বিষয়বস্তুতে চলুন

পিনাকী ভট্টাচার্য

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
আমি একটা জরিপ করছিলাম এই যে কোটা আন্দোলন হচ্ছে এটা নিয়ে। প্রায় ১ লাখ লোক ভোট দিছে। এর মধ্যে ৯০% মানুষ মনে করে ট্রানজিট থেকে নজর ফেরানোর জন্য এই কোটা আন্দোলন হাসিনার নাটক। আর এই আন্দোলনের নেতারা সবাই ছাত্রলীগ। আমি খোঁজ নিছি, আপনারাও খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
— পিনাকী ভট্টাচার্য

পিনাকী ভট্টাচার্য (জন্ম: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬৭) ফ্রান্সে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী শরণার্থী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, এবং লেখক ও চিকিৎসক। তিনি ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় আত্মগোপনে থেকে আলোচিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের কট্টর সমালোচনাকারী হিসেবে বিখ্যাত। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর তার ১৮টি গ্রন্থ রয়েছে।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • জামাতের পক্ষ থেকে একটা বিতর্ক চালু করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে। এর ফলে তাদের অপরাধ লঘু করে দেখানোর একটা প্রচেষ্টা করা হয়। আবার সংখ্যায় অল্প হলেও কেউ কেউ দুম করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা চেয়ে বসেন। একটা গণযুদ্ধে শহীদদের নামের তালিকা করা হয় কিনা সে বিষয়ে অসম্পূর্ণ ধারণা থাকার কারণে খুব সুকৌশলে তারা এই তালিকা তত্ত্ব হাজির করে। পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে সে যুদ্ধ গুলোর কোনটাতেই বেসামরিক মৃত্যুর কোন নাম ধরে তালিকা নাই। এমন তালিকা এখনো করা হয়না। কারণ এটা করা সম্ভব না।...বাংলাদেশে অনেকে বলার চেষ্টা করেন যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা আন্দাজে বলা হয়েছে। এই অভিযোগটা আসে মুলত জামাত ঘরানার মানুষদের কাছে থেকে। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কোন আলোচনায় তারা বৈধতা বের করতে পারেনা। কোন যুক্তিতেই তারা কাউকে কনভিন্স করতে পারেনা। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে মানুষকে কনফিউজ করে দিতে চায়। মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা প্রথমে বিশ্ববাসী জানতে পারে প্রভদায় ৩রা জানুয়ারি ১৯৭২ এ প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে। দুদিন পর এই খবর দৈনিক আজাদিতে ছাপা হয়। শেখ মুজিব লন্ডনে এই সংখ্যাই উল্লেখ করেছিলেন। আর সেটাই হয়ে উঠেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আইকনিক ফিগার।
  • ১৯৭১ এ পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা সর্বোচ্চ দুই হাজার।
  • আমি একটা জরিপ করছিলাম এই যে কোটা আন্দোলন হচ্ছে এটা নিয়ে। প্রায় ১ লাখ লোক ভোট দিছে। এর মধ্যে ৯০% মানুষ মনে করে ট্রানজিট থেকে নজর ফেরানোর জন্য এই কোটা আন্দোলন হাসিনার নাটক। আর এই আন্দোলনের নেতারা সবাই ছাত্রলীগ। আমি খোঁজ নিছি, আপনারাও খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
    • ২০২৪ সালের ৮ জুলাই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওতে
  • হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই আমাকে একজন হাফ নাস্তিক থেকে বিশ্বাসী করে তুলেছে।
  • আগষ্ট জুলাই বিপ্লব সফল হয়েছে মাত্র কয়েক মুহুর্তের একটা ঘটনায়। আবু সাঈদের শহীদি মৃত্যু। এই ভিডিওই লড়াইকে তার মঞ্জিলে পৌছে দিয়েছে। এই মৃত্যু এতোই মহীয়ান ছিলো যে বাংলাদেশের সব তরুণ আবু সাঈদ হতে চেয়েছে। সে বুলেটের সামনে নির্ভয়ে বুক পেতে দিয়েছে। এটাই তারুণ্যের ধর্ম। আবু সাঈদের মৃত্যু শুধু বাংলাদেশের তরুণ নয় সারা দুনিয়ার তারুণ্যের সামনে এক বিপ্লবী আদর্শ হয়ে থাকবে। এরপরে ১৮ জুলাইয়ের ঢাকার গণহত্যা পুরা জাতিকে হাসিনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে ফেলেছে।
  • রাজনীতিতে সেই জিতে যে বয়ান বা ন্যারেটিভ তৈরি করতে পারে। যে নতুন হিস্ট্রিগ্রাফি বা ইতিহাসবোধ দিতে পারে। যে মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ফিলোসোফাইজ করতে পারে। এই কাজ দলে বলে হয়না। এই কাজ বুদ্ধির মেধার। এইটা ইন্টেলেকচুয়াল আর পলিটিক্যাল জার্নি। এই জার্নিকে কানেক্ট করতে হয় গনমানুষের সাথে।

পিনাকী ভট্টাচার্য সম্পর্কে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • পিনাকী দাদা, আপনি সারাক্ষণ ভারত বিরোধিতা করেও কিন্তু ঠিকই ভারত হয়ে ফ্রান্সে যেতে পেরেছেন। আমরা কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে কখনো ভারতে ঢুকতে পারব না, ঢোকার মানসিকতাও নাই। যে আপনি ভারত বিরোধিতা করেও ভারতে নিরাপদ আশ্রয় পান, সেই আপনাকে নিয়ে কিন্তু বহু রহস্য থেকে যায়। আবার যে আপনি অনেক ইসলামিক মূল্যবোধের বক্তব্য প্রচার করেন, সেই আপনি কেনো আজও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি? এই দেশের মানুষকে সহজে ধর্মের বয়ান শুনিয়ে বিভ্রান্ত করা যায়। আর সেই পথের একজন সফল ব্যক্তি আপনি।
  • আমি অনেক আগেই বলেছি উনি '' এর এজেন্ট। উনি সবসময় বাংলাদেশে একটা আওলা লাগাতে চায়। আমাদের এখানে আওলা লাগলে কার লাভ হয়? আমি একটা সহজ উদাহরণ দেই। সহজ উদাহরণটা হচ্ছে: উনি এই দেশ থেকে চোরাই পথে ভারতে ঢুকছেন। এই ভিডিও আমরা সবাই দেখছি। উনি কিন্তু কোনো বৈধ পথে ঢুকেন নাই। উনার পাসপোর্টে কিন্তু ওখানে ঢোকার অথবা আমাদের এখান থেকে বের হওয়ার কোনো সিল নাই ইমিগ্রেশনের। এটা নিয়ে তারপর ওখান থেকে উনি থাইল্যান্ড গেছেন, থাইল্যান্ড থেকে ফ্রান্সে গেছেন। উনি ইন্ডিয়া থেকে বের হলেন কীভাবে? এটা আপনি আমাকে বুঝান। তুমি এখানে ঢুকলা কীভাবে এই বলে ইন্ডিয়ার ইমিগ্রেশন তাকে ধরবে না? উনি তাহলে কেমনে গেলেন? উনি কি ইন্ডিয়াতে নতুন পাসপোর্ট করছেন? কেমনে করলেন? তাহলে উনাকে ইন্ডিয়ার এমন কোনো এজেন্সি সাহায্য করছে যে কারণে উনি যেতে পারছেন। তারমানে উনি ইন্ডিয়ার পারপাস সার্ভ করেন। এতেই প্রমাণিত হয় ইন্ডিয়াতে উনার খুব পাওয়ারফুল কিছু লোকের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। উনি ওখানে বসে ইন্ডিয়ার পারপাস সার্ভ করেন, মানে উনি মুখে মুখে ইন্ডিয়াকে গালাগালি করেন আর ইন্ডিয়ার পারপার্স সার্ভ করেন।
    • সাংবাদিক মাসুদ কামাল। ২০২৫ সালের ২০ আগস্ট চ্যানেল ২৪ এর এক সাক্ষাৎকারে

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]