বাংলা সালতানাত
অবয়ব
![]() | এই ভুক্তি বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই ভুক্তি বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৩১ দিন আগে ফারদিন (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
বাংলা সালতানাত, শাহী বাংলা বা সুলতানি বাংলা (ফার্সি: سلطنت بنگاله، شاهی بنگاله، سلطانی بنگاله, প্রতিবর্ণীকৃত: Salṭanat-e-Baṅgālah, Shāhī Baṅgālah, Sulṭānī Baṅgālah) ছিল ১৪শ থেকে ১৬শ শতাব্দীর মাঝামাঝি বঙ্গ অঞ্চলে স্থিত একটি শেষ মধ্যযুগীয় সালতানাত। বাংলা সালতানাতকে 'শাহী বাঙ্গালা' নামেও অভিহিত করা হতো। গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে এটি ছিল প্রভাবশালী শক্তি। সালতানাতের রাজ্য জুড়ে ছিল অসংখ্য টাকশাল। ভারতীয় উপমহাদেশে সামন্ত রাজ্য গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলা সালতানাত তাদের অঞ্চল বিস্তৃত করেছিল। দক্ষিণ-পশ্চিমে ওড়িশা, দক্ষিণ-পূর্বে আরাকান ও পূর্বে ত্রিপুরা পর্যন্ত তাদের প্রভাব ছিল।
উক্তি
[সম্পাদনা]- প্রাচীন হিন্দু যুগে সমগ্র বাংলা দেশের কোন একটি বিশিষ্ট নাম ছিল না। ইহার ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। উত্তর বঙ্গে (বর্তমান রাজসাহী বিভাগ) পুণ্ড্র ও বরেন্দ্র (অথবা বরেন্দ্রী), পশ্চিম বঙ্গে (বর্দ্ধমান বিভাগ) রাঢ় ও তাম্রলিপ্তি এবং দক্ষিণ ও পূর্ব্ববঙ্গে (প্রেসিডেন্সি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) বঙ্গ, সমতট, হরিকেল, ও বঙ্গাল প্রভৃতি দেশ ছিল। এতদ্ভিন্ন উত্তর ও পশ্চিম বঙ্গের কতকাংশ গৌড় নামে সুপরিচিত ছিল। এই সমুদয় দেশের সীমা ও বিস্তৃতি সঠিক নির্ণয় করা যায় না এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তাহার বৃদ্ধি ও হ্রাস হইত। মুসলমান যুগেই সর্ব্বপ্রথম এই সমুদয় দেশ একত্রে বাংলা অথবা বাঙ্গালা এই নামে পরিচিত হয়। এই বাংলা হইতেই ইউরোপীয়গণের 'বেঙ্গলা' (Bengala) ও 'বেঙ্গল' (Bengal) নামের উৎপত্তি।
- "বাংলা দেশের ইতিহাস" - রমেশচন্দ্র মজুমদার, প্রকাশক: জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যাণ্ড পাব্লিশার্স লিমিটেড, প্রথম সংস্করণ: ফাল্গুণ ১৩৫২, পৃষ্ঠা: ১-২
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় বাংলা সালতানাত সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।