আবুল মনসুর আহমদ
অবয়ব
আবুল মনসুর আহমদ (৩রা সেপ্টেম্বর ১৮৯৮-১৮ই মার্চ ১৯৭৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক। তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, আইনজ্ঞ ও সাংবাদিক এবং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্রূপাত্মক রচয়িতা। ১৯৪৬-এ অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইত্তেহাদ-এর সম্পাদক এবং তৎকালীন কৃষক ও নবযুগ পত্রিকায়ও কাজ করেন তিনি। 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (১৯৬৯) ও আত্মকথা (১৯৭৩) তার বিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক রচনা।
উক্তি
[সম্পাদনা]- চিত্তরঞ্জন দাশের যখন মৃত্যু হলো তখনই বাংলার রাজনীতি শেষ হয়ে গেল। বাংলার রাজনীতি তখন ভারতীয় রাজনীতির অংশ হয়ে গেল। এই ইতিহাস আমাদের লক্ষ্য করতে হবে যে, বাংলার রাজনীতিকে আমরা বাঙালিরা যদি স্বতন্ত্রভাবে রাখতে পারতাম, যদি সর্বভারতীয় কংগ্রেস বা সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের হাতে ছেড়ে না দিতাম তাহলে এ অঞ্চলের ইতিহাস অন্যরকম হতো।
- "আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর" বইয়ে আবুল মনসুর আহমদ এটি উল্লেখ করেন। আবুল মনসুর আহমদ: ‘ইতিহাসে নিজের মতো করে অবদান রেখে গেছেন’ ২অক্টোবর ২০২১
- ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যাপারে আমরা যেভাবে সমস্যার সমাধান করি, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সেই পন্থা অবলম্বন করলে তা অনেকাংশেই সহজ হয়ে যায়।
- আবুল মনসুর আহমদ।[১]
আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- তিনি "আয়না" ও "ফুড কনফারেন্স" এর মতো যে ব্যঙ্গ রচনা লিখেছেন, সেই রকম লেখা পরে বাঙালি মুসলমানের কাছে আর পাইনি।
- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী [২]
- তার প্রত্যেক লেখার মধ্যেই একটা অর্ন্তদৃষ্টি আছে, তিনি পরিবর্তনের পক্ষে লিখেছেন।
- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।[৩]
- বাঙলা ভাষায় ব্যঙ্গ-সাহিত্য খুব উন্নত হয়নি; তার করুণ, ব্যঙ্গ-সৃষ্টিতে অসাধারণ প্রতিভার প্রয়োজন। এ যেন সেতারের কান মলে সুর বের করা-সুরও বেরুবে, তারও ছিঁড়বে না। আমি একবার এক ওস্তাদকে লাঠি দিয়ে সরোদ বাজাতে দেখেছিলাম। সেদিন সেই ওস্তাদের হাত সাফাই দেখে তাজ্জব হয়েছিলুম। আর আজ বন্ধু আবুল মনসুরে হাত সাফাই দেখে বিস্মিত হলুম। ভাষার কান মলে রস সৃষ্টির ক্ষমতা আবুল মনসুরের অসাধারণ। এ যেন পাকা ওস্তাদী হাত।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।