সুকুমার বড়ুয়া
অবয়ব
সুকুমার বড়ুয়া (জন্ম: ৫ জানুয়ারি ১৯৩৮) বাংলাদেশের প্রখ্যাত ছড়াকার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছড়া রচনায় ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন। বিষয়-বৈচিত্র্য, সহজ-সরল উপস্থাপনা এবং অপূর্ব ছন্দমিল তার ছড়াকে করেছে স্বতন্ত্র।
উক্তি
[সম্পাদনা]- মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে, বয়সের মাধ্যমে নয়।
- নশ্বর পৃথিবীতে অবিনশ্বর হয় মানুষের কর্মকাণ্ড।
- মানব কল্যাণ ব্যায়িত জীবন, মানুষের মনে বেঁচে থাকে অন্তকাল। মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে। তাইতো কথায় আছে কীর্তিমান মানুষের মৃত্যু নেই।
- শিশুদের জন্য একটি লাইব্রেরি করেছি। তারা পড়বে। একটা বই একটা শিশুর জীবন বদলে দিতে পারে, আমার যেমন দিয়েছে।
- যখন বাবুর্চির কাজ করবে, তখন ঠিকঠাকমতো করবে। আর যখন লিখতে বসবে, তখন তুমি পৃথিবীর আর সব বড় কবির মতোই।
- সুকুমারের উদ্দেশ্যে মাহবুব উল আলম
- অসময়ে মেহমান
ঘরে ঢুকে বসে যান
বোঝালাম ঝামেলার
যতগুলো দিক আছে
তিনি হেসে বললেন
ঠিক আছে ঠিক আছে।- ছিলেন ‘বাবুর্চি’, ছড়া লিখে পেলেন একুশে পদক, ওমর কায়সার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, প্রথম আলো
- চিচিং ফাঁক হে, চিচিং ফাঁক
বন ময়ূরের পুচ্ছ পরে নাচছিল সব শকুন খাক
দমকা জ্বরে হঠাৎ করে ঘটিয়ে দিল ঘুর্বিপাক
চিচিং ফাঁক হে, চিচিং ফাঁক।
- তৃপ্ত হওয়া মানে তো শেষ হয়ে যাওয়া। তৃপ্তি হয়নি আমার।
- শেয়াল নাকি লোভ করে না পরের কোনো জিনিশটার/ কী পরিচয় দিল আহা কী সততা কী নিষ্ঠার...
- রোগের বয়স পঞ্চবর্ষ/ ডাক্তারে দেন পরামর্শ/ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে/ অবিলম্বে যাবেন চলে/ পুরি কিংবা আগরতলা/ দুগ্ধে খাবেন সাগরকলা/ না হয় যাবেন কক্সবাজার/ বড়ি খাবেন একশো হাজার/ কই মাগুর আর মুরগি স্যুপ/ খেতে পারেন ইচ্ছেরূপ।
- সুকুমার বড়ুয়া | Bangla Tribune
- ব্যাঙের ছানা মাপতে এলো নাম করা এক মাপিয়ে/তিড়িং বিড়িং পালা থেকে সব পড়ে যায় লাফিয়ে/একটা যদি খাবলে ধরে তিনটে আবার উল্টে পড়ে কি আর করে মনের দুখে লোকটা ওঠে হাঁপিয়ে/শেষে কি না কুয়োর জলে নিজেই পড়ে ঝাঁপিয়ে/কি হয় কথিত সার্টিফিকেট বিদ্যার জোরে?
- দেখছিরে ভাই দেখছি তোমার হক বিচারের নমুনা/খোলা মাঠে ক ইয়া দিমু কানে কানে কমুনা।
- সুকুমার বড়ুয়া : ছড়া ও ছন্দের বাংলাদেশি জাদুকর - অজয় দাশগুপ্ত, ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ | আমাদের সময়.কম
- তরুণরা তোমরা বলবে কম, লিখবে কম। কিন্তু তোমরা ভাববে বেশি।
- শুভ জন্মদিন ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া, যুগান্তর
- এমন যদি হতো/ইচ্ছে হলে আমি হতাম/প্রজাপতির মতো। /নানান রঙের ফুলের পরে/বসে যেতাম চুপটি করে/খেয়াল মতো নানান ফুলের/সুবাস নিতাম কতো।
- অসময়ে মেহমান/ঘরে ঢুকে বসে যান/বোঝালাম ঝামেলার/যতগুলো দিক আছে/তিনি হেসে বললেন,/ঠিক আছে ঠিক আছে। /রেশনের পচা চাল/টলটলে বাসি ডাল/থালাটাও ভাঙাচোরা/বাটিটাও লিক আছে/খেতে বসে জানালেন,/ঠিক আছে ঠিক আছে। /মেঘ দেখে মেহমান/চাইলেন ছাতাখান/দেখালাম ছাতাটার/শুধু কটা শিক আছে/তবু তিনি বললেন,/ঠিক আছে ঠিক আছে।
- পুঁইয়ের ডাঁটা লাউয়ের ডাঁটা/বায়োডাটার ঝোল,/ডাটা প্রসেস করতে হলে/কম্পিউটার খোল। /ডাঁটার পাগল বুড়োবুড়ি/ক্যালসিয়ামে ভরা,/শজনে ডাঁটায় গুণ বেশি তাই/বাজার ভীষণ চড়া।
- ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়ার ৮৪তম জন্মদিন আজ, শাহ মতিন টিপু, রাইজিংবিডি.কম, ৫ জানুয়ারি ২০২১
- আধুনিক ব্যাঙ বাবু/ বৈজ্ঞানিক উপায়ে,/ লাফ–ঝাঁপ ভুলে গিয়ে/ হাঁটে সোজা দু’পায়ে;/ বর্ষায় পথ চলে/ রাবারের ‘সু’ পায়ে,/ মনে বড় ব্যথা পেলে/ কেঁদে ওঠে ফুঁপায়ে।
- বরের বাড়ি আগরতলা/ কনের বাড়ি কটক,/ বিয়ের তারিখ পাকাপাকি/ ঠিক করেছেন ঘটক।/ শুন্য হাতে আসলে পরে/ দেয় তাড়িয়ে হেলায় ভরে/ উপহারের বাকস দেখে/ তবেই খোলেন ফটক।
- মামার ছ্যাকরা গাড়ি/ ছাড়িয়ে গেলো যাত্রাবাড়ি/ সামনে হঠাৎ নদী দেখে/ সেই দিয়েছে এক লাফ/ অমনি গাড়ি পৌঁছে গেলো/ ঢাকা থেকে টেকনাফ।
- সুকুমার বড়ুয়া: ছড়ারাজ্যের বিস্ময়, ইলিয়াস বাবর, ৬ জানুয়ারি ২০১৮
- হ্যালো-হ্যালো-হ্যালো
তুমি নাকি সারাদিন
ভ্যানগাড়ি ঠেলো
ঘরে নাই চাল ডাল
সরিষার তেলও
লোন করে ফোন কিনে
কোন খেলা খেলো?- জীবনঘনিষ্ঠ ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া, ৫ জানুয়ারি ২০১৬, hello.bdnews24.com