নফস

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

নফস (نَفْس) একটি আরবি শব্দ যা কুরআনে এসেছে যা আক্ষরিক অর্থ হল "সত্ত্বা" এবং একে "মন", "অহংবোধ" বা "নিঃশ্বাস" হিসেবে অনুবাদ হয়। শব্দটি হিব্রু শব্দ নেফেস (נֶפֶשׁ) এর সমতুল্য। কুরআনে নফস শব্দটি স্বতন্ত্রবাদী (আয়াত ২:৪৮) এবং সমষ্টিগত (আয়াত ৪: ১) উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে যদিও নফসের ইতিবাচক গুণাবলী ধারণ করার মধ্যেই মানবতা কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকে, এই গুণগুলো "স্বাধীন ইচ্ছা"র কর্তৃত্ব চর্চার জন্যও ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকে, যে ক্ষমতাটি নফস তাদেরকে দিয়ে থাকে।

নফস বিষয়ক বেশিরভাগ জনপ্রিয় সাহিত্যে পরিভাষাটির সুফিবাদী ধারণার উপর আলোকপাত করা হয়েছে। সুফি দর্শন অনুসারে, অপরিশোধিত অবস্থায় নফস হল "অহং যাকে তারা কোন ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ অস্তিত্বের সর্বনিম্ন মাত্রা - তার জৈবিক এবং শয়তানী প্রকৃতি হিসাবে বিবেচনা করে। নফস হল ইসলামী ঐতিহ্যের একটি বিশেষ ধারণা, বিশেষত সুফিবাদে এবং শিয়া ইসলামের ইরফান নামক শাস্ত্রে, যাকে প্রাচীন গ্রিক ধর্ম অনুসারে গ্নোসিস বলে ডাকা হয়।

উক্তি[সম্পাদনা]

 وَ مَاۤ اُبَرِّیٴُ نَفۡسِیۡ ۚ اِنَّ النَّفۡسَ لَاَمَّارَۃٌۢ بِالسُّوۡٓءِ اِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّیۡ ؕ اِنَّ رَبِّیۡ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۵۳﴾
    • অনুবাদ:(সে বলল), ‘আমি নিজেকে দোষমুক্ত মনে করি না, নফস্ তো মন্দ কাজে প্ররোচিত করতেই থাকে, আমার প্রতিপালক যার প্রতি দয়া করেন সে ছাড়া। আমার প্রতিপালক বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।’
    • সূরাঃ ইউসুফ | Yusuf | سورة يوسف - আয়াতঃ ৫৩
 لَاۤ اُقۡسِمُ بِیَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ ۙ﴿۱﴾
  • অনুবাদ:আমি কসম করছি কিয়ামতের দিনের!
    • সূরাঃ আল-ক্বিয়ামাহ | Al-Qiyama | سورة القيامة আয়াতঃ ৪০ (মাক্কী)
 یٰۤاَیَّتُهَا النَّفۡسُ الۡمُطۡمَئِنَّۃُ ﴿٭ۖ۲۷﴾
  • অনুবাদ:(অপর দিকে নেককার লোককে বলা হবে) হে প্রশান্ত আত্মা!
    • সূরাঃ আল-ফাজর | Al-Fajr | سورة الفجر - আয়াতঃ ২৭
اِنَّ اللّٰهَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِهٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰهِ فَقَدِ افۡتَرٰۤی اِثۡمًا عَظِیۡمًا ﴿۴۸﴾
  • অনুবাদ:নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে।
    • সূরাঃ আন-নিসা | An-Nisa | سورة النساء - আয়াতঃ ৪৮
اَفَرَءَیۡتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـهَهٗ هَوٰىهُ وَ اَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰی عِلۡمٍ وَّ خَتَمَ عَلٰی سَمۡعِهٖ وَ قَلۡبِهٖ وَ جَعَلَ عَلٰی بَصَرِهٖ غِشٰوَۃً ؕ فَمَنۡ یَّهۡدِیۡهِ مِنۡۢ بَعۡدِ اللّٰهِ ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۲۳﴾
  • অনুবাদ: তুমি কি লক্ষ্য করছ তাকে, যে তার খেয়াল খুশীকে নিজের মা‘বূদ বানিয়ে নিয়েছে? আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার কর্ণ ও হৃদয় মোহর করে দিয়েছেন এবং তার চক্ষুর উপর রেখেছেন আবরণ। অতএব, কে তাকে পথ নির্দেশ করবে? তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবেনা?
    • সূরাঃ আল-জাসিয়া | Al-Jathiya | سورة الجاثية - আয়াতঃ ২৩

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]