বয়স
অবয়ব
বয়স হলো জন্মের সময় থেকে অস্তিত্বের কাল পর্যন্ত সময়। সাধারণত মানুষের বয়ঃক্রমকে শৈশব, কৈশোর, যৌবন, বার্ধক্য ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয় থেকে। মানুষ জন্মগ্রহণ করার পর থেকে বয়ঃসন্ধি শুরুর পূর্ব পর্যন্ত হলো শৈশব আবার বয়ঃসন্ধি শুরু হলে সে কিশোর আর শেষ হলে যুবক। যৌবনের শেষে আসে বার্ধক্য। তবে এ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ভাবে মানুষের বয়সকে সংজ্ঞায়িত ও ভাগ করা হয়েছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আঠারো বছর বয়সের নেই ভয় পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।
- আঠারো বছর বয়স, সুকান্ত ভট্টাচার্য, সুকান্তসমগ্র, চারুলিপি, পৃষ্ঠা ৬২।
- প্রথমদিকে যে সর্বশ্রেষ্ঠ উপদেশ আমি পাই তা হল আমি যেরকমটি চাইছি সেরকম লেখা তরুণ বয়স অবধি লেখা যায় কারণ কী তখন আমি ভাবাবেগের দ্বারা প্লাবিত। কিন্তু আমাকে এও বলা হয় যে যদি আমি লেখার কায়দা-কানুন রপ্ত না করি, তবে পরবর্তীকালে ভাবোচ্ছ্বাস স্তিমিত হয়ে এলে লেখার সাবলীলতা দূর হতে পারে, এবং তখন ওই আয়ত্তকৃত লেখার কৌশলই ভাবাবেগের স্থান দখল করে।
- সাক্ষাৎকার সংগ্রহ গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস। উৎপল ভট্টাচার্য সম্পাদিত। কবিতীর্থ (জানুয়ারি ২০১৬)। পৃষ্ঠা ৩৬। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৯৩১০০৪৬২।
- এক যে ছিল চাঁদের কোণায়
চরকা-কাটা বুড়ি
পুরাণে তার বয়স লেখে
সাতশো হাজার কুড়ি।
সাদা সুতোয় জাল বোনে সে,
হয় না বুনোন সারা—
পণ ছিল তার ধরবে জালে
লক্ষ কোটি তারা।
**বুড়ি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিশু ভোলানাথ, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ (১৪০৩ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২০
- বয়স হলেও পীর হলো পীর। তাছাড়া জোয়ান পীর তো দেখা যায় না।
- বহিপীর, সহপাঠ, নবম-দশম শ্রেণি, শিক্ষাবর্ষ ২০১৬, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিঅভিধানে বয়স শব্দটি খুঁজুন।