সুকুমার বড়ুয়া

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

সুকুমার বড়ুয়া (জন্ম: ৫ জানুয়ারি ১৯৩৮) বাংলাদেশের প্রখ্যাত ছড়াকার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছড়া রচনায় ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন। বিষয়-বৈচিত্র্য, সহজ-সরল উপস্থাপনা এবং অপূর্ব ছন্দমিল তার ছড়াকে করেছে স্বতন্ত্র।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে, বয়সের মাধ্যমে নয়।
  • নশ্বর পৃথিবীতে অবিনশ্বর হয় মানুষের কর্মকাণ্ড।
  • মানব কল্যাণ ব্যায়িত জীবন, মানুষের মনে বেঁচে থাকে অন্তকাল। মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে। তাইতো কথায় আছে কীর্তিমান মানুষের মৃত্যু নেই।
  • শিশুদের জন্য একটি লাইব্রেরি করেছি। তারা পড়বে। একটা বই একটা শিশুর জীবন বদলে দিতে পারে, আমার যেমন দিয়েছে।
  • যখন বাবুর্চির কাজ করবে, তখন ঠিকঠাকমতো করবে। আর যখন লিখতে বসবে, তখন তুমি পৃথিবীর আর সব বড় কবির মতোই।
    • সুকুমারের উদ্দেশ্যে মাহবুব উল আলম
  • চিচিং ফাঁক হে, চিচিং ফাঁক
    বন ময়ূরের পুচ্ছ পরে নাচছিল সব শকুন খাক
    দমকা জ্বরে হঠাৎ করে ঘটিয়ে দিল ঘুর্বিপাক
    চিচিং ফাঁক হে, চিচিং ফাঁক।
  • তৃপ্ত হওয়া মানে তো শেষ হয়ে যাওয়া। তৃপ্তি হয়নি আমার।
  • শেয়াল নাকি লোভ করে না পরের কোনো জিনিশটার/ কী পরিচয় দিল আহা কী সততা কী নিষ্ঠার...
  • রোগের বয়স পঞ্চবর্ষ/ ডাক্তারে দেন পরামর্শ/ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে/ অবিলম্বে যাবেন চলে/ পুরি কিংবা আগরতলা/ দুগ্ধে খাবেন সাগরকলা/ না হয় যাবেন কক্সবাজার/ বড়ি খাবেন একশো হাজার/ কই মাগুর আর মুরগি স্যুপ/ খেতে পারেন ইচ্ছেরূপ।
  • ব্যাঙের ছানা মাপতে এলো নাম করা এক মাপিয়ে/তিড়িং বিড়িং পালা থেকে সব পড়ে যায় লাফিয়ে/একটা যদি খাবলে ধরে তিনটে আবার উল্টে পড়ে কি আর করে মনের দুখে লোকটা ওঠে হাঁপিয়ে/শেষে কি না কুয়োর জলে নিজেই পড়ে ঝাঁপিয়ে/কি হয় কথিত সার্টিফিকেট বিদ্যার জোরে?
  • দেখছিরে ভাই দেখছি তোমার হক বিচারের নমুনা/খোলা মাঠে ক ইয়া দিমু কানে কানে কমুনা।
    • সুকুমার বড়ুয়া : ছড়া ও ছন্দের বাংলাদেশি জাদুকর - অজয় দাশগুপ্ত, ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ | আমাদের সময়.কম
  • এমন যদি হতো/ইচ্ছে হলে আমি হতাম/প্রজাপতির মতো। /নানান রঙের ফুলের পরে/বসে যেতাম চুপটি করে/খেয়াল মতো নানান ফুলের/সুবাস নিতাম কতো।
  • অসময়ে মেহমান/ঘরে ঢুকে বসে যান/বোঝালাম ঝামেলার/যতগুলো দিক আছে/তিনি হেসে বললেন,/ঠিক আছে ঠিক আছে। /রেশনের পচা চাল/টলটলে বাসি ডাল/থালাটাও ভাঙাচোরা/বাটিটাও লিক আছে/খেতে বসে জানালেন,/ঠিক আছে ঠিক আছে। /মেঘ দেখে মেহমান/চাইলেন ছাতাখান/দেখালাম ছাতাটার/শুধু কটা শিক আছে/তবু তিনি বললেন,/ঠিক আছে ঠিক আছে।
  • পুঁইয়ের ডাঁটা লাউয়ের ডাঁটা/বায়োডাটার ঝোল,/ডাটা প্রসেস করতে হলে/কম্পিউটার খোল। /ডাঁটার পাগল বুড়োবুড়ি/ক্যালসিয়ামে ভরা,/শজনে ডাঁটায় গুণ বেশি তাই/বাজার ভীষণ চড়া।
  • আধুনিক ব্যাঙ বাবু/ বৈজ্ঞানিক উপায়ে,/ লাফ–ঝাঁপ ভুলে গিয়ে/ হাঁটে সোজা দু’পায়ে;/ বর্ষায় পথ চলে/ রাবারের ‘সু’ পায়ে,/ মনে বড় ব্যথা পেলে/ কেঁদে ওঠে ফুঁপায়ে।
  • বরের বাড়ি আগরতলা/ কনের বাড়ি কটক,/ বিয়ের তারিখ পাকাপাকি/ ঠিক করেছেন ঘটক।/ শুন্য হাতে আসলে পরে/ দেয় তাড়িয়ে হেলায় ভরে/ উপহারের বাকস দেখে/ তবেই খোলেন ফটক।
  • মামার ছ্যাকরা গাড়ি/ ছাড়িয়ে গেলো যাত্রাবাড়ি/ সামনে হঠাৎ নদী দেখে/ সেই দিয়েছে এক লাফ/ অমনি গাড়ি পৌঁছে গেলো/ ঢাকা থেকে টেকনাফ।

সুকুমার বড়ুয়া সম্পর্কে উক্তি[সম্পাদনা]