জাতীয়তা
অবয়ব
জাতীয়তা হলো একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রের মধ্যে আইনগত সম্পর্ক। জাতীয়তা রাষ্ট্রকে কোনো ব্যক্তির উপর আইনগত অধিকার দেয় এবং ব্যক্তিকে এনে দেয় রাষ্ট্রের সুরক্ষা। এই অধিকার এবং দায়িত্বের উপর নির্ভর করে তারতম্য ঘটে রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রে। জাতীয়তা শব্দটিকে ব্যবহার করা হয় জাতিগত গোষ্ঠী নির্দেশ করার জন্য। আন্তর্জাতিক আইনে জাতীয়তা হচ্ছে একটি অবস্থা অথবা সম্পর্ক যা একটি জাতিকে পৃথক একটি জাতি থেকে রক্ষা করার অধিকার প্রদান করে। কিছু মানুষ মনে করেন জাতীয়তা এবং নাগরিকতা একই বিষয়। কিন্তু জাতীয়তা নাগরিকতা থেকে আইনগত ভাবে একটি পৃথক ধারণা। ধারণাগত দিক থেকে নাগরিকত্ব একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক জীবন কেন্দ্রিক। আর জাতীয়তা হলো আন্তর্জাতিক বিষয় সমন্ধীয়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- ব্যক্তি ব্যক্তি-হওয়ার দ্বারাই মানুষের মধ্যে গণ্য হয়; জাতি জাতীয়ত্ব-লাভের দ্বারাই সর্বজাতির মধ্যে স্থান পাইতে পারে। যে-জাতি জাতীয়তা লাভ করে নাই সে বিশ্বজাতীয়তাকে হারাইয়াছে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পথের সঞ্চয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৩ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৭০
- সত্য ও ন্যায়ের উপর আমাদের জাতীয়তা যদি প্রতিষ্ঠিত না হয় তবে সে জাতীয়তা একদিনও টিকিতে পারে না।
- সুভাষচন্দ্র বসু, নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু, শ্রীগোপাললাল সান্যাল কর্ত্তৃক সঙ্কলিত ও প্রকাশিত, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২৯ - ১৩০
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় জাতীয়তা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।