ঈগল
অবয়ব
ঈগল একপ্রকার বৃহৎ আকার, শক্তিধর, দক্ষ শিকারি পাখি। ঈগল সাধারণত বনে বা ঘন জঙ্গলে বসবাস করে থাকে। বানর, ছোট জাতের পাখি, টিকটিকি, হাস-মুরগী খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। একটি পূর্ণবয়স্ক ঈগলের ওজন প্রায় ৩০ কেজি এবং লম্বায় প্রায় ৩০-৩৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো একটি পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ঈগল ১১,০০০ ফুট উপরে উঠতে পারে। শীতকালে এরা তুলনামুলক কম শীত এলাকা বা দেশে চলে যায়। এরা জনমানব এলাকার বাইরে এবং কমপক্ষে ১০০ ফুট উপরে বাসা তৈরি করে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একত্রে বসবাস করে প্রজনন ঘটায়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- সমুদ্রের ধারে যেখানে ঢেউয়ের ভিতর থেকে পাহাড়গুলো দেয়ালের মতো খাড়া হয়ে বেরোয় আর সারা বছর তার সঙ্গে লড়াই করে সমুদ্রের জল ফেনিয়ে ওঠে, তারই উপরে অনেক উচুতে পাহাড়ের চূড়ায় সিন্ধু ঈগলের বাসা। সেখানে আর কোন পাখি যেতে সাহস পায় না-তারা সবাই নীচে পাহাড়ের গায়ে ফাটলে ফোকরে বসবাস করে। পাহাড়ের উপরে কেবল সিন্ধু ঈগল-তারা স্বামী-স্ত্রীতে বাসা বেধে থাকে!
- সিন্ধু ঈগল। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১২৩। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
- ঈগলবংশ রাজবংশ-পাখির মধ্যে সেরা। সিন্ধু ঈগলের চেহারাটি তার বংশেরই উপযুক্ত-মেজাজটিও রাজারই মতো। সিংহকে আমরা পশুরাজ বলি-সুতরাং ঈগলকেও পক্ষীরাজ বলা উচিত; কিন্তু তা আর বলবার যো নেই কারণ রূপকথার আজগুবি গল্পে লেখে, পক্ষীরাজ নাকি একরকম ঘোড়া!
- সিন্ধু ঈগল। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১২৩। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
- ঈগলের চোখ বড় ভয়ানক চোখ। ঐ উ'চুতে থেকেই সে সমস্ত দেখছে কিছুই তার চোখ এড়াবার যো নাই।
- সিন্ধু ঈগল। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১২৪। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় ঈগল সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে ঈগল শব্দটি খুঁজুন।