বিষয়বস্তুতে চলুন

আবিষ্কার

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

আবিষ্কার বলতে ব্যক্তি বা দলীয়ভাবে কোন নতুন ধরনের জিনিস, যন্ত্র বা বিষয় তৈরী, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদিকে বুঝায়। যিনি ঐ সকল বস্তু, যন্ত্র বা বিষয়ের কোন একটি বা সবগুলো আবিষ্কার করেন, তিনি জনসমক্ষে বা প্রচার মাধ্যমে আবিষ্কারক নামে পরিচিত হন। ধারণাও আবিষ্কার হিসেবে পরিচিত। লেখকগণ কর্তৃক সৃষ্ট চরিত্র এবং গল্পে ঐ চরিত্রের উপস্থাপনও আবিষ্কারের অংশবিশেষ। সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ থেকে সহজতর করার তাগিদে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদি তৈরী বা আবিষ্কারের দিকে অগ্রসর হতে হয়েছিল।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • ভাবের সরোবরে আমরা জাল ফেলিয়া মাছ ধরিতে পারি না; ছিপ ফেলিয়া ধরিতে হয়। মাছ ধরিবার জাল আবিষ্কার হয় নাই, জানি না, কোন কালে হইবে কি না। ছিপ্ ফেলিয়া বসিয়া আছি, কখন্‌ মাছ আসিয়া ঠোক‍রায়। কিন্তু ঠোক‍্রাইলেই হইল না, মাছকে ডাঙ্গায় তোলাই আসল কাজ।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাছ ধরা, বিবিধ প্রসঙ্গ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দ (১২৯০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৫-৮৬
  • অ-র-ণ্য এই কটা অক্ষর জুড়ে দিলেই মূর্তিমান অরণ্যটা আমাদের চোখ দিয়ে সাঁ করে গিয়ে আজকাল প্রবেশ করে মনে, কিন্তু ভাষা যখন অক্ষরমূর্তি ধরেনি, শব্দমূর্তি দৃশ্যমূর্তিতে চলেছে তখন দেখি শুধু অরণ্য এইটে বাচন মাত্র করে দিয়েই ঋষির ভাষা স্তব্ধ হচ্ছে না, কিন্তু ছন্দে সুরে, অরণ্যের ভাষা শব্দ আর নানা রহস্য ধরে ধরে তবে অরণ্যের সত্তা আবিষ্কার কর্‌তে কর্‌তে চলেছে ঋষির ভাষা জিজ্ঞাসা আর বিস্ময়ের ভিতর দিয়ে—
    • অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিল্প ও ভাষা, বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা, প্রকাশসাল- ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৪৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৬২-৬৩
  • মধ্য-এশিয়া থেকে দক্ষিণ দিকে যখন আর্য অভিযান শুরু হয়, তখন তাদের একদল আসে ভারতবর্ষে, আর একদল যায় পারস্যে। অর্থাৎ ভারতবাসী আর্য আর পারস্যবাসী আর্যরা ছিলেন মূলত একই জাতি। প্রাচীন ভারতের ও প্রাচীন পারস্যের ধর্মের মধ্যেও এই একত্বের যথেষ্ট প্রভাব আবিষ্কার করা যায়। কিন্তু বহু শতাব্দী বিভিন্ন দেশে বাস করে ভারতবাসীরা ও পারসীরা নিজেদের এক-জাতীয়তার কথা সম্পূর্ণরূপে ভুলে গেল।
  • শক্তির বিলাস নহে, তপস্যায় শক্তি আবিষ্কার,
    শুনিয়াছি সীমাশুন্য মহা-কাল-সমুদ্রের ধ্বনি
    আপন বক্ষের তলে; আপনারে তাই নমস্কার।
    চক্ষে থাক আয়ু-উর্মি, হস্তে থাক অক্ষয় লেখনী!
  • যেদিন মানুষ অন্য মানুষকে হত্যার হাতিয়ার আবিষ্কার করল, সে দিনই সে নিজেকে শেষ অস্ত্র নিয়ে এল। অত্যাধুনিক অস্ত্র যা, অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে, আজ সারা বিশ্বে উত্পাদিত হচ্ছে, একদিন সমগ্র মানবজাতিকে ধ্বংস করতে পারে।
  • বাকস্বাধীনতা ছাড়া সত্যের সন্ধান সম্ভব নয়; বাকস্বাধীনতা ছাড়া সত্যের কোনো আবিষ্কার কার্যকর হয় না; মুক্ত বাক ছাড়া অগ্রগতি পরীক্ষা করা হয়, এবং জাতিগুলি আর উন্নত জীবনের দিকে অগ্রসর হয় না। বাকস্বাধীনতা অস্বীকার করার চেয়ে বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার হাজারগুণ ভালো। গালি একদিনে মারা যায়; প্রত্যাখ্যান জনগণের জীবনকে হত্যা করে এবং জাতির আশাকে নিঃশেষ করে দেয়।
    • চার্লস ব্র্যাডলাফ, হল অফ সায়েন্সে বক্তৃতা; ১৮৮০। এডমন্ড ফুলার, থিসরাস অফ কোটেশন থেকে উদ্ধৃত।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]