বিষয়বস্তুতে চলুন

চোরাবালি

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
চোরাবালি আমি দূরদিগন্তে ডাকি—
কোথায় ঘোড়সওয়ার?
বিষ্ণু দে

চোরাবালি হলো বালি বা পলিজাতীয় দানাদার পদার্থ, মাটি ও লোনাজলের সংমিশ্রণ যা আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু মৃদু আলোড়ন সৃষ্টি করলে বা এর উপর চাপ প্রয়োগ করলে হঠাৎ সান্দ্রতা কমে তরলীকরণ ঘটে, কিন্তু আলোড়নকারী বস্তুর চাপ মুক্ত হলে ঘনীভবন ঘটে ও স্থানীয় সান্দ্রতা খুব বৃদ্ধি পায়। নদীর চরে কিংবা সমুদ্রের সৈকতের বালুতে প্রায়ই চোরাবালি দেখা যায়।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • জনসমুদ্রে নেমেছে জোয়ার,
    হৃদয়ে আমার চড়া।
    চোরাবালি আমি দূরদিগন্তে ডাকি—
    কোথায় ঘোড়সওয়ার?
    • বিষ্ণু দে, ঘােড়সওয়ার, চোরাবালি- বিষ্ণু দে, প্রকাশক- সিগনেট প্রেস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ১১
  • যে দুর্বল, সবলের পক্ষে সে তেমনি ভয়ংকর, হাতির পক্ষে যেমন চোরাবালি। এই বালি বাধা দিতে পারে না বলেই সম্মুখের দিকে অগ্রসর করে না, কেবলই নীচের দিকে টেনে নেয়।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাতায়নিকের পত্র, কালান্তর- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ (১৪২৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪৪
  • অন্ধকার ভারতবর্ষ ও বুভুক্ষায় পথে মৃতদেহ—
    অনৈক্যের চোরাবালি; পরস্পর অযথা সন্দেহ।
    • সুকান্ত ভট্টাচার্য, লেনিন, ছাড়পত্র- সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশক- সারস্বত লাইব্রেরী, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২২
  • নিজেরই ভেতরে কত অজানা চোরাবালি, কত কুশ্রী ফাটল, কত বিক্ষুব্ধ সমুদ্র, কত ঝড়ের আকাশ!
    • তপোধীর ভট্টাচার্য, আমাদের এই লিখনপ্রণালী, সময় অসময় নিঃসময়- তপোধীর ভট্টাচার্য, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- একুশশতক, কলকাতা, প্রকাশসাল-২০১০ খ্রিস্টাব্দ (১৪১৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১০৩
  • প্রেমের দুই বিরুদ্ধ পার আছে। এক পারে চোরাবালি, আর-এক পারে ফসলের খেত। এক পারে ভালোলাগার দৌরাত্ম্য, অন্য পারে ভালোবাসার আমন্ত্রণ।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ১৯২৫, পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ (১৩৯৩ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৫
  • ব্যোমকেশ কৌতৃহলী হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, ‘কি নাম বললেন জমিদারীর— চোরাবালি? অদ্ভুত নাম তো।’
    ‘হ্যাঁ, শুনছি ওখানে নাকি কোথায় খানিকটা চোরাবালি আছে, কিন্তু কোথায় আছে, কেউ জানে না। সেই থেকে চোরাবালি নামের উৎপত্তি।’
    • শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, চোরাবালি, ব্যোমকেশ সমগ্র- শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশক- আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল- দশম মুদ্রণ অক্টোবর ২০০৭, পৃষ্ঠা ১২৮
  • চোরাবালি ডাকি দূর দিগন্তে
    কোথায় পুরুষকার?
    হে প্রিয় আমার, প্রিয়তম মাের!
    আয়ােজন কাঁপে কামনার ঘোর,
    অঙ্গে আমার দেবে না অঙ্গীকার?
    • বিষ্ণু দে, ঘােড়সওয়ার, চোরাবালি- বিষ্ণু দে, প্রকাশক- সিগনেট প্রেস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ১২
  • শুরু হলো, চোরাবালি পেরিয়ে পেরিয়ে
    যাওয়া যতক্ষণ দেখা যাবে
    বাতিঘর, ভেবে নেওয়া এই তো সূর্যাস্ত
    হলো আরো বাকি আছে
    • তপোধীর ভট্টাচার্য, হে আগুন, শুশ্রূষা করো, কবিতাসংগ্রহ- তপোধীর ভট্টাচার্য, তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- এবং মুশায়েরা, কলকাতা, প্রকাশসাল-২০১৫ খ্রিস্টাব্দ (১৪২২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৫

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]