কাস্তে
অবয়ব
কাস্তে হলো ফসল কাটার কাজে ব্যবহৃত বাঁকা চাঁদের মত গঠনের হাতলওয়ালা একধরনের যন্ত্র। বহু প্রাচীন কাল থেকেই এই যন্ত্রটির ব্যবহার হয়ে আসছে। সাধারণত কাস্তের অবতল দিকটি খাজকাটা ভাবে ধারালো করা থাকে। মেসোপটেমিয়ায় নিওলিথিক যুগেও কাস্তের ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। ইসলায়েলের আশেপাশের এলাকায় খননকার্যের সময় বেশ কিছু কাস্তের সন্ধান পাওয়া গেছে যা এপিপালিওলিথিক (খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০০-৮০০০) যুগের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাস্তে কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ধান পাকার পরে কৃষকেরা ধান কাটতে এটি ব্যবহার করে। এছাড়া গবাদিপশুর ঘাস, লতাপাতা এবং অন্যান্য অনেক সবজি ফসল কাস্তে দিয়ে কেটে সংগ্রহ করা হয়। বহু যুগ ধরে কাস্তের ব্যবহার হয়ে আসছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- বাঁকানো চাঁদের সাদা ফালিটি
তুমি বুঝি খুব ভালবাসতে?
চাঁদের শতক আজ নহে তো
এ-যুগের চাঁদ হ’ল কাস্তে!- দিনেশ দাস, কাস্তে, দিনেশ দাসের কবিতা, প্রকাশক- পাণ্ডুলিপি, কলিকাতা, প্রকাশসাল- শ্রাবণ ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ৪৬
- আজ শুধু কাস্তে দাও আমার এ হাতে।
আমার পুরানাে কাস্তে পুড়ে গেছে ক্ষুধার আগুনে,
তাই দাও দীপ্ত কাস্তে চৈতন্য প্রখর
যে কাস্তে ঝলসাবে নিত্য উগ্র দেশপ্রেমে।
জানি আমি মৃত্যু আজ ঘুরে যায় তােমাদেরও দ্বারে
দুর্ভিক্ষ ফেলেছে ছায়া তােমাদের দৈনিক ভাণ্ডারে;
তােমাদের বাঁচানাের প্রতিজ্ঞা আমার,
শুধু আজ কাস্তে দাও আমার এ হাতে।- সুকান্ত ভট্টাচার্য, ফসলের ডাকঃ ১৩৫১, ছাড়পত্র- সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশক- সারস্বত লাইব্রেরী, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৬-৫৭
- তবুও এ হাতে কাস্তে তুলতে কান্না ঘনায়:
হালকা হাওয়ায় বিগত স্মৃতিকে ভুলে থাকা দায়;
গত হেমন্তে ম’রে গেছে ভাই, ছেড়ে গেছে বােন,
পথে প্রান্তরে খামারে মরেছে যত পরিজন;- সুকান্ত ভট্টাচার্য, এই নবান্নে, ছাড়পত্র- সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশক- সারস্বত লাইব্রেরী, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৯
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় কাস্তে সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে কাস্তে শব্দটি খুঁজুন।