সাহিত্য
অবয়ব
সাহিত্য মানুষের চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা এবং কল্পনার প্রকাশ। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, আত্মজীবনী, জীবনী, সমালোচনা, রম্যরচনা, গান, প্রবাদ, প্রবচন, ধাঁধা, শ্লোক, চরিত্রাবলী ইত্যাদি বিভিন্ন রূপে সাহিত্য আমাদের সামনে ধরা দেয়। সাহিত্যের সৌন্দর্য, কল্পনা, বাস্তবতার প্রতিফলন, নীতিশিক্ষা এবং আনন্দ প্রদানের ক্ষমতা এটিকে মানবজীবনের একটি অপরিহার্য অংশ করে তোলে। গদ্য, পদ্য, কাব্য, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি সাহিত্যের বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ আমাদের জ্ঞান, চিন্তা, ভাবনা, অনুভূতি ও কল্পনাকে সমৃদ্ধ করে। সাহিত্য আমাদের জীবনকে করে তোলে সমৃদ্ধ ও সুন্দর।
উক্তি
[সম্পাদনা]- প্রত্যেক ভাষাই তার নিজস্ব গতিশীলতা দ্বারা পরিচালিত হয় এবং প্রত্যক ভাষার মান নিণীত হয় সাহিত্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তার অবদান দ্বারা।
- ফজলুর রহমান, উর্দু ভাষাকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার পক্ষে বক্তব্য, মাহে নও, জুলাই ১৯৫১। উল্লেখিত হয়েছে: "উর্দু ভাষাকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার পক্ষে বক্তব্য", বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড), ঢাকা, হাক্কানী পাবলিশার্স, ২০০৯।
- সাহিত্যের বিষয় মানবহৃদয় এবং মানবচরিত্র।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, "সাহিত্যের তাৎপর্য", সাহিত্য, কলকাতা, বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, ১৯৫৮।
- সাহিত্য ব্যক্তিবিশেষের নহে, তাহা রচয়িতার নহে, তাহা দৈববাণী।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, "সাহিত্যের তাৎপর্য", সাহিত্য, কলকাতা, বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, ১৯৫৮।
- ভগবানের আনন্দসৃষ্টি আপনার মধ্য হইতে আপনি উৎসারিত; মানবহৃদয়ের আনন্দসৃষ্টি তাহারই প্রতিধ্বনি। এই জগৎসৃষ্টির আনন্দগীতের ঝংকার আমাদের হৃদয়বীণাতন্ত্রীকে অহরহ স্পন্দিত করিতেছে; সেই-যে মানসসংগীত, ভগবানের সৃষ্টির প্রতিঘাতে আমাদের অন্তরের মধ্যে সেই-যে সৃষ্টির আবেগ, সাহিত্য তাহারই বিকাশ।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, "সাহিত্যের তাৎপর্য", সাহিত্য, কলকাতা, বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, ১৯৫৮।
- চিরকাল যদি মানুষ আপনার কোনো জিনিস মানুষের কাছে উজ্জ্বল নবীন ভাবে অমর করিয়া রাখিতে চায় তবে তাহাকে ভাবের কথাই আশ্রয় করিতে হয়। এইজন্য সাহিত্যের প্রধান অবলম্বন জ্ঞানের বিষয় নহে, ভাবের বিষয়।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, "সাহিত্যের সামগ্রী", সাহিত্য, কলকাতা, বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, ১৯৫৮।
- অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষার, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের এবং ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করিয়া তোলা সাহিত্যের কাজ।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, "সাহিত্যের তাৎপর্য", সাহিত্য, কলকাতা, বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, ১৯৫৮।
- সংসারে মানুষ যে আপনাকে প্রকাশ করিতেছে সেই প্রকাশের দুইটি মোটা ধারা আছে। একটা ধারা মানুষের কর্ম, আর-একটা ধারা মানুষের সাহিত্য। এই দুই ধারা একেবারে পাশাপাশি চলিয়াছে। মানুষ আপনার কর্মরচনায় এবং ভাবরচনায় আপনাকে ঢালিয়া দিয়াছে। ইহারা উভয়ে উভয়কে পূরণ করিতে করিতে চলিয়াছে। এই দুয়ের মধ্য দিয়াই ইতিহাসে ও সাহিত্যে মানুষকে পুরাপুরি জানিতে হইবে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, "বিশ্বসাহিত্য", সাহিত্য, কলকাতা, বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, ১৯৫৮।
- সাহিত্যের অভাবে আমাদের মধ্যে পূর্বাপরের সজীব যোগবন্ধন বিচ্ছিন্ন হইয়া গেছে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, "বাংলা জাতীয় সাহিত্য", সাহিত্য, কলকাতা, বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, ১৯৫৮।
- সাহিত্যের স্থূল অর্থ একজনের চিন্তা অনেককে জানানো।
- রাজশেখর বসু; রাজশেখর বসু, "সাহিত্যিকের ব্রত", বিচিন্তা, কলকাতা, ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড পাবলিশিং কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, ১৯৫৬।
- জীবনযাপনের অভিজ্ঞতাই হবে সাহিত্য। সাহিত্য আমাদের কাছে কল্পনাবিলাস বা ভাববিলাস নয়। জীবনের প্রকৃত বাস্তবতা দিয়ে আমাদের সাহিত্যের শুরু, শেষ হবে, আমরা মনে করি, প্রত্যেকের জীবনের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে। চেতনার ক্রমপ্রসারণ প্রক্রিয়ায় দেখা দেবে এই সম্ভাবনা। এটা বুঝতেই হবে যে একজন স্রষ্টা আর একজন সাহিত্যব্যবসায়ীর মধ্যে পার্থক্য একজন ভ্রমণকারী ও একজন দারোয়ানের পার্থক্যের সমান!
- শৈলেশ্বর ঘোষ; শৈলেশ্বর ঘোষ, প্রতিবাদের সাহিত্য, কলকাতা, এবং মুশায়েরা, ২০১১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় সাহিত্য সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে সাহিত্য শব্দটি খুঁজুন।