বরগুনার প্রবাদ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

গোন বুইজ্যা নাও বায়
হ্যারে কয় নাইয়া আর মন বুইজ্যা কথা কয়
আসর বুইজ্যা গান গায় হ্যারে কয় গাইয়া
হ্যারে কয় মাইয়া।

ব্যাখ্যা: পরিস্থিতি ও পরিবেশ বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
  • মাগির গরে পাতিল কাইত লাংয়ের পিরিত হারা রাইত।
ব্যাখ্যা: লম্পট স্বামীর কথা বলা হয়েছে।

আগে আলহে উল্লা তুলা
হ্যাষে অইচে উদ্দিন
যেয়ারে অইচে সৈয়দ মিয়া
পয়সা আইতে যদ্দিন।

ব্যাখ্যা: টাকা হলে সাধারণ থেকে অভিজাতের দলে নাম লেখায়।
  • খানকি, বৈদ্য, মোক্তার, নাপতা হয় রোজেরডা রোজ নাইলে হপ্তা হপ্তা।
ব্যাখ্যা: এ সব পেশার লোকদের নিয়মিত রোজগারের কোনো নিশ্চয়তা নেই।

আম খাবি আমসি
মাগি রাখপি ধুমসি।

ব্যাখ্যা: রক্ষিতা রাখার ব্যাপারে আগের দিনের পুরুষদের নীচ মানসিকতা।

সাত জন্মে নাই চাষ
ধান গাছেরে কয় তাল গাছ।

ব্যাখ্যাঃ যে চাষি নয়, চাষবাস ফসল সম্পর্কে তার ধারণা থাকে না।

ডরাইলে তালগাছ
না ডরাইলে বালগাছ।

অথবা,

মানলে তালগাছ না মানলে বালগাছ।

ব্যাখ্যাঃ কাউকে সম্মান দেখালে তবে সে বড় হয় আর কাউকে হীন ভাবলে সে হীন হয়ে থাকে।

গাঙের পাড়ে বাস
ভাবনা বারো মাস।

ব্যাখ্যা: নিত্য দুর্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। নদীর পাড়ে যারা বাস করে তাদের সব সময় দুর্ভাবনায় থাকতে হয়, কখন নদী ভাঙন শুরু হয়।

গর নাই তো দুয়ার বান্দে
মাউগ নাই তো পোয়া কান্দে।

ব্যাখ্যা: কল্পনাবিলাসীকে বোঝানো হয়েছে।

কোতায় আগরতলা
কোতায় উগইরতলা।

ব্যাখ্যা: যার স্থান-কাল ও দূরত্ব সম্পর্কে ধারণা নেই, তার সম্পর্কে বলা হয়েছে।