খসরু
অবয়ব
কামরুল আলম খান হলেন বাংলাদেশের একজন গেরিলা যোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক কর্মী যার সুপ্রচলিত নাম খসরু। তিনি এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা অঞ্চলের গেরিলা বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশ সরকার তাকে আজীবন সম্মাননা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমরা যখন ‘ওরা এগারজন’ ছবি নিয়ে কাজ করি, তখন প্রায় সব কিছুই ছিল বাস্তব। আমাদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা এই ছবিতে উঠে এসেছে। যে কারণে আসলে ছবিটি মানুষের মন ছুঁতে পেরেছে। সত্য লোকেশনে, সত্যি শিল্পীদের নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আমরা যাঁরা অভিনয় করেছি, তাঁদের বেশির ভাগই সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যে কারণে ‘ওরা এগারজন’ এখনো দেখলে মনে হয় জীবন্ত।
- মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র হওয়া চাই সত্য ঘটনা নিয়ে : খসরু, এনটিভি অনলাইন, ১ ডিসেম্বর ২০১৫
- ঘুট ঘুটে অন্ধকার। এরই মধ্যে আচমকা আলো ফুটতে শুরু করে। আঁধারের বুক চিরে আসা আলোগুলো কালো কালো ছোপ ফেলে নিভে যাচ্ছে। চোখের পলকেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে প্রাণহীন দেহ।
- স্বাধীনতা ছাত্রলীগ না চাইলে আওয়ামী লীগের কিছুই করার ছিল না। আওয়ামী লীগকে ছাত্রলীগই বাধ্য করেছিল স্বায়ত্তশাসনের দাবি থেকে সরে দাঁড়াতে। শুনুন আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশের আজকের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, স্বাধীনতার ইশতেহার এমনকি স্বাধীনতার স্লোগানগুলোও ছাত্রলীগের। ছাত্রলীগ আন্ডারগ্রাউন্ডেই মুক্তিযুদ্ধের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিল।
- অবহেলিত বীরযোদ্ধা বিএলএফ কমান্ডার চিত্রনায়ক খসরু, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৬ জুলাই ২০১৮
- আমি তো যোদ্ধা, কার নির্দেশে যুদ্ধ করবো? যার নির্দেশে যুদ্ধ করেছিলাম তিনি সপরিবারে নেই। আছেন শুধু তাঁর দুই কন্যা, তাঁরাও বিদেশে। যোগাযোগের কোন উপায় নেই। কে আমাকে নির্দেশ দেবে? তবুও বেরিয়েছিলাম।
- শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় মুজতবা সউদকে, কামরুল আলম খান খসরু'র জন্মদিনে শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা, বিনোদন বিচিত্রা, ২ জুলাই ২০২২
- আমি প্রথমে আপাদমস্তক একজন বিপ্লবী ও গেরিলা যোদ্ধা এবং তারপর অভিনয়শিল্পী কিংবা জনপ্রিয় নায়ক।
- ২০২৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর ফেসবুকে, ‘আজীবন সম্মাননা’ নিয়ে ‘নায়ক’ খসরুর উপলব্ধি, আজকালের খবর, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় খসরু সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।