আলমগীর কবির

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

বাংলাদশের চলচ্চিত্রে নবতরংবাদী চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রবক্তা ও বিশেষ খ্যাতিমান চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক আলমগীর কবির । তিনি পঞ্চাশের দশকে ইংল্যান্ডে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। তখন তিনি বৃটেনে বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকায় ফিরে ইংরেজি পত্রিকায় চলচ্চিত্র সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে "লিবারেশন ফাইটার্স" নামের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। স্বাধীনতার পরে প্রথম পূণ্যদৈর্ঘ্যের কাহিনীচিত্র "ধীরে বহে মেঘনা" নির্মাণ করেন। একই সাথে তিনি চলচ্চিত্রের একাডেমিক ক্ষেত্রেও সমান দায়িত্ব পালন করেন। আলমগীর কবির বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ ফেডারেশনের প্রথম সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা ফিল্ম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ছিলেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিষয়ে তাঁর ইংরেজি গ্রন্থ "দি সিনেমা ইন পাকিস্থান" ও "ফিল্ম ইন বাংলাদেশ" উল্লেখযোগ্য দুটি বই।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • "শিক্ষানবীশকালে ভাবতাম যদি সত্যি সত্যি কোনো দিন ছবি করার সুযোগ পাই তাহলে কার অভিজ্ঞতা থেকে এর উপাদানগুলো খুঁজবো? অন্যের? কিন্তু অন্যের অভিজ্ঞতার প্রতি সুবিচার করা কি সম্ভব? তাহলে কি নিজ অভিজ্ঞতার ওপরে নির্ভর করবো"।
    • 'চলার পথের কিছু ভাবনাঃ আলমগীর কবির',ত্রৈমাসিক চলচ্চিত্রিক, ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা, চিত্রন ফিল্ম সোসাইটি, ১৯৭৭।

আলমগীর কবির সম্পর্কে উক্তি[সম্পাদনা]

  • "আলমগীর কবিরের এক আত্ন-আবিস্কারের ছবি 'রূপালী সৈকতে'।তিনি উম্মোচন করেছেন আমাদের অতীতকে, একজন মানুষের চেতনাকে। তাঁর এই আবিষ্কার উন্মোচন আত্ন-জাগৃতির"।
    • বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস, অনুপম হায়াৎ, ১৯৮৭।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]