হাদিস
ইসলামে হাদিস (আরবি: حديث: হ্যদীথ়) যার আক্ষরিক অর্থে "কথা" অথবা "বক্তৃতা" বা আসার/আছার (আরবি: أثر আথ়ার) যার আক্ষরিক অর্থে "ঐতিহ্য" বলতে ইসলামের নবি মুহাম্মাদ কথা, কাজ ও নীরব অনুমোদন বুঝানো হয়, যা নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের শৃঙ্খলের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অন্য ভাষায়, মুহাম্মাদ সা. যা বলেছিলেন; যা করেছিলেন এবং যে কাজ দেখার পর নীরবতা অবলম্বন করেছিলেন, তাই হাদিস। হাদিস হলো পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা সরূপ। যেমন কুরআনে বলা হয়েছে: "তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্য আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না; কারণ এর সংরক্ষণ এবং পাঠ আমাদের দায়িত্বে। অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠ অনুসরণ করুন। এরপর তা ব্যাখ্যা করা আমাদের দায়িত্ব।"
উক্তি[সম্পাদনা]
- অতএব, যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দাও।’
- [সুরা : কাফ, আয়াত : ৪৫]
- আল্লাহ তায়ালা পরস্পর সাদস্যপূর্ণ কিতাব হিসেবে সুন্দরতম হাদিস নাজিল করেছে
- সুরা আল-যুমার ২৩
- একটি আয়াত বা বাণীও যদি হয়,আমার পক্ষ থেকে তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও
- সহীহ বুখারিঃ ৩৪৬১
- এক ব্যক্তি রাসুল (স:) কে এসে বলল, আমাকে এমন কিছু শেখান যাতে আমি সুন্দর ভাবে জীবন কাটাতে পারি। কিন্তু এমন কঠিন কিছু নয়, যা আমি ভুলে যেতে পারি। রাসুল (স:) বল্লেন: রাগ করো না”
- আল হাদিস [১]
- তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা পূন্যলাভ করবে না
- আল হাদিস
- তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা পূন্যলাভ করবে না।
- আল হাদিস
- তোমরা মদপান থেকে বিরত থাক। কেননা এটি যাবতীয় অপকর্মের চাবি।
- আল হাদিস
- যে ব্যক্তি কোন মুসলিম বৃদ্ধকে সম্মান করে, মহান আল্লাহ্ তাকে কেয়ামতের দিনের ভয় হতে নিরাপত্তা দান করেন’।
- আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন (লি-আলি’ল আখবার, পৃ. ১৮১)
- ‘তিনটি এমন জিনিষ আছে যাতে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হয়নি; প্রথম: প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, চাই অপর পক্ষ মুসলমান হোক বা কাফের। দ্বিতীয়: পিতা মাতার প্রতি দয়াশীল হওয়া, চাই তারা মুসলমান হোক বা কাফের। তৃতীয়: আমানত রক্ষা করা, চাই অপর পক্ষ মুসলমান হোক বা কাফের’।
- আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন মাজমুয়াতুল ওয়ারাম (তানবিহুল খাওয়াতের), খণ্ড ২, পৃ. ১২১)
- যে ব্যক্তির অধিকার রক্ষার বিষয়ে তুমি সতর্ক কিন্তু সে তোমার অধিকার রক্ষায় সতর্ক নয়, সে তোমার জন্য উত্তম বন্ধু নয় এবং সে তোমার সাথে ওঠাবসার যোগ্য নয়’।
- (নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৭৬)
- যে ব্যক্তি কথায় অধিক সত্যবাদী, আমানত রক্ষায় অধিক সতর্ক, প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অধিক ওয়াফাদার, যার চরিত্র অধিক উত্তম এবং তোমাদের মধ্য হতে জনগণের সাথে যার সম্পর্ক অতি নিকটের, সে কেয়ামতের দিন তোমাদের মধ্য হতে আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী ব্যক্তি’।
- আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন (তারিখে ইয়াকুবী, খণ্ড ২, পৃ. ৬০)
- তার চেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে সে, যাকে গালী দেওয়া হয় কিন্তু সে ধৈর্য্য ধারণ করে নিজের প্রতিশোধ পরায়ন নফসের উপর নিয়ন্ত্রন রাখে এবং নিজের শয়তান ও তাকে গালি দানকারী শয়তানের উপর বিজয়ী হয়।
- আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন (তারায়েফুল হেকাম, পৃ. ৪০০)
- যে ব্যক্তি জনগণের মাঝে সবচেয়ে প্রিয় হতে চায়, তার উচিত গুনাহ হতে দূরে সরে মহান আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করা’।
- আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন (কানযুল ফাওয়ায়েদ, খণ্ড ২, পৃ. ১০)
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় হাদিস সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।