শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • ভালোবাসা মানেই কিন্তু ভালো করা। তার ভালোর জন্যে কিছু যদি না-ই করলে তাহলে ভালোবাসা বন্ধ্যা হয়ে গেল, মিথ্যে হয়ে গেল।
  • "লোকটা গরিব, বুঝলেন! খুবই গরিব।" কী রকম এবং কতটা গরিব বলুন তো!"যাচ্ছেতাই রকমের গরিব মশাই, বিচ্ছিরি রকমের গরিব। আসলে টাকা ছাড়া লোকটার আর কিছুই নেই।"
  • যে জীবন তাঁর নয়, যে জীবন তাঁর কখনো হবে না তাকে সিংহাসনে বসিয়ে মানুষ মাঝে মাঝে এরকম ধূলায় পরে কাঁদে।
  • বেশির ভাগ মানুষেরই অভ্যাস হল, যেখানে বলার কথা কিছু নেই, সেখানেও অকারণে কথা বলে যায়, প্রয়োজন থাক বা না থাক।
  • আকাশ কতটা পরিষ্কার থাকলে, কতখানি জ্যোৎস্না উঠলে কতগুলো গাছপালা এবং কতখানি মাঠ-ময়দান থাকলে কতটা সৌন্দর্যের সৃষ্টি হবে, তার পিছনেও কি অঙ্ক নেই?
  • কোন কোন স্বামী-স্ত্রী বোধহয় তাদের সম্পর্কের বিষকেই বেশী উপভোগ করে। মধুর কথা তারা কানে নেবে না।
  • পঞ্চাশ ছোঁয়া বয়সটা বড় মারাত্মক ভাটির টান যখন লাগে মানুষ তখন ভোগসুখের জন্য পাগল হয়ে যায়, জানেতো আর বেশি সময় নেই হাতে, শরীরের ক্ষমতা আর বেশিদিন থাকবে না! ণত্ব ষত্ব জ্ঞান হারিয়ে তখন সে কেবল খাই খাই করে খাবলাতে থাকে চারপাশের ভোগ্যবস্তুকে চুলে কলপ দেয় রঙ চঙে জামা গায়ে চড়ায়, সেন্ট মাখে! আর স্ত্রী? স্ত্রীর করার কি বা থাকে বিষচক্ষে দেখে যেতে হয়! দু’ জনার মাঝে অসীম ব্যবধান তৈরি হয়!
  • যখন কোন মেয়ে দু’বেলা খাবার, মাথার ওপরে একটু ছাদ এর বেশি আরো কিছু আছে তা বুঝতে শিখে, তবেই তার ভেতরে জন্ম নেয় লজ্জা আর রোমাঞ্চ!
  • আলাপ করতে একটা টিউনিং দরকার, টিউনিং না থাকলে কথা আসেনা।
  • ব্যাধিময়, ব্যথাময়, নশ্বর এই শরীর নিয়ে মানুষের কত না ভাবনা, কিন্তু শরীরখানা দেওয়া হয়েছে এটাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য, বসিয়ে বা আরাম করার জন্য না!
  • বাপ আর ছেলের মধ্যে যেমন জেনারেশন গ্যাপ থাকে, দাদা আর নাতীর মধ্যে তেমনটা থাকে না। ছেলে আর বাপের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে দাদু আর নাতির মধ্যে তা নেই! প্রজন্মগত পার্থক্যটা বেশি হলে তাদের মধ্যে এক সমঝোতা গড়ে ওঠে!
  • কারো আদর কাড়া কথা শুনলে, মন মরা জীবনেও মাঝে মাঝে বাঁচতে বাঁচার ইচ্ছে জাগে, অল্প আদর পেলেই মনে হয় অনেকখানি পেয়ে গেলাম। আর বুঝি কিছু চাওয়ার নেই!
  • দুনিয়াতে পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। মানুষের পালানোর সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো তার মন। যদি সেখানে ঢুকে কপাট বন্ধ করে দিতে পারি তবে কেউ আর নাগাল পাবে না।
  • মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করলে দাঁড়ানোর জায়গা পাবে না। বাঙালিরা বড্ড তাড়াতাড়ি আন্তর্জাতিক হয়ে যায়, তাই তাদের শক্তি কম।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]