মানকুমারী বসু
অবয়ব
মানকুমারী বসু (২৫ জানুয়ারি ১৮৬৩ - ২৬ ডিসেম্বর ১৯৪৩) ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি মহিলা কবি ও লেখিকা। পিতা আনন্দমোহন দত্ত ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্তের পিতৃব্য রাধামোহন দত্তের পুত্র। সেই সম্পর্কে মধুকবি ছিলেন তার খুল্লতাত। বিবাহের মাত্র নয় বছর পরে একমাত্র কন্যা সন্তান (প্রিয়বালা) নিয়ে মানকুমারী বিধবা হন। এরপর থেকেই তিনি সাহিত্য সাধনায় মনোনিবেশ করেন। তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'প্রিয়প্রসঙ্গ' ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল -প্রিয় প্রসঙ্গ, বিভূতি, শুভ সাধনা, কাব্যকুসুমাঞ্জলি, কনকাঞ্জলি, পুরাতন ছবি, বাঙালি রমণীদের গৃহকর্ম, বিবাহিতা স্ত্রীলোকের কর্তব্য, বীরকুমারবধ কাব্য, বনবাসিনী, সোনার শাঁখা প্রভৃতি।
উক্তি
[সম্পাদনা]- ধনীর দুয়ারে গেলে,
খেপায় তাদের ছেলে,
ছেঁড়া বাস দেখি দেহে রুখু-রুখু চুল,
ক্ষীর-সর যাহা পায়,
দেখায়ে-দেখায়ে খায়,
আমার বাছারা যবে ক্ষুধায় আকুল!- মায়ের কুটির, মানকুমারী বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা- ড. বারিদবরণ ঘোষ সম্পাদিত, প্রকাশক- ভারবি, প্রথম প্রকাশ: আশ্বিন ১৪০৮ (সেপ্টেম্বর ২০০১), পৃষ্ঠা ৩০
- এ দেহের চিহ্ন নাই
শুধু একরাশি ছাই
র’বে গঙ্গা-তীরে,
আর কি পাঠাবে বিভু!
সুন্দর জগতে কভু
আসিব কি ফিরে?- আসিব কি ফিরে?, কাব্যকুসুমাঞ্জলি - মানকুমারী বসু, পঞ্চম সংস্করণ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪০
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় মানকুমারী বসু সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।