আজান
অবয়ব
আজান বা আযান (আরবি:أَذَان) হচ্ছে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য ইসলামি আহ্বান বা ডাকধ্বনি। দিনের নির্ধারিত সময়গুলোতে একজন মুয়াজ্জিন আজান দেন। ঐতিহ্যগতভাবে মুসলমানদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য দৈনিক পাঁচবার মিনার থেকে উচ্চস্বরে আজান দেওয়া হয়। ফরজ নামাজের উদ্দেশ্য মসজিদে প্রবেশের জন্য এটি মুসলিমদের প্রথম আহ্বানধ্বনি। ইকামত নামে পরিচিত দ্বিতীয় আহ্বানধ্বনিতে মসজিদে উপস্থিত থাকা লোকেদের নামাজের শুরুর জন্য সারিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিটি মসজিদে একাধিক উচ্চস্বরে আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো সকলের কাছে ইসলামি বিশ্বাসের সহজে বোধগম্য সারসংক্ষেপ উপলব্ধ করানো।
উক্তি
[সম্পাদনা]- মস্জিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই,
যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্তে পাই॥- কাজী নজরুল ইসলাম, নজরুল-রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, দশম খণ্ড, প্রকাশক- বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ২১৫
- মস্জিদে ঐ শোন্ রে আজান, চল নামাজে চল্।
দুঃখে পাবি সান্ত্বনা তুই বক্ষে পাবি বল।
ওরে চল্ নামাজে চল্॥- কাজী নজরুল ইসলাম, নজরুল-রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, দশম খণ্ড, প্রকাশক- বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ২৪২
- আঁধার মনের মিনারে মোর
হে মুয়াজ্জিন, দাও আজান!
গাফেলতির ঘুম ভেঙে দাও,
হউক নিশি অবসান॥- কাজী নজরুল ইসলাম, নজরুল-রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, দশম খণ্ড, প্রকাশক- বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ২৩১
- কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি।
মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।
কি মধুর আযানের ধ্বনি! - মজিদ হইতে আজান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুর,
মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দূর।- জসীম উদ্দীন (১৯২৭)। "কবর"। রাখালী। পলাশ প্রকাশনী। আইএসবিএন 984-460-060-X।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় আজান সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে আজান শব্দটি খুঁজুন।
উইকিমিডিয়া কমন্সে আজান সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।