বিষয়বস্তুতে চলুন

মানচিত্র

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

মানচিত্র ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবি। দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং এর ব্যবহারে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখ যোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তু সমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে ম্যাপ বা মানচিত্র বলে।অনেক মানচিত্র স্থির, ত্রি-মাত্রিক স্থানের দ্বি-মাত্রিক প্রতিরূপ; আবার কিছু মানচিত্র পরিবর্তনশীল, এমনকি ত্রিমাত্রিকও হতে পারে। মানচিত্র বলতে সাধারণত ভৌগোলিক মানচিত্রকেই বোঝানো হয়, তবে মানচিত্র হতে পারে কোন স্থানের - বাস্তব বা কাল্পনিক, এতে স্কেল বা অন্যান্য অনুষঙ্গের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে; যেমন, ব্রেন মানচিত্রকরণ, ডিএনএ মানচিত্রকরণ এবং মহাকাশের মানচিত্রকরণ।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • মানচিত্রে এবং ভূপরিচয়ে আমরা সাধারণত নানান দেশ নানান রঙে রঞ্জিত দেখি—মানুষে মানুষে ওইরকম বৈষম্য আছে, কিন্তু মিলও আছে। কাজেই সীমারেখা আর মানচিত্রের নজির অনুসারে চললে আমরা অনেক সময় ভুল করব।
    • জওহরলাল নেহেরু, বিশ্ব-ইতিহাস প্রসঙ্গ - জওহরলাল নেহরু, প্রথম সংস্করণ, অনুবাদক- সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪
  • সেই সময় টসানেলী নামে একজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ছিলেন, তিনিই ছিলেন সে-যুগের শ্রেষ্ঠ মানচিত্রকর। টসানেলী পৃথিবীর একটী মানচিত্র তৈরী করেছিলেন। সেই মানচিত্র তিনি কলম্বাসকে দেখালেন। তাতে তিনি আটলাণ্টিক মহাসাগরের পশ্চিমে, যেখানে এখন আমেরিকা রয়েছে, সেখানে এশিয়ার মানচিত্র আঁকেন এবং কলম্বাসকে তিনিই প্রথম সায় দিয়ে বল্লেন, তুমি যদি আটলাণ্টিক মহাসাগর ধরে পশ্চিমমুখো যাও, তাহলে নিশ্চয়ই তুমি মাটির সন্ধান পাবে···হয়ত ক্যাথে (চীন) নয় ভারতবর্ষ!
    • নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, সমুদ্রজয়ী কলম্বাস - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- দেব সাহিত্য কুটীর, প্রকাশসাল- ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৫-১৬
  • বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পরিকল্পনা নেন তখন এর সঙ্গে ভারতের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ, আসামত্রিপুরা দাবি করেননি কেন? এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কৌশল। তিনি যখন ছাত্রদের দ্বারা গঠিত 'বাংলাদেশ বিপ্লবী পরিষদের' আঁকা স্বাধীন বাংলার পতাকা দেখেন, তখন নির্দেশ দেন তাতে পূর্ববঙ্গের মানচিত্র যোগ করতে হবে। আমি তার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছিলেন, 'ভারত যদি মনে করে আমরা ভারতের অন্তর্ভুক্ত বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলগুলোও চাই তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে আমাদের সাহায্য করবে না। আমরা দিল্লিকে বোঝাতে চাই তাদের অধীনে যেসব বাংলা ভাষাভাষী প্রদেশ আছে আমরা তাদের চাই না। কিন্তু আমাদের মনে এই বিশ্বাস আছে, পূর্ববঙ্গে যদি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলে হিন্দিভাষীদের দ্বারা শাসিত এবং নির্যাতিত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরাও একসময় স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে ইচ্ছুক হবে।'
  • অতীতের পৃথিবীর যেসব মানচিত্র আজকাল তৈরি হয়, সেগুলি অতীতের ইতিহাস বোঝার পক্ষে খুবই দরকারি। হাতের কাছে এরকম মানচিত্র রাখা উচিত। মানচিত্র ছাড়া ইতিহাস বোঝা একপ্রকার অসম্ভব বললেই হয়। কেবল মানচিত্র কেন, পুরাতন কালের ঘরবাড়ি ভগ্নাবশেষ প্রভৃতির ছবি যা পাওয়া যায় সব-কিছুই ইতিহাস বোঝার পক্ষে বিশেষ প্রয়োজন। এই ছবিগুলিই এক হিসাবে ইতিহাসের জীর্ণ কঙ্কালকে রূপায়িত জীবন্ত করে আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরে।
    • জওহরলাল নেহেরু, বিশ্ব-ইতিহাস প্রসঙ্গ - জওহরলাল নেহরু, প্রথম সংস্করণ, অনুবাদক- সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৭
  • পৃথিবীর মানচিত্রের দিকে চেয়ে দেখ ইয়োরোপের বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে কোন দুর্ব্বল জাতিই আজ আর আত্মরক্ষা করতে পারেনি। দেশের মাটি, দেশের সম্পদ থেকে ছেলেরা বঞ্চিত হয়েচে কোন অপরাধে জানো ভারতী? একমাত্র শক্তিহীনতার অপরাধে।
    • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, পথের দাবী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- এম. সি. সরকার এণ্ড সন্স লিমিটেড, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৪১

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]