পিনাকী ভট্টাচার্য
অবয়ব
পিনাকী ভট্টাচার্য (জন্ম: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬৭) ফ্রান্সে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী শরণার্থী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, এবং লেখক ও চিকিৎসক। তিনি ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় আত্মগোপনে থেকে আলোচিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের কট্টর সমালোচনাকারী হিসেবে বিখ্যাত। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর তার ১৮টি গ্রন্থ রয়েছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই আমাকে একজন হাফ নাস্তিক থেকে বিশ্বাসী করে তুলেছে।
- ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের ফেসবুক পোস্ট
- আগষ্ট জুলাই বিপ্লব সফল হয়েছে মাত্র কয়েক মুহুর্তের একটা ঘটনায়। আবু সাঈদের শহীদি মৃত্যু। এই ভিডিওই লড়াইকে তার মঞ্জিলে পৌছে দিয়েছে। এই মৃত্যু এতোই মহীয়ান ছিলো যে বাংলাদেশের সব তরুণ আবু সাঈদ হতে চেয়েছে। সে বুলেটের সামনে নির্ভয়ে বুক পেতে দিয়েছে। এটাই তারুণ্যের ধর্ম। আবু সাঈদের মৃত্যু শুধু বাংলাদেশের তরুণ নয় সারা দুনিয়ার তারুণ্যের সামনে এক বিপ্লবী আদর্শ হয়ে থাকবে। এরপরে ১৮ জুলাইয়ের ঢাকার গণহত্যা পুরা জাতিকে হাসিনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে ফেলেছে।
- ৩১ আগস্ট ২০২৪ তারিখের ফেইসবুক পোস্ট
পিনাকী ভট্টাচার্য সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- পিনাকী যে রয়ের এজেন্ট, তা আমি টের পাই যখন উনি ২০২০ সালে আমার বসনিয়ার বাসায় বেড়াইতে আসেন। উনি আমারে গাধা মনে কইরা উনার বেশ কিছু সোর্স অভ ইনফরমেশান দিয়া ফেলার পর এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে উনার কিছু হাই অফিশিয়াল ফোনালাপ শোনার পর আমি নিশ্চিত হই উনি ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের ডাবল এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেছেন।
- নাদিয়া ইসলাম [১]
- আমি নিশ্চিতভাবে কইতে পারি, উনার সরকার ও ভারত বিরোধিতা নামের বালছাল একটা আইওয়াশ মাত্র। বাঙালি মুসলমানের বিশ্বাস অর্জনের প্রথম ধাপ ছাড়া আর কিছু না। উনার মূল কাজ হইতেছে বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা। দরকার পড়লে উনাগো মাঠে নামায়ে গুলি খাওয়ানো, সেই লইয়া আহাউহু করা, আবার দরকার পড়লে ঝামেলা শুরুর সম্ভাবনার মূহুর্তে উনাগো মোনালিসা আর রেনে দেকার্তে আর বোদলেয়ারের কবিতা শুনাইয়া ঠাণ্ডা রাখা, যা আদতে বাংলাদেশে লীগ সরকার ও ভারতে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের পারপাস সার্ভ করে। সুতরাং এইসব ডাবল এজেন্ট নামের ভণ্ডদের আপনারা নবী মানবেন কী মানবেন না, তা আপনাগো বিষয়, কিন্তু আমি এই নিয়া কথা বইলাই যাবো। সাথে উনার ন্যাংটা ছবিও আপলোড দিবো।
- নাদিয়া ইসলাম [২]
- এতো ভারতবিদ্বেষী কথাবার্তার পরেও উনি ভারতের ভিসা পাইতেন ক্যামনে? ধইরা নিলাম উনি কোনো এক চিপাচুপা দিয়া বাংলাদেশ ভারত বর্ডার ক্রস করছেন পাসপোর্টে স্ট্যাম্প না কইরাই। যদিও আমি সহ বিভিন্ন পরিচিতদের উনি কইছেন উনি নাকি ল্যান্ডপোর্টের ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করায়ে সীমান্ত পার হইছেন। ধইরা নিলাম উনি এক বিশাল জেমস বন্ড, উনার এবং উনার লিয়াজোদের কাছে সেই লেভেলের টেকনোলজি এবং হাই অফিশিয়াল বন্ধুবান্ধব আছে যার মাধ্যমে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প না করায়া উনারে উনারা সীমান্ত পার হইতে সাহায্য করছেন। হ। গুড। তো এ্যালা পোর্ট এন্ট্রির স্ট্যাম্প বিহীন পাসপোর্ট লইয়া উনি ভারত ত্যাগ কইরা ব্যাংকক হইয়া ফ্রান্সে গেলেন ক্যামনে? আর যদি ভারত সীমান্তে পাসপোর্টে পোর্ট এন্ট্রি লইয়াই উনি ভারতে ঢুকলেন, সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের মারফত উনার পাসপোর্টে রেড ফ্লাগ থাকার ঘটনা কি ভুয়া না? কারণ পাসপোর্টে রেড ফ্লাগ থাকলে সবগুলি পোর্টের কম্পিউটারে তো সেই ফ্লাগ দেখানোর কথা। সেইটা ক্যানো কোথাও ধরা পড়লো না? তার অর্থ কি এই যে আসলে উনার উপর ডিজিএফাইয়ের নজরদারির কোনো ঘটনাই ঘটে নাই এবং পুরা ঘটনা সাজানো? এই নাটক সাজানোর অর্থ কী?
- নাদিয়া ইসলাম [৩]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় পিনাকী ভট্টাচার্য সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।