কুসুমকুমারী দাশ
অবয়ব
কুসুমকুমারী দাশ (২১ সেপ্টেম্বর ১৮৭৫ - ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৮) একজন বাঙালি মহিলা কবি। ছোটবেলা থেকেই কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন কুসুমকুমারী। তার রচিত আদর্শ ছেলে, যার প্রথম চরণ আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তার কবিতায় বার বার এসেছে ধর্ম, নীতিবোধ, দেশাত্মবোধ। কবিতা মুকুল (১৮৯৬) তার কাব্যগ্রন্থ। পৌরাণিক আখ্যায়িকা নামের একটি গদ্যগ্রন্থও তিনি রচনা করেন। কবির জ্যেষ্ঠ পুত্র জীবনানন্দ দাশ বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এবং জনপ্রিয় কবি।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে?
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে;
মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন,
′মানুষ′ হইতে হবে —এই তার পণ,
বিপদ আসিলে কাছে, হও আগুয়ান,
নাই কি শরীরে তবে রক্ত মাংস প্রাণ?
হাত পা সবারি আছে, মিছে কেন ভয়,
চেতনা রয়েছে যায়, সে কি পড়ে রয়?- কুসুমকুমারী দাসের কবিতা - সুমিতা চক্রবর্তী সম্পাদিত, প্রকাশক- ভারবি, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ : আশ্বিন ১৪০৮, সেপ্টেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ৩৩
- যে সুরে বাজাতে চাও এ হৃদয়-বীণা
ভুল বেজে যেন তারে বিফল করি না।
সকলি সঁপিতে ষেন পারি গো তোমাতে
হে কল্যাণ, কর ত্রাণ, অকল্যাণ হতে।- প্রার্থনা, কুসুমকুমারী দাসের কবিতা - সুমিতা চক্রবর্তী সম্পাদিত, প্রকাশক- ভারবি, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ : আশ্বিন ১৪০৮, সেপ্টেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ৬৪
- জীবনে এসেছে যত রজনী প্রভাত
ভুলেছি কি তুমি এসে ধর নাই হাত?
পতিত, লাঞ্ছিত, ভীত, নিরাশ্রয় জন
সেও জানে একমাত্র তুমিই শরণ—।
সর্ব পাপ, সর্ব তাপ করিতে হরণ
অন্তরে রয়েছ তার ওগো চিরন্তন।- চিরন্তন-কুসুমকুমারী দাস, ব্রহ্মবাদী, ২৪শ বর্ষ, ৭ম সংখ্যা, কার্তিক ১৩৩০
কুসুমকুমারী দাশকে নিয়ে উক্তি
[সম্পাদনা]- সাহিত্য পড়ায় ও আলোচনায় মাকে বিশেষ অংশ নিতে দেখেছি। দেশি বিদেশি কোনো কোনো কবি ও ঔপন্যাসিকের কোথায় কি ভাল,কি বিশেষ তাঁরা দিয়ে গেছেন— এ সবের প্রায় প্রথম পাঠ তাঁর কাছ থেকে নিয়েছি। তাঁর স্বাভাবিক কবিমনকে তিনি শিক্ষিত ও স্বতন্ত্র করে তোলবার অবসর পেয়েছিলেন। কিন্তু বেশি কিছু লিখবার সুযোগ পেলেন না।....তখনকার দিনের সেই অসচ্ছল সংসারের একজন স্ত্রীলোকের পক্ষে শেষ পর্যন্ত সম্ভব হল না।
- কুসুমকুমারী দাশ সম্পর্কে জীবনানন্দ দাশ।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় কুসুমকুমারী দাশ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।