ক্ষমা
ক্ষমা অর্থে সাধারণ ভাবে দোষ-ত্রুটি, অপরাধ মার্জনা করে দেওয়া বোঝায়। ভারতীয় দর্শনে ক্ষমার ধারণাটি দশটি ঐতিহ্যবাহী যম বা সংযমগুলির মধ্যে একটি। হিন্দু ধর্মে ছয়টি প্রধান গুণের মধ্যে একটি হলো ক্ষমা। জৈনধর্মে ক্ষমা একটি প্রধান গুণ হিসাবে বিবেচিত। অনেকেই মনে করেন কোন মানুষ যতই পূণ্যবান হোক না কেন, তিনি ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নন। তাই মানুষ মাত্রই বুঝতে হবে আমদের ক্ষমার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- মানবমাত্রেরই সহিষ্ণু ও ক্ষমাশীল হওয়া উচিত। ক্ষমাতে একদিকে যেমন হৃদয়ের উদারতা প্রকাশিত হয়, অপরদিকে তেমনই দয়া ও লোকানুরাগ প্রদর্শিত হইয়া থাকে। আমরা যদি ক্রমাগত আমাদিগের শত্রুগণের প্রতি ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করিতে থাকি, তাহা হইলে কোন না কোন দিন তাহাদিগের হৃদয় অনুরাগে আর্দ্র হইয়া পড়িবে। শত্রুবিজয়ের এরূপ সহজ ও সুন্দর পন্থা আর কুত্রাপি দৃষ্টিগোচর হয় না।
- বিদ্যাসাগর জননী ভগবতী দেবী - প্রিয়দর্শন হালদার, প্রকাশক- প্রজ্ঞাভারতী, কলিকাতা, প্রকাশসাল- ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৯
- ক্ষমা করো তবে ক্ষমা করো মোর আয়োজনহীন পরমাদ
ক্ষমা করো যত অপরাধ।
এই ক্ষণিকের পাতার কুটিরে
প্রদীপ-আলোকে এসেও ধীরে ধীরে,
এই বেতসের বাঁশিতে পড়ুক তব নয়নের পরসাদ—
ক্ষমা করো যত অপরাধ।- আবির্ভাব- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সঞ্চয়িতা, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৩৩
- ক্ষমাগুণ জগতের অতি হিতকর
এ গুণের গুণে হয় বশীভূত নর।
ক্ষমাগুণে নরে করে ত্রিভুবন জয়,
ক্ষমী ইহ পরলোকে লভে সুখচয়।- ক্ষমা- গুরুনাথ সেনগুপ্ত, হিতদীপ, শ্রীগুরুনাথ সেনগুপ্ত কর্ত্তৃক প্রণীত ও প্রকাশিত, মুদ্রক- স্কুল বুক প্রেস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দ (১২৯৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৭
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/80/Wikipedia-logo-v2.svg/40px-Wikipedia-logo-v2.svg.png)
উইকিপিডিয়ায় ক্ষমা (গুণ) সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a9/Wiktionary-logo-bn.svg/33px-Wiktionary-logo-bn.svg.png)
উইকিঅভিধানে ক্ষমা শব্দটি খুঁজুন।