বিষয়বস্তুতে চলুন

রেহানা আক্তার রানু

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

রেহানা আক্তার রানু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ফেনী ১ আসনের একজন প্রাক্তন সংসদ সদস্য।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • “এই বই পড়লে সরকারি দলের সদস্যরা লাফালাফি শুরু করবেন।”
  • মাননীয় স্পিকার, যিনি আমাদের নেত্রীর (খালেদা জিয়া) পরিবার নিয়ে এখানে কুৎসা রটনা করেছেন... (সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া: (পাশে বসা অবস্থায় সরকার দলীয় (আওয়ামী লীগের) দাড়িয়ে যাওয়া উত্তেজিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে উচু গলায়) বসেন বসেন... অনেক বাড়াবাড়ি করেছেন..) তিনি পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট মাননীয় স্পিকার। কলিকাতা সিভিল কোর্টের উকিল মি: চন্ডিদাস। তার এক মেয়ে ছিল যারনাম গৌরিবালা দাস। (সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে উত্তেজিত শোরগোল) চন্ডিদাসের সহকারী উকিল মি: অরণ্য কুমার চক্রবর্তী চন্ডিদাসের কলিকাতাস্থ বাসায় (সৈয়দা পাপিয়া: (পাশ থেকে) পড়তে থাক.. হ্যা) নিয়মিত যাতায়াত করত। এই সুযোগে গৌরিবালার সাথে অরণ্য কুমার চক্রবর্তীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। (সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া: পড়তে থাক..) গৌরিবালা গর্ভবর্তী হয়ে পড়েন। (পানি খেয়ে নেন) (সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া: পড়তে থাক পড়তে থাক..পড়তে থা-ক) (সরকারদলীয় সদস্যরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন) গৌরিবালা যখন বুঝতে পারলেন যে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন তখন গৌরিবালা অরণ্য কুমারকে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। অরণ্য কুমার এতে রাজী না হয়ে অবৈধ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। এদিকে চন্ডিদাস বিষয়টি জানার জন্য চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২/১২/১৯২০ ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তী। (সৈয়দা পাপিয়া: (পাশ থেকে চিৎকার দিয়ে সমর্থন দিয়ে) ইয়োওওওও...(টেবিল চাপড়াতে থাকেন।)) চন্ডিদাস অরণ্য কুমার চক্রবর্তীকে গৌরিবালাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে, (সৈয়দা পাপিয়া: (টেবিল চাপড়িয়ে সমর্থন দিয়ে) পড়তে থাক, পড়তে থাক...পড়তে থাকুন, ধরতে থাকুন...বাদ যাইসই না...হ্যা) কিন্তু অরণ্য কুমার রাজি হন না। এরই মধ্যে দেবদাসের বয়স ২ বছরে উন্নীত হয়। চন্ডিদাস হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেন এবং ভীষণ ভাবে অসুস্থতা বোধ করেন। দেবদাসের (শিরীন শারমিন চৌধুরী:(সরকারদলীয় উত্তেজিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে) মাননীয় সদস্যবৃন্দ আপনারা একটু শান্ত হন..(রেহানা আক্তার রানুকে উদ্দেশ্য করে) মাননীয় সদস্য) বয়স যখন ৩ বছর তখন দেবদাসের মহুরী শেখ লুৎফুর রহমান গৌরিবালাকে বিয়ে করেন... (মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়) (শিরীন শারমিন চৌধুরী: মাননীয় সদস্য আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, মাননীয় সদস্যবৃন্দ আপনারা বসুন সবাই বসুন বসুন। মাননীয় সদস্য আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাননীয় সদস্য, আপনি ২৭০ বিধি অনুসরণে বাজেটের উপর বক্তব্য দিন। মাননীয় সদস্য। উনাকে মাইক দিন) ধন্যবাদ মাননীয় স্পিকার, আপনি আমাকে বাজেটের উপর বক্তব্য দিতে বলেছেন। কিন্তু গত বিশ তারিখে যে বক্তৃতা দেওয়া হয়েছে আমি আপনার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই এটা কি বাজেট বক্তৃতা ছিল?
    • ২৩ জুন ২০১৩ সংসদে [১] [২]
  • রক্তপিপাসু এই সরকারের পতন চাই। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য কাতান শাড়ি পরে সেজেগুজে বসেছিলেন। তিনি অপেক্ষা করছিলেন, বিরোধী দলের কারও লাশ ছাড়া তিনি শপথ নেবেন না বলে পণ করেছিলেন। ফেনীর একজন ছাত্রদল নেতা নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তিনি হাসিমুখে অফিসে যান। বলছিলেন, আয় সন্ত্রাসী, আয় বাকশালি খুন করিতে যাই, লাশের মালা গলায় দিয়ে শপথ নিতে যাই।' আমরা এখানে সরকারের গুণগান করতে আসিনি, রবীন্দ্রসংগীত করতে আসিনি। আমরা এসেছি, সরকারের সমালোচনা করতে। এই সরকার গত চার বছরে করেনি এমন কোনো অপকর্ম নেই। এরা কেবল নারীকে পুরুষ আর পুরুষকে নারী করেনি। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪-০তে হেরেছে। তাঁদের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন তাঁরা পরাজয়ের বেদনায় ভুগছেন। '
  • সরকারি দল গিরিঙ্গী করছে যেন বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদ ছেড়ে চলে যায়।' সরকার চাচ্ছে বিরোধী দল যেন সংসদে না আসে। আমরা ওয়াকআউট করব। কিন্তু সংসদ ছাড়ব না। সরকারের দুর্নীতির যে তথ্য আছে তা প্রকাশ করব। আমার হাতে এখন যে বইটি আছে সেটা হল মতিউর রহমান রিন্টুর লেখা 'আমার ফাঁসি চাই'।, এ বই পড়া শুরু করলে সরকারি দল 'বান্দরে'র মতো লাফালাফি করবেন, কিন্তু ওয়াকআউট করতে পারবেন না।' সংসদ নেতা এখান থেকে বসে চিরকুট পাঠান, আর অন্যেরা বলেন। সংসদের এক নম্বর ব্যক্তি ঠিক হলে, আমরাও ঠিক হব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি নামাজ পড়েন আর আমাদের নেত্রীর বাসায় নাকি মদ পাওয়া যায়। আমাদের নেত্রীকে বাড়ি থেকে বের করা হয়েছে। অর্ধেক মদ প্রধানমন্ত্রী খেয়ে বাকি অর্ধেক ওই ফ্রিজে রেখে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় মাতাল। 'মাতালের মায়ের বড় গলা।
  • এই খলনায়িকাদের এ দেশের মানুষ চেনে। আমরা এর ধিক্কার জানাই। '২০ জুন যে বক্তব্য সরকারদলীয়রা দিয়েছেন, তা কি বাজেট বক্তব্য ছিল। আমি কেবল পাল্টা জবাব দিচ্ছি। আমাকে বলতে দিতে হবে। আপনি যদি বক্তব্য দিতে না দেন, তবে সবাই আপনাকে মাজাভাঙা স্পিকার বলবে।' 'গত ২০ জুন একজন হিন্দু সদস্য ফেনসিডিল খেয়ে, ইয়াবা খেয়ে আমাদের নেত্রীকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অন্ধকার জগৎ থেকে উঠে আসা নর্দমার কীটদের পক্ষেই সম্ভব, যিনি কুৎসা রটনা করেছেন, তিনি পলিটিক্যাল প্রসটিটিউট।' অপু উকিল পাকিস্তানি জেনারেল সিদ্দিক সালিকের যে বই এর কথা বলেছেন, সে ধরনের কোন বই নেই। কর্নেল তাহেরকে নিয়ে দেওয়া রায়কে বিএনপি মানে না। এটা থাবা বাবার রায়। এই রায় মানি না, মানব না। উচ্চ আদালত তো বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে রং হেডেড বলেছেন। তা হলে তো তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন না। তিনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বলেন, 'খুনি বাবার খুনি কন্যা, নাম তার ভালোবাসিনা'। আমাদের ভাষা যদি নিষিদ্ধ পল্লির হয়, তবে তাদের ভাষা সেই পল্লির সর্দারণীর।
  • এ সরকারের আমলে অনেকের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে, ডেপুটি স্পিকার স্পিকার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সে স্বপ্নও ভঙ্গ হয়েছে। জিয়া হত্যার পর বোরকা পরে পালানোর সময় সীমান্তে শেখ হাসিনা ধরা পড়েছিলেন। 'বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রত্যাখ্যাত প্রিন্সেস টিনা খান, প্রিন্সেস জরিনা সুন্দরীরা এখন সংসদে। ফেনসিডিল খেয়ে তারা আবোল তাবোল বলছেন। বিএনপি জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেনি। জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান আওয়ামী লীগের এক নেতার আত্মীয়। আওয়ামী লীগের সবাই হলো ওই জঙ্গির শালা। শেখ হাসিনা তাঁর স্বামী নির্ঘাতিত পুরুষ ওয়াজেদ মিয়াকে শান্তি দিতে পারেননি। অশান্তিতে রেখেছেন। তিনি কীভাবে ১৬ কোটি মানুষকে শান্তি দেবেন। রানু বলেন, দুই পুলিশ কর্মকর্তা হারুন ও বিপ্লব বিরোধী দলের চিফ হুইপকে পিটিয়েছেন। সরকাী দলের এমপির বিপ্লব বিরোধী দলের সাংসদদের শুয়োরের বাচ্চা বলেছিলেন।, "আওয়ামী লীগের পালানোর সময় হয়েছে। তারেক রহমান দেশে ফিরলে আওয়ামী লীগের দেশে থাকার কোনো উপায় থাকবে না। 'হরে কৃষ্ণ হরে নাম' করে আওয়ামী লীগ দেশ থেকে পালাবে।"

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]