লালসালু (উপন্যাস)

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

লালসালু বাঙালি লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত অভিষেক উপন্যাস। ১৯৪৮ সালে রচিত এবং প্রকাশিত উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপদী সৃষ্টিকর্ম হিসেবে বিবেচিত। এর পটভূমি ১৯৪০ কিংবা ১৯৫০ দশকের বাংলাদেশের গ্রামসমাজ হলেও এর প্রভাব বা বিস্তার কালোত্তীর্ণ। ধর্মভীরু গ্রামীণ মুসলিম সমাজে সাধারণ মানুষের সরলতাকে কেন্দ্র করে এক কল্পিত মাজারকে পুঁজি করে চতুর ধর্মব্যবসায়ী কীভাবে প্রতিষ্ঠা পায়, ধর্মকে ব্যবসার উপাদানরূপে ব্যবহার করে কিভাবে স্বার্থহাসিল করে তাই চিত্রিত হয়েছে এ উপন্যাসে।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • মজিদ গ্রামবাসী ও বেপারী কে উদ্দেশ্য করে বলে,–আপনারা জাহেল, বেএলেম, আনপাড়হ। মোদচ্ছের পীরের মাজারকে আপনারা এমন করি ফেলি রাখছেন?
    • লালসালু উপন্যাস সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

লালসালু উপন্যাসের উক্তি সম্পর্কে উক্তি[সম্পাদনা]

  • মজিদ বলে,—অমন করি হাঁটতে নাই বিবি, মাটি-এ গোস্ব করে। এই মাটিতেই তো একদিন ফিরি যাইবা–থেমে আবার বলে, মাটিরে কষ্ট দেওন গুণাহ্‌।অমন করি কখনো হাঁটিও না। কবরে আজাব হইবে।
    • লালসালু উপন্যাস সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

== আরও দেখুন ==হাসুনির মা রহিমাকে উদ্দেশ্য করে বলে ,আমার আর্জি–ওনারে কইবেন, আমার যেন মওত হয়।জ্বালা আর সইহ্য হয় না বুবু।-আল্লায় যেন আমারে সত্বর দুনিয়া থিক।লইয়া যায়।—হ, খাঁটি কথা কইলাম বুবু। দুইটার লাঠালাঠি চুলচুলি আর ভালো লাগে না।

তাহের কাদেরের মা ওর বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলে,ওরে মরার ব্যাটা, তুই কী ভাবছস? ভাবছস বুঝি পোলাগুলি তোর জন্মের? আল্লা সাক্ষী–হেগুলি তোর জন্মের না, তোর জন্মের না!

তাহের খোশ মেজাজে বলে,-শরীলে রঙ ধরছে ক্যান, নিকা করবি নাকি? ক্যামনে খাইছস?

বুড়ী হাশরের মাকে উদ্দেশ্য করে বলে,–খানকির বেটি নিকা করবো বলাই তো মানুষটারে খাইছে!

জামায়াতে মজিদ তাহেরের বাপকে উদ্দেশ্য করে বলে—তুমি কী মনে করো মিঞা? তুমি কী মনে করে তোমার বিবি মিছা বদনাম করে? তুমি কী হলফ কইরা বলতে পারো তোমার দিলে ময়লা নাই?

এক রাতে রহীমা মজিদকে উদ্দেশ্য বলে,–এক পীর সাহেব আইছেন না হেই গোরামে, তানি নাকি মরা মাইনষেরে জিন্দা কইরা দেন?

মজিদ বেপারীকে উদ্দেশ্য করে বলে,-তানারে কন, পেটে যে বেড়ি পড়ছে হে বেড়ি না খোলন পর্যন্ত পোলাপাইনের আশা নাই। শয়তানের পানিপড়া খাইয়া কি হে বেড়ি খুলবো?

আক্কাস জমায়েতে মজিদকে উদ্দেশ্য করে বলে,-বদ মতলব আর কী? দিনকাল আপনারা দেখবেন না? আইজকাইল ইংরাজি না পড়লে চলবো ক্যামনে?

জমিলা রহিমাকে উদ্দেশ্য করে বলে,-তানি যখন আমারে বিয়া করবার যায় তখন খোদেজা বুবু বেড়ার ফাঁক দিয়া তানারে দেখাইছিল।তুমি আমার লগে মস্কার কর খোদেজা বুবু। কারণ কী আমি ভাবলাম, তানি বুঝি দুলার বাপ।

রহীমা হঠাৎ গা ঝাড়া দিয়ে সোজা হয়ে বসে। তারপর স্বামীর পানে তাকিয়ে পরিষ্কার গলায় বলে,–ধান দিয়া কী হইবো, মানুষের জান যদি না থাকে? আপনে ওরে নিয়া আসেন ভিতরে।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]