ভগিনী নিবেদিতা
অবয়ব
ভগিনী নিবেদিতা ( ২৮ অক্টোবর ১৮৬৭ – ১৩ অক্টোবর ১৯১১) ছিলেন একজন অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদ্ভুত সমাজকর্মী, লেখিকা, শিক্ষিকা এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা। নিবেদিতার পূর্বনাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোব্ল। উত্তর আয়ারল্যাণ্ডের ডানগ্যানন নামে এক ছোট শহরে নিবেদিতার জন্ম।
উক্তি
[সম্পাদনা]- যখন কেউ মানবজাতির কল্যাণে সম্পূর্ণ আত্মনিবেদন করে, তখন সে দেবতার হস্তস্থিত বজ্রের মতো শক্তিসম্পন্ন হয়।
- ভারতের নিবেদিতা, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (১৯৯৮); গোলপার্ক, কলকাতা; পৃষ্ঠা-৬২
- নিজেরা চিন্তা করে পথ বার করো। নিজের চিন্তাকে কার্যে পরিণত করো, অতীতের ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নাও।
- ভারতের নিবেদিতা, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (১৯৯৮); গোলপার্ক, কলকাতা; পৃষ্ঠা-৬২
- জীবন, জীবন, জীবন, আমি জীবন চাই। আর জীবনের একমাত্র প্রতিশব্দ হল স্বাধীনতা। তা না থাকলে মৃত্যুও শ্রেয়।
- ভারতের নিবেদিতা, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (১৯৯৮); গোলপার্ক, কলকাতা; পৃষ্ঠা-৬২
- মেয়েরাই সর্বদেশে নীতি ও সদাচারের আদর্শের রক্ষাকর্ত্রী।
- ভারতের নিবেদিতা, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (১৯৯৮); গোলপার্ক, কলকাতা; পৃষ্ঠা-৬৪
- শিক্ষার অর্থ বাইরের জ্ঞান ও শক্তি আহরণ করা নয়, নিজের ভিতরের শক্তিকে সমাক্ বিকশিত করে তুলবার সাধনা।
- ভারতের নিবেদিতা, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (১৯৯৮); গোলপার্ক, কলকাতা; পৃষ্ঠা-৬৪
- আমি বিশ্বাস করি ভারত এক, অবিচ্ছেদ্য, অবিভাজ্য।
- রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (২০০২), নিবেদিতা অফ ইন্ডিয়া, কলকাতা (কলকাতা, ভারত): রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার, আইএসবিএন 978-81-87332-20-6, পৃষ্ঠা-৮২
- নৈনীতালেই স্বামিজী রাজা রামমোহন রায় সম্বন্ধে অনেক কথা বলেন, তাহাতে তিনি তিনটী বিষয় এই আচার্য্যের শিক্ষার মূলসূত্র বলিয়া নির্দেশ করেন—তাঁহার বেদান্ত-গ্রহণ, স্বদেশপ্রেম-প্রচার এবং হিন্দুমুসলমানকে সমভাবে ভালবাসা। এই সকল বিষয়ে রাজা রামমোহন রায়ের উদারতা ও ভবিষ্যদ্দর্শিতা যে কার্য্যপ্রণালীর সূচনা করিয়াছিল, তিনি নিজে মাত্র তাহাই অবলম্বন করিয়া অগ্রসর হইয়াছেন বলিয়া দাবী করিতেন।
- স্বামিজীর সহিত হিমালয়ে - ভগিনী নিবেদিতা, পঞ্চম সংস্করণ, প্রকাশক- উদ্বোধন কার্য্যালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৫
ভগিনী নিবেদিতাকে নিয়ে উক্তি
[সম্পাদনা]- বস্তুতঃ তিনি ছিলেন লোকমাতা। যে মাতৃভাব পরিবারের বাহিরে একটি সমগ্র দেশের উপর আপনাকে ব্যাপ্ত করিতে পারে তাহার মূর্তি ত ইতিপূর্বে আমরা দেখি নাই। এ সম্বন্ধে পুরুষের যে কর্তব্যবোধ তাহার কিছু আভাস পাইয়াছি, কিন্তু রমণীর যে পরিপূর্ণ মমত্ববোধ তাহা প্রত্যক্ষকরি নাই। তিনি যখন বলিতেন Our People তখন তাহার মধ্যে যে একান্ত আত্মীয়তার সুরটি লাগিত আমাদের কাহারো কন্ঠে তেমনটি ত লাগে না।
- ভগিনী নিবেদিতা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পরিচয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, প্রকাশস্থান- প্রয়াগরাজ, প্রকাশসাল- ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ (১৩২৩ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১০০
- নিবেদিতা ভারতবর্ষকে যেরূপ ভালবাসিতেন, ভারতবাসীও ততটা ভালবাসিতে পারিয়াছে কিনা সন্দেহ।
- ভগিনী নিবেদিতা সম্পর্কে বিপিন চন্দ্র পাল। সূত্র: ভারতের নিবেদিতা, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (১৯৯৮); গোলপার্ক, কলকাতা; পৃষ্ঠা-৬৮, (ISBN|81-85843-94-5)
- নিবেদিতা কেবল যে বিদ্যাবতী ছিলেন তাহা নহে, কিন্তু অসাধারণ বুদ্ধিমতী ছিলেন। লোকচরিত্র অধ্যয়নে তাঁহার ন্যায় সুনিপুণা অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়।
- ভগিনী নিবেদিতা সম্পর্কে সরলাবালা সরকার, নিবেদিতা - সরলাবালা সরকার, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- উদ্বোধন কার্য্যালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় ভগিনী নিবেদিতা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে ভগিনী নিবেদিতা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।