মাহবুবউল আলম হানিফ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

মাহবুবউল আলম হানিফ (জ. ২ জানুয়ারি ১৯৫৯) বাংলাদেশের কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • আজকে সেই ২৫ মার্চ, যে ২৫ মার্চ এই গণহত্যা শুরু হয়েছিল; সেই দিবসকে বাঙালি গণহত্যা দিবস হিসেবে মনে করে। এই গণহত্যায় ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল, অথচ সেই গণহত্যা এখনো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে নাই। আমরা যদি বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখি, বিশ্বে যেসব গণহত্যা হয়েছিল—১৯১৫ সালে আরমারিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, সে সময় রোমান সাম্রাজ্যের হাতে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছিল। এরপর আমরা দেখেছি, গণহত্যা হয়েছে নাজি বাহিনীর হাতে। নাৎসি বাহিনী প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল, যেটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আছে। অথচ একাত্তর সালে আমাদের ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণ হারিয়েছিল সেটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নাই। এটা আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এর কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেই খুনি জিয়াউর রহমান; পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের স্বাধীনতার, মুক্তিযুদ্ধে, গণহত্যার সব ইতিহাস তারা মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

'তাদের মিথ্যা প্রচারণায় আজকে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গণহত্যার দাবি সোচ্চারভাবে তুলতে পারি নাই। এখনো যখন এই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়ার দল বিএনপি যখন বলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয় নাই, বড়জোর হয়তো এক-দুই লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। এই ধরনের মিথ্যাচার করে আমাদের ইতিহাস বিকৃত করার কারণে কিন্তু আমরা আন্তর্জাতিকভাবে এই গণহত্যার স্বীকৃতি আমরা আনতে পারি নাই। আমরা স্বীকৃতি পাই নাই।

  • গত কয়েকদিন আগে বা কিছুদিন ধরে আপানারা দেখছেন দুইজন শিশু খৎনা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে। কয়েকদিন আগে আরেকটি শিশু এ অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ছিল। আমরা লক্ষ্য করছি, যেসব শিশুর খাতনার বিষয় আছে তাদের পরিবার শঙ্কিত। চিকিৎসকদের কোনো গাফিলতির কারণে দুটি শিশু প্রাণ হারাল, যেটা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। এ অবস্থাটা কেন হয়েছে, এটায় জাতি অবাক হলেও আমি কিন্তু খুব একটা বিস্মিত হইনি। চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্ণধারকে নিয়ে যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়, তার অনৈতিকতা, স্বজনপ্রীতি নিয়ে, নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি হয় তখন কিন্তু চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থাটা আস্তে আস্তে কমে যায় বা সেই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা হারিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
    • জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা পোস্ট
  • স্বাধীনতা যুদ্ধশেষে আমরা যখন বিজয় লাভ করি, তখন জাতির পিতা পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। বিজয় লাভ করলেও তার পূর্ণতা ছিল না। ১৯৭২ সালের এ দিনে দেশে ফিরে তিনি বলেছিলেন, আমাদের এখন যে যাত্রা শুরু হবে, তা হবে নিরাশা থেকে আশার পথের অভিযাত্রা। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল, ২০৪১ সালের মধ্যেই তা উন্নত দেশে পরিণত হবে।
    • সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত জনসভায় ঢাকা পোস্ট
  • ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে এ দেশে বহুবার আরব বসন্তের গল্প শোনানো হয়েছে। আরব বসন্তের স্বপ্ন আরবেই দেখতে হবে। বাংলাদেশে এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।
    • কুষ্টিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার আগে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে [১]
  • পরিকল্পিতভাবে ‘মিথ্যা’ সংবাদ প্রচার করে এই দৈনিক পত্রিকাটি এর আগেও তার দলের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে।নিউজটা যে মিথ্যা খবর ছিল, সেটা তারা বুঝতে পেরে সরিয়ে ফেলেছেন। নিউজটি সরিয়ে তারাই প্রমাণ করেছে নিউজটা ষড়যন্ত্রমূলক ছিল। তার কোনো সত্যতা ছিল না।

নিউজ সরালেও সারাদেশ প্রচার হয়ে গেছে। বিএনপি থেকে অনেকে এই নিউজকে কোট করতেছেন। এই মিথ্যা খবরের দায়ভার প্রথম আলোকেই গ্রহণ করতে হবে।

    • স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলোর প্রতিবেদন নিয়ে বিডিনিউজ
  • কার স্বার্থে এবং কোন যুক্তিতে একটি স্বাধীন দেশকে অপমানিত করলেন তা বোধগম্য নয়। ভিসানীতির অন্তরালে যদি কোনও ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায়, তবে বাংলার মানুষ সেই ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না।
  • আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটেই নির্বাচন করবে। ১৪ দলের বাইরে অন্যকোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কোনো সুযোগ নেই।
    • কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শহর ও সদর কমিটির বর্ধিতসভায় যোগ দিয়ে [২]
  • শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে- এখন লোডশেডিং কি সেটি এ প্রজন্মের মানুষ জানেনা।সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল সেদিন। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো। তাও আবার শতকরা বিশভাগ মানুষের কাছে পৌঁছাইতে পারেনি। দেশে এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জন করেছে।
  • পদ্মা সেতুকে শুধু সেতু হিসেবে দেখলে হবে না, এটি বাঙালির মর্যাদার সেতু। শেখ হাসিনার শত ত্যাগের মাধ্যমে মর্যাদার এই সেতু নির্মাণ হয়েছে।
  • শেখ রাসেল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র এটা যেমন সত্য, পুরো পৃথিবীর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এবং নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত।
  • স্বাধীনতা, বাংলাদেশ ও পদ্মা সেতু যারা চায়নি, তারা এই সেতুকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অশুভ খেলা শুরু করেছে। প্রশ্ন জাগে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে নেওয়ার পেছনে তাদের ইন্ধন রয়েছে কি-না।
  • ‘লালন বলে জাতের কী রূপ দেখলাম না এই নজরে..’ তার এই গানের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে মানুষ জাতপাতের ঊর্ধ্বে। লালনের বাণীগুলো সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আজকের সমাজ ধর্মে বিভক্ত। আমরা এক সৃষ্টিকর্তার তৈরি। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানে কোনো বিভেদ থাকবে না। লালন সেটাই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে লালনের বাণী সবাইকে ধারণ করতে হবে।
  • একটা বাড়ি যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে তার সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কিছু বাকি থাকে না শুধু একখণ্ড পোড়ামাটির ভূখণ্ড ছাড়া। বাংলাদেশকেও ওইরকম পোড়ামাটির ভূখণ্ড বানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানিরা। তারা যখন বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত তখন তারা প্ল্যান করলো দেশ যদি স্বাধীনও হয় কখনও যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। সেই অবস্থা থেকে বঙ্গবন্ধু শূন্যহাতে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশের আমূল পরিবর্তন করে তাক লাগিয়ে দেয় গোটা বিশ্বকে।
  • বিএনপির দুই কান কাটা। এরা লজ্জা-শরমহীন। দুর্নীতিতে জড়িতরা কেউ বিএনপি করতে পারবে না- এটা তাদের গঠনতন্ত্রে নেই। তারা সেটা তাদের গঠনতন্ত্র থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশ ধ্বংস করা ছাড়া কিছু করেনি।
  • বছর দশেক আগে আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের শিক্ষার অধঃপতনের জন্য ছাত্র রাজনীতি যতটা না দায়ী, শিক্ষক রাজনীতি তারচেয়ে বেশি দায়ী। অনেকে এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। অনেকে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাস বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর কথা চলে আসে। যেই বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি, সেই স্বাধীনতার ইতিহাস কি বিকৃত হয়নি? সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শামিল হয়নি? আমাদের স্বাধীনতা কি কোনও গোলটেবিল বৈঠকে হয়েছিল? দীর্ঘ এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছিল। জাতির পিতার নেতৃত্বে ৪৭-এর দেশভাগের পর ধাপে ধাপে একাত্তরের বিজয় এসেছিল।

ইতিহাস বিকৃত করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা! কীসের লোভে! কেন? যে শিক্ষক নিজের সৃষ্টির ইতিহাস বিকৃত করে, তারা দ্বারা আদর্শ মানুষ গড়ে উঠবে, এমনটা আশা করা মোটেও উচিত নয়।

  • পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো মুসলিম দেশগুলোকে দুর্বল করে ফেলতেই নানামুখী নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোণঠাসা করতে চায়। আজকে যে পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে, তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যা, মানুষ খুন, আগুন-সন্ত্রাসের সময় গণতন্ত্র দেখে না। ২০০৪ সালে বিএনপির শাসনামলে অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ৬৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। বাংলা ভাইসহ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সৃষ্টি হয়েছিল তাদের সময়। সে সময় মানবাধিকার কোথায় ছিল?
  • অতীতের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। ২০২৯ সালের পর বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার কথা ভাবতে হবে। দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান যতদিন দলটির নেতৃত্বে থাকবে ততদিন বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনবে না।
  • আমরা করোনা সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আমাদের অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার একটু অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। যা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি আমরা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছে। আশা করি আমরা দেশের বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।
  • বাংলাদেশের অবকাঠামো ও অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার মতো নয়। তাই, বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না। আর, বিএনপির মন থেকে শ্রীলঙ্কার স্বপ্ন মুছে যেতেও বেশি সময় লাগবে না।দেশের উন্নয়ন যাদের অপছন্দ, উন্নয়ন দেখলে যাদের গাত্রদাহ হয়, তারা বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলে বেড়াচ্ছেন।
  • কি চান আপনারা? কার পক্ষে, কোন খেলায় নেমেছেন? আপনাদের বক্তব্যগুলো মনে হয় সন্ত্রাসী, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি ছাড়া আর কিছু নয়। জাতি আপনাদের এসব বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে।
    • বিরোধী দলের মতপ্রকাশে আওয়ামী লীগ সরকার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগের জবাবে ঢাকাপোস্ট
  • ছাত্রলীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী একটা সংগঠন হিসেবে ছিল। এই ছাত্রলীগের অনেক গৌরবউজ্জল অতীত আছে। স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এই ছাত্রলীগের একটা উজ্জ্বল একটা অবস্থান ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে, ছাত্রলীগের কিছু কিছু কর্মকাণ্ড যেটা ছাত্রলীগকেই শুধু বিতর্কিত করছে না, এটা মুল সংগঠন আওয়ামী লীগকেও অনেক বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। এটি নিয়ে অবশ্যই আমাদের বিব্রত হতে হয়।
  • ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু সেই ৭ মার্চের ভাষণ আজ জাতিসংঘের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি পেয়েছে।
  • বিএনপির আল্টিমেটামে কোনো নতুন কিছু নয়। ২০১২ সাল থেকে এই আল্টিমেটাম দলটি দিয়ে আসছে।
  • যারা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে তাদের লজ্জা করা উচিত। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কিসের ভিত্তিতে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। তিনি গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। জিয়া আসলে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অংশ নেননি। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং তথ্য পাচার করতেন। যার প্রমাণ আছে।
  • স্বপ্ন দেখছেন যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবেন সরকারকে। এটা কি কচু পাতার পানি? যে টলমল করে, ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে! এটা আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ এ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল। এ দলের শেকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। যার সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা নেই সে দল টেকে না। যেটা বিএনপি।
  • বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা ঘোষণার চতুর্থ পাঠক। তবুও বিএনপি নেতারা তাকে ‘ঘোষক’ বলেন।
  • বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। ১/১১ এর সময় শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, পদ্মা সেতু নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, যা এই পত্রিকায় ফলাও করে সে সময় ছাপানো হয়েছে। ২৬ মার্চের ঘটনাও আগের মতোই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরেকটি ষড়যন্ত্র।

এ সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের। সংবাদমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি করা হয়েছে। সাংবাদিকরা নিয়মিত যেভাবে খুশি লিখছে, সরকারের সমালোচনা করছে, তাতে কারও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের যেখানে মূল জায়গা সেই স্বাধীনতার উপর যদি আঘাত আসে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব, জনগণও সেটাই প্রত্যাশা করে।

  • বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। আর দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশের সব অর্জন।
  • ২০১৪ সালে নির্বাচনের পরেও যারা বয়কট করেছিল বিএনপি জামাত তারা আন্তর্জাতিক কোনো স্বীকৃতি পাবে না বলে প্রচার করেছিল। কিন্তু সরকার ১০ বছর ক্ষমতা পার করে তৃতীয় দফায় ২০২৩ সালে নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এসব মিথ্যাচার কথাবার্তা বলে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কোন লাভ হবে না।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]