বিরিয়ানি
অবয়ব
বিরিয়ানি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশে প্রচলিত এক বিশেষ প্রকারের খাবার যা সুগন্ধি চাল, ঘি, গরম মশলা এবং মাংস মিশিয়ে রান্না করা হয়। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মাধ্যমে উৎপত্তি লাভ করে। এটি সাধারনত বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আজ থেকে বছর দশেক আগেও মুর্শিদাবাদে বিরিয়ানির প্রচলন ছিল না। মুর্শিদাবাদ নিজামত পরিবার সহ সমগ্র জেলায় বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে পোলাও খাওয়ার চল ছিল। নিজামত পরিবারে বিরিয়ানি প্রচলনের পেছনে কলকাতা এবং অওধের নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের কিছুটা অবদান রয়েছে বলে অনুমান করা যায়। সেই সময় কলকাতায় বিরিয়ানি বিশেষ করে আলু বিরিয়ানি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এই সময় মুর্শিদাবাদের নবাব বাহাদুররাও কলকাতায় প্রচলিত বিরিয়ানির স্বাদে মুগ্ধ হলে মুর্শিদাবাদের নিজামত পরিবার গুলিতে তখন থেকেই বিরিয়ানি সবার মন জয় করে নেয় এবং খুব সম্ভবত তারপর থেকেই নিজামত পরিবারে নিয়মিত বিরিয়ানি চালু হয়ে যায়। যদিও সমগ্র জেলায় বিরিয়ানি চালু হতে আরও প্রায় ৪০ বছর সময় লাগায়।
- অতীত নামা, ফারুক আব্দুল্লাহ, পৃষ্ঠা ১৮৮২ [১]
- আমি বিলবোর্ডে নায়িকার বদলে দেখি কাকের ঝাক।
পোড়া মানুষের গন্ধের চেয়ে বিরিয়ানির সুবাস
এ শহরে বেশি ভাসে,
মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা আর ভালো লাগে না।- বিরিয়ানি এবং কাকের গল্প, নির্বাচিত কবিতা, হাসান হামিদ, পৃষ্ঠা ১ [২]
- বিরিয়ানি বললেই মাঁস-মছলিখোর আম আদমি বাঙালির মনে যে এক প্লেট ধোঁয়া ওঠা বাদশাহী গন্ধে ভরপুর বিশাল একপিস চিকেন বা মাটনের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা সাদা আর রঙিন ভাতের ছবি ভেসে ওঠে, সেটা একেবারেই ঠিক নয়। ভারতের সর্বত্রই ভেজ বিরিয়ানি পাওয়াযায়। মূলতঃ মুসলিমদের মধ্যে উদ্ভুত এই খাবারটিকে আমরা জাতিধর্ম নির্বিশেষে আপন করে নিয়েছি।
- তপোভূমি তপোবনে, আশিস কুমার চট্টোপাধ্যায়, পৃষ্ঠা ৮৭-৮৮[৩]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় বিরিয়ানি সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।