নবারুণ ভট্টাচার্য
অবয়ব
নবারুণ ভট্টাচার্য (২৩ জুন ১৯৪৮ – ৩১ জুলাই ২০১৪) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কবি ও কথাসাহিত্যিক। তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৭) ও বঙ্কিম পুরস্কার (১৯৯৬) গ্রহণ করেছেন। হারবার্ট, কাঙ্গাল মালসাট ইত্যাদি তার বিখ্যাত উপন্যাস। তিনি লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী এবং নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের পুত্র।
উক্তি
[সম্পাদনা]- বাঙালির তরে যদি
বাঙালি না কাঁদে চুতিয়া বলিয়া তাকে ডাকো ভীমনাদে।
- বাঙালি যে কাঁকড়ার জাত সেটি বুঝিয়েছেন
- বড়লোকের গাড়ির টায়ার
ফুটো করে লাগাও ফায়ার নজরটুকু রাখবে যেন আঁচটুকু না লাগে আয়া-র।
- বুর্জোয়াবিরোধী ও গরীবদরদী একটি লেখা। আয়া এখানে প্রলেতারিয়েতের প্রতিনিধি মাত্র।
- গাঁড় মারি তোর মোটরগাড়ির
গাঁড় মারি তোর শপিং মলের বুঝবি যখন আসবে তেড়ে ন্যাংটো মজুর সাবান কলের
- আবারও সর্বহারা,মেহনতি মানুষের হয়ে কলম ধরেছেন।
- আমাকে হত্যা করলে বাংলার সব ক’টি মাটির প্রদীপে শিখা হয়ে ছড়িয়ে যাব।
- এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
- আমি সেই মানুষ যার কাঁধের ওপর সূর্য ডুবে যাবে।
- আমি সেই মানুষ
- আমার পাঠকেরা জানে—আমি যখন লিখি, আমি জ্বলি।
- নিজের লেখাকে আত্মার আগুন বলে বিশ্বাস করতেন।
- কবিতা হোক বারুদের মতো, নইলে মূল্য নেই।
- কবিতার উদ্দেশ্য শুধু সৌন্দর্য নয়, প্রতিবাদও।
- কিছু শব্দ বিস্ফোরক হয়, কিছু নীরবতার মতো ধ্বংসাত্মক।
- ভাষা ও নীরবতার তীব্র রাজনৈতিক গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
- আমার শব্দ বোমা নয়, বিস্ফোরণ—কথার ভিতর দিয়ে আগুন জ্বলে।
- সাহিত্য যে কেবল চিন্তা নয়, জাগরণও।
- তোমার শহর আমার কবিতায় পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
- নগরজীবনের ভণ্ডামি ও শোষণের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া।
- ভাষা আমার কাছে অস্ত্র, এবং কখনও কখনও জ্যান্ত সাপ।
- ভাষার ভয়ানক শক্তি ও বেপরোয়া প্রয়োগ।
- আমি দলে থাকি না, মানুষের সঙ্গে থাকি।
- তিনি সংগঠনভুক্ত না হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
- আমার সাহিত্য কারও মুখরক্ষা করে না।
- তাঁর লেখায় সত্যের নির্মম রূপ প্রকাশ পায়।
- আমার কবিতা কারও গলা টিপে ধরুক, পাঁজরে লাথি মারুক, তার চেয়ে কমে আমি রাজি নই।
- একটি সাক্ষাৎকার, উদ্ধৃত বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকীতে (যেমন: দেশ, কবিতা আশ্বিন, ইত্যাদি)।
প্রকাশকাল: ১৯৯০-এর দশক
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় নবারুণ ভট্টাচার্য সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।