রশীদ করীম

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

রশীদ করীম: একজন প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিকের জীবনী রশীদ করীম হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক ও সাহিত্যিক। তিনি একজন অত্যন্ত প্রখ্যাত বাঙালি উপন্যাসিক এবং ছবির লেখক ছিলেন। তার লেখা কিছু অপ্রসিদ্ধ উপন্যাস, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, এবং নাটকের মধ্যে অংশীদারিত্ব ছিল।

রশীদ করীমের লেখা উপন্যাস এবং গল্প সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্য, মানবিক প্রতিষ্ঠান, পরিবার এবং সামাজিক সংঘর্ষের উপর ভিত্তি রাখে। তার লেখা সমগ্র ছবিও দারুণ ভূমিকা রচনা করে, যা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চিত্রকল্প প্রতিফলিত করে।

জন্ম ও শিক্ষা:

রশীদ করীম (১৯২৫-২০১১) ছিলেন একজন বিখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক। তিনি ১৯২৫ সালের ১৪ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষাজীবন:

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন সুখময় সেন, মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, আবুল হাসান, এবং মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি নিজেও একজন প্রতিভাবান শিক্ষক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন।

রশীদ করীমের প্রশিক্ষণের সাথে সাহিত্যিক ক্রিয়াকলাপে প্রবৃদ্ধি পাওয়া হয়েছে। তার উপন্যাসের মধ্যে বৃহত্তর একটি ক্যাটাগরিতে রবিবার, বিকেলের গ্রাম, জান্নাতের পানি, দীপনাম, দোলনচঞ্চল, কালো কুকুর সহ অনেক প্রশংসিত ও জনপ্রিয় উপন্যাস রয়েছে।

কর্মজীবন:

শিক্ষকতা: রশীদ করীম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে ১৯৫৬ সালে যোগদান করেন এবং ২০০৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। লেখালেখি: তিনি একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক ছিলেন। 'উত্তম পুরুষ', 'প্রসন্ন পাষাণ', 'আমার যত গ্লানি', 'প্রেম একটি লাল গোলাপ', 'মায়ের কাছে যাচ্ছি' ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। অন্যান্য রচনা: ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, কবিতা, এবং অনুবাদও লিখেছেন। সম্পাদনা: 'সাহিত্য পত্রিকা', 'অনুশীলন', 'উপায়' ইত্যাদি সাহিত্যিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।

সাহিত্যকর্মের বৈশিষ্ট্য:

বাস্তবতাবাদ: রশীদ করীমের উপন্যাসগুলি সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। মানবিকতা: তার লেখায় মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক, যেমন দারিদ্র্য, অনাচার, শোষণ, ভালোবাসা, স্বপ্ন ইত্যাদি ফুটে ওঠে। ভাষা: তার ভাষা সাবলীল ও সহজবোধ্য। চরিত্রায়ণ: তার চরিত্রগুলি বাস্তবসম্মত ও প্রাণবন্ত।

উল্লেখযোগ্য অবদান:

বাংলা সাহিত্যে নতুন ধারার সূচনা করেছেন। সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে মানুষকে চিন্তা করতে বাধ্য করেছেন। বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা:

বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৭, ১৯৭৩, ১৯৮৮) একুশে পদক (১৯৭৪) স্বাধীনতা পুরস্কার (২০০৪) আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা

মৃত্যু:

রশীদ করীম ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মারা যান।

তার লেখা উপন্যাস এবং গল্প দীর্ঘমেয়াদী, প্রভাবশালী এবং মানবজীবনের বিভিন্ন দিক ও বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করে। রশীদ করীমের লেখা গল্পগুলি সাধারণত মানবিক সম্পর্কে ও সামাজিক সংঘর্ষের বিষয়ে মধ্যবিত্ত করে।

একজন গভীর দৃষ্টিকোন এবং প্রশাসনশীল মনোভাবের সহিত রশীদ করীম সমাজের সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সমস্যার উপর অনেক গভীরভাবে ভাব নিয়েছেন। তার লেখা বই ও গল্পে সাধারণ মানুষের জীবন এবং সমাজের প্রশ্ন উপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।