লায়লা হাসান
অবয়ব
লায়লা হাসান (জন্ম: ১৯৪৬) একজন বাংলাদেশি কোরিওগ্রাফার, নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী। বাংলাদেশ সরকার শিল্পক্ষেত্রে তার অবদানের কথা চিন্তা করে তাকে একুশে পদকে ভূষিত হন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমরা মায়ের মতো এত পরিশ্রমী, নিখুঁত, আদর্শবান সংসারী হতে পারিনি। কিন্তু মায়ের গোছানো পরিপাটি সংসারকে প্রশংসা করেছি সর্বদা। মনে মনে ভেবেছি সংসার ও সৃষ্টির ব্যাপারে একজন মানুষ এতটা নিখুঁত হন কী করে?
- নৃত্যসারথি লায়লা হাসান, সঙ্গীতা ঈমাম, ৮ আগস্ট ২০২৩, ঢাকা পোস্ট।
- এখনকার ছেলেমেয়েদের অহংকার সমস্যাটা বেশি। সহনশীলতা নাই, ধৈর্য নাই। আমরা তো ভাবতাম বিয়ের পর, এটাই আমার ঠিকানা, এটাই আমার ঘর। আমি আমার মেয়েদেরও তা-ই শিখিয়েছি। উনিশ-বিশ তো পৃথিবীর সব সংসারে থাকবে। যখন সংসারটাকে আমার নিজের মনে করব, তখন শান্তিও আসবেই।
- আমি বয়সে আমার স্বামীর থেকে ১২ বছরের ছোট হলেও, ছোটর প্রতি যে আলাদা শ্রদ্ধা দেখানো উচিত, তা তিনি ভীষণভাবে দেখাতেন। পরিবার আর ক্যারিয়ারের কোনো কাজ আলোচনা না করে, তিনিও করেননি, আমিও না। সবকিছু নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই করতাম।
- সমঝোতা ও বিশ্বস্ততা হচ্ছে সম্পর্কের মূল ভিত। দুজন দুজনকে বিশ্বাস করতেই হবে। আমরা কাজের জন্য দেশের বহু জায়গায় গিয়েছি, দেশের বাইরে গিয়েছি। একা আমি গিয়েছি, একা উনিও গিয়েছেন—মনে করেছি, আমার স্বামী আমারই। যত মেয়ের সঙ্গে অভিনয় করুক, উনি আমারই আছেন—এটা সব সময় মনে করতাম। তাঁর কাছ থেকেও আমার কোনো কিছুতে কমতি পাইনি। বিশ্বাস করাটা, বিশ্বস্ততা খুব জরুরি। সংসারজীবনে কথা-কাটাকাটি হবেই। ঝগড়াঝাঁটিও হবেই। মতের অমিল হবেই। তারপরও একটা বোঝাপড়ায় চলে আসব।
- মনে করেছি, আমার স্বামী আমারই: লায়লা হাসান, ৩০ জুন ২০১৮, প্রথম আলো
- মুক্তিযুদ্ধে যারা অবদান রেখেছেন, যারা রক্ত ও জীবন দিয়েছেন; তাদের রক্তের যে সম্মান, সেটা আমরা সেভাবে দিতে পারিনি, পারছি না। আমার ভীষণ দুঃখ হয়। পরের প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর দেশ আমরা দিতে পারলাম না। আমাদের আসলে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। আমরাই তো এক নেই। সবারই কেন যেন ইচ্ছে থাকে কিছু পাওয়ার। আমাদের দেশটা আসলে অভাগা। মুঘল, ব্রিটিশ, পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়েও কেন যেন স্বাধীন হলো না দেশটা।
- লতে দ্বিধা হয়, তবু বলতে হয়, দেশটাকে আমরা তেমনভাবে ভালোবাসি না, বাসলে আজ দেশটা এ রকম হতো না। উন্নতি হয়েছে অনেক, বর্তমান সরকার অনেক কাজ করেছে, বাংলাদেশের চেহারা বদলে দিয়েছে। কিন্তু সমাজের উন্নতি হয়নি। দেশকে একজন দুজন ভালোবাসলে হবে না, সবাই মিলে ভালোবাসতে হবে, দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নিজের লাভের কথা কম ভেবে দেশের লাভের কথা ভাবতে হবে।
- আমাদের দেশটা আসলে অভাগা : লায়লা হাসান, রাসেল মাহ্মুদ, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, খবরের কাগজ
- আমাদের ভাষা, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বোধ আরো সমন্বিত করতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। ছড়িয়ে দিতে হবে নতুন প্রজন্মের মাঝে। এদের হাতেই অর্পন করে যেতে হবে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। তাদেরকে শেকড়ের সন্ধান দিতে হবে, আমাদের নববর্ষ, বইমেলা, পহেলা বৈশাখ, পান্তা ইলিশ, এগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে তাদের মাঝে, কারন এরাই আমাদের বাংলাদেশ। বলেন, দেশে এবং প্রবাসে ব্যস্ত জীবনের মাঝেও যারা এসব নিয়ে কাজ করেন তাদের আন্তরিক অভিবাদন জানাই এবং আগামী প্রজন্মের জন্য ভালোবাসা।
- দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মূলমন্ত্র হচ্ছে দুজনের মাঝে পারস্পারিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস আর সহযোগিতা ছিল।
- নৃত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র লায়লা হাসান, এম আর ফারজানা, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, প্রথম আলো
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় লায়লা হাসান সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।