নস্বরূপ
    • সূরা হা-মীম সাজদা: ৩০-৩২
  • অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ ততেলাওয়াত করেন এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেন। যদিও তারা ইতঃপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল’
    • সূরা আলে ইমরান:১৬৪
  • আর আমি তো কেবল তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী হিসাবে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না’
    • সূরা সাবা: ২৮
  • আর আমি তো কেবল তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসাবেই প্রেরণ করেছি’
    • সূরা আল-আম্বিয়া:১০৭
  • নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হিফাযতকারী’
    • সূরা আল-হিজর:৯

হাদীস

[সম্পাদনা]
  • আবু হুরায়রা বর্ণিত, নবী বলেছেন, "ধর্ম (দ্বীন) খুব সহজ এবং যে ব্যক্তি তার ধর্মে সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা নিজের উপর চাপিয়ে নেয়, সে তা উক্ত পন্থায় অব্যহত রাখতে পারে না। তাই তোমাদের চরমপন্থী হওয়া উচিত নয়, কিন্তু পূর্ণ সঠিকতার নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত এবং ভালো কিছু পাওয়ার আশা করা উচিত, এবং দিনে ও রাতে উপাসনার মাধ্যমে (মানসিক) শক্তি অর্জন করা উচিত।"
    •  সহীহ বুখারী, ১:২:৩৯ (ইংরেজি), ফাতহ-উল-বারি, পৃষ্ঠা ১০২, ভলিউম ১

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]