বিষয়বস্তুতে চলুন

ভূদেব মুখোপাধ্যায়

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
ভূদেব মুখোপাধ্যায়

ভূদেব মুখোপাধ্যায় (২২ ফেব্রুয়ারি ১৮২৭ - ১৫ মে ১৮৯৪) একজন বিশিষ্ট লেখক এবং শিক্ষাবিদ। সাহিত্য, ধর্মশাস্ত্র, সমাজ, শিক্ষা, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাঁর গভীর পান্ডিত্যের স্বাক্ষর মেলে। তাঁর কর্মের সম্মাননাস্বরূপ ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি সরকার কর্তৃক সি.আই.ই উপাধি লাভ করেন।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • প্রকৃত রাজনীতিজ্ঞ মাত্রেই জানেন যে, দুরভিসন্ধিতে রাজ্য পালনের উপায় নাই— তাঁহারা জানেন যে, রাজনীতি এবং ধর্মনীতি এতদুভয়ের পার্থক্য বাহ্য মাত্র, আভ্যন্তরীক নহে।
    • জাতীয় ভাব— ভারতবর্ষে মুসলমান, সামাজিক প্রবন্ধ (১৮৯৫)।
  • মানুষ সমাজ গঠন করিতে পারিয়াই মানুষ হইয়াছে; সমাজ সম্ভুক্ত না থাকিলে বন্য পশু হইত।
    • সামাজিক প্রকৃতি – হিন্দু সমাজ, সামাজিক প্রবন্ধ (১৮৯৫)।
  • কোন ব্যক্তিই কখন স্বয়ং নিজ জন্মবৃত্তান্ত অবগত হইতে পারেন না। পিতৃমাতৃসন্নিধানে তদ্বৃত্তান্ত শ্রুত না হইলে, আমরা কে কত দিন জন্মিয়াছি, আর এখনই বা আমাদের বয়স কত হইয়াছে, তাহা কিছুই বলিতে পারিতাম না। ইহাতেই বোধ হইবে যে, মনুষ্যজাতির আদিম সৃষ্টির বিবরণ কখনই কোন মনুষ্যকর্তৃক প্রকাশিত হইবার নহে। মনুষ্যের সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং কোনরূপে না বলিয়া দিলে তাহা কোন প্রকারেই জানিতে পারা যায় না। এই হেতু সর্বজাতীয় লোকেই সৃষ্টি-বিবরণ বিষয়ে যাহা কিছু বলেন, তাহা প্রায়ই আপনাদের ঈশ্বরপ্রণীত ধৰ্মশাস্ত্রকেই মূল করিয়া কহিয়া থাকেন।
    • মনুষ্যসৃষ্ট, সত্যযুগ এবং জলপ্লাবন বিবরণ, বিবিধ প্রবন্ধ (২য় ভাগ) (১৯২০)।
  • জগতে মনুষ্য বুদ্ধির অগম্য নানা প্রকার ঘটনা ঘটিয়া থাকে, কিন্তু তন্মধ্যে মৃত্যুই সর্বাপেক্ষা প্রধান। আমরা বার বার লোকের মৃত্যু দর্শন করিতেছি, অনেকের মৃত্যু হইতেছে শুনিতেছি, আমাদের পূর্বপুরুষ সমস্ত ক্রমে ক্রমে ঐ মৃত্যুর কবলিত হইয়াছেন জানিয়াছি, তথাপি কোন ব্যক্তির মৃত্যুশয্যার পার্শ্বে একাকী বসিয়া থাকিলে মনের কেমন ঔদাস্য জন্মে, ভয়াবহ মৃত্যুর প্রতি একবার নিবিষ্টমনা হইলে আর শীঘ্র অন্যমনা হইতে পারা যায় না, একেবারে তদ্‌গতচিত্ত হইয়া উহারই প্রকৃতি পর্যালোচনা করিতে হয়।
    • সত্যকালে মনুষ্যের সুদীর্ঘ আয়ুঃ, বিবিধ প্রবন্ধ (২য় ভাগ) (১৯২০)।
  • পুস্তকগুলিই কেবল সমুদয় বিদ্যার আধার নহে। অনেকে পুস্তক না পড়িয়াও কৃতকর্মা এবং বিচক্ষণ বলিয়া বিখ্যাত হইয়াছিলেন।
    • প্রথম অধ্যায়, শিক্ষাবিধায়ক প্রস্তাব (১৮৬৯)।
  • শিক্ষক মাত্রেরই কর্তব্য তাঁহারা শিক্ষা-বিধায়ক গ্রন্থসকল লইয়া সর্বদা আলোচনা করেন।
    • দ্বিতীয় অধ্যায়, শিক্ষাবিধায়ক প্রস্তাব (১৮৬৯)।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

বিষয়শ্রেণী:ভারতের দার্শনিক