মিঠুন চক্রবর্তী
অবয়ব
মিঠুন চক্রবর্তী (জন্ম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী; ১৬ জুন ১৯৫০) একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক এবং রাজনীতিবিদ যিনি প্রধানত হিন্দি এবং বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তিনি একজন প্রাক্তন রাজ্যসভার সংসদ সদস্য। তিনি তার অভিনয়ের জন্য তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের প্রাপক।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমি জলঢোরা নই, বেলেবরা নই, আমি জাত কোবরা গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।
- কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত ভারতীয় জনতা পার্টির ভোটপ্রচারে, উদ্ধৃত: "'আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি', জনপ্রিয় সংলাপে ব্রিগেড মাতালেন মিঠুন"। এই সময়। ৭ মার্চ ২০২১।
- মহামারীর সময় যখন আমার বাবা মারা যান, আমি আসতে পারিনি। আমি তাকে এভাবে দেখতে চাইনি। আমরা কেমন ছিলাম, সে জন্য আমি তাকে স্মরণ করতে চেয়েছিলাম। একইভাবে আমি বাপ্পিদাকে স্মরণ করতে চাই আমরা কীভাবে বসতাম। একসঙ্গে গান বানাই, গান শুনি। আমি শুধু তার সঙ্গে ভাল দিনগুলো মনে রাখতে চাই।
- বাপ্পী লাহিড়ীর শেষকৃত্যে যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে, উদ্ধৃত: "যে কারণে বাপ্পি লাহিড়ীর শেষকৃত্যে ছিলেন না মিঠুন"। যুগান্তর। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- সকলকেই লড়াই করতে হয়। কিন্তু আমাকে একটু বেশিই করতে হয়েছিল। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, আমি বোধহয় আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না। নানা কারণে কলকাতাতেও ফিরতে পারছিলাম না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল, আমি এমনকী আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু আমার সকলের প্রতি উপদেশ, কখনও লড়াই বন্ধ করে জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা ভাববেন না। আমি জন্মগত ভাবে একজন লড়াকু মানুষ। আমি হারতে শিখিনি। দেখুন, আজ আমি কোথায় পৌঁছেছি।
- সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, উদ্ধৃত: "'নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম', বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি মিঠুন চক্রবর্তীর"। সংবাদ প্রতিদিন। ২৪ জুলাই ২০২২।
- আমি কখনও চাইব না, আমি যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, তা অন্য কেউ ভোগ করুক। নিজের গায়ের রঙের জন্য পদে পদে হেনস্থা হতে হয়েছে আমাকে। চূড়ান্ত অসম্মানের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এমন দিন গিয়েছে যে, খালিপেটে ঘুমোতে হয়েছে। একা একাই কেঁদেছি। এমন অনেক দিন হয়েছে, যখন ফুটপাথই ছিল আমার আশ্রয়। আমি চাই না, আমি যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, অন্য কেউ সেই কষ্টের মুখোমুখি হোক। সেই কারণে চাই না, আমার উপর বায়োপিক তৈরি হোক।
- লিটল চ্যাম্পসের ডিস্কো স্পেশ্যাল পর্বে, উদ্ধৃত: "তাঁকে নিয়ে বায়োপিক হোক, চান না মিঠুন চক্রবর্তী, কারণ স্পষ্ট করলেন নিজেই"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৪ নভেম্বর ২০২২।
তার সম্পর্কে
[সম্পাদনা]- তুমি সফল হলে আমি অভিনয় ছেড়ে দেব
- মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে জিতেন্দ্র, উদ্ধৃতি: "'মিঠুন সফল হলে আমি অভিনয় ছেড়ে দেব', জিতেন্দ্রর এই অপমানের জবাব দেন ডিস্কো ডান্সার"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ৭ মার্চ ২০২১।
- বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘অবিচার’ করার আগে খুব ভয়ে ছিলাম। বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষাতেই শুটিং করতে হবে, আমি তো হিন্দি জানি না! হাসান ভাই অভয় দিয়ে বললেন, তুই পারবি, কোনো সমস্যা হবে না। মিঠুন চক্রবর্তী যে বাঙালি, বাংলা বলতে পারেন—আমি সেটা জানতামই না। প্রথম দেখা হওয়ার আগে তাই ভয়েই ছিলাম, কিভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলব। ঘটনা ঘটল উল্টোটা। আমাকে দূর থেকে ডাকতে ডাকতেই কাছে এলেন, ‘এই রোজিনা, কেমন আছো! তুমি নাকি এখানকার সুপারস্টার!’ তাঁর মুখে বাংলা শুনে আশ্বস্ত হলাম, অবাকও হলাম। পরে জানলাম, মিঠুন বাঙালি।
- জাগো এফএমের রাতাড্ডা অনুষ্ঠানে রোজিনা, উদ্ধৃত: "নির্বাচিত উক্তি"। কালের কণ্ঠ। ১২ মার্চ ২০২০।
- আমার গান অক্ষয় কুমারকে তারকা বানিয়েছে। তিনি যখন সিনেমা শুরু করেন তখন তারকা ছিলেন না। অক্ষয় আগে গরীবের মিঠুন চক্রবর্তী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে, মিঠুন ছিলেন গরীবের অমিতাভ।
- একটি সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ ভট্টাচার্য, উদ্ধৃত: "মিঠুন ছিলেন গরীবের অমিতাভ: অভিজিৎ ভট্টাচার্য"। রাইজিংবিডি। ১৯ জুন ২০২১।
- ব্যক্তি মিঠুন চক্রবর্তীকে শ্রদ্ধা জানাই। লোকে দেখে শেখে, ঠেকে শেখে। কিন্তু মিঠুনদা তো দেখেও শিখছেন না, ঠেকেও শিখছেন না। মিঠুনদার রাজনৈতিক ভূমিকাকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
- আসানসোলের উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে ভোট চাওয়ার প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষ, উদ্ধৃত: "'জাত গোখরো নন, আপনি জলঢোঁড়া সাপ', মিঠুনকে কেন এমন বললেন কুণাল?"। টিভি নাইন। ২ এপ্রিল ২০২২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া কমন্সে মিঠুন চক্রবর্তী সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিপিডিয়ায় মিঠুন চক্রবর্তী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।