বিষয়বস্তুতে চলুন

শেখ হাসিনা

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
অসুস্থ হলে আমাকে বিদেশে নিবেন না, আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নিব।

শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (জন্ম: ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান ছিলেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি, তখন দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনা পালায়নি, পালায় না
    • ২২ জুলাই ২০২৪, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা না পেলে, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না? অপরাধটা কী?
  • আপনজন হারানোর বেদনা যে কত কষ্ট, আমার চেয়ে আর কেউ বেশি জানে না।
  • আর আমার পাওয়ার চাই, আমি দেশের উন্নতি করতে চাই, সাফ কথা আমার। পাওয়ার চাই; আমি খালি ইলেকশন যেনো তেনো না, অ্যাবসুল্যুট পাওয়ার (নিরঙ্কুশ ক্ষমতা) নিয়ে আমি দেশের উন্নতি করব। এটাই আমার লক্ষ্য।
  • আমাকে বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব। ইলেকশনের পরে, যদি আসতে পারি, আবার করব। তারপর দেখি কে সাহস পায় নিতে...ক্ষমতা। সব গুছাইয়া-গাছাইয়া দেওয়ার পরে এখন ইলেকশনের কথা, ভোটের কথা, অর্থনীতির কথা, পাকা পাকা কথা শুনতে হয়। আমরা তো শুনতে রজি না।
  • এই দেশ আমার দেশ, আমার নিজের দেশ, আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন।
  • আমি কিন্তু দেশের খুব কাছেই আছি। যেকোনো সময় চট করে ঢুকে পড়তে পারি।
    • ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ [৬]
  • বেগুনের দাম ১১০ টাকার ওপরে চলে গেল। সেটা এখন কমে ৮০ টাকায় এসেছে। বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যেসব সবজি সহজলভ্য আছে, সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তো তাই খাই। বেগুনি না বানিয়ে মিষ্টিকুমড়া দিয়ে খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়। আমরা এভাবে করি। সেভাবে করা যায়।
    • ৬ এপ্রিল ২০২২ [৭]
  • পেঁয়াজ ছাড়াও রান্না করা যায়, আমাদের বাসায় পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা হয়। পেঁয়াজ নিয়ে এত অস্থির হওয়ার কি আছে আমি জানি না।
    • ২৯ অক্টোবর, ২০১৯[৮]
  • ডিম যখন বেশি পাবেন সিদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবেন, বহুদিন থাকবে। নষ্ট হবে না। সবকিছুর বিকল্প আছে। ডিম সিদ্ধ করে ডিপে রেখে দেন, ডিম ভালো থাকবে। রান্না করে, ভর্তা করে খাওয়া যাবে। আমরা রাখি খাই। এগুলো নিজে থেকে শেখা
    • ২৯ আগস্ট ২০২৩[৯]
  • বর্ষাকালে কাঁচা মরিচের ক্ষেতে কেউ মরিচ তুলতে যেতে পারে না। কাঁচা মরিচের দাম বাড়লে সবাই চিৎকার করে। সবাইকে আহ্বান করবো, এখন থেকে কাঁচা মরিচ কিনে রোদে শুকিয়ে রেখে দেন, বর্ষাকালে যখন দাম বাড়বে তখন সেখান থেকে খাওয়া যাবে। একটু পানি লাগলেই তাজা হয়ে যায়, আবার রান্না করে খাওয়া যায়, সহজ বুদ্ধি।
    • ২১ জুন ২০২৩। [১০]
  • একটি এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে, তাকে পদ্মা নদীতে দুইটা চুবানি দিয়ে তোলা উচিত। মরে যাতে না যায়, পদ্মা নদীতে একটু চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি শিক্ষা হয়। পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করাল ড. ইউনূস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটি এমডি পদে তাকে থাকতে হবে।
  • খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও…তাদেরকে এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’
  • অতিরিক্ত টমেটো হয়েছে, বলল কী করব? আমি বলেছি শুকিয়ে রেখে দেন। সানড্রাই টমেটো তো বিদেশে ভীষণভাবে চলে। আমরাও সবকিছু করব। পেঁয়াজেও তাই। যখন উৎপাদন বেড়েছে, তখন পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করব।
    • ২১ জুন ২০২৩। [১৩]
  • যদি বলেন যে রিজার্ভ রক্ষা করতে হবে, তাহলে আমি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেই, পানি দেওয়া বন্ধ করে দেই, সার বন্ধ করে দেই? সব বন্ধ করে বসায় রাখলে রিজার্ভ ভালো থাকবে। ... (রিজার্ভ নিয়ে) যদি এত বেশি কথা হয়, যখন সরকার গঠন করেছিলাম তখন যত ছিল ওইখানে এনে রেখে তারপর আবার ইলেকশন করব। করে আবার বাড়াব।
    • ০৬ অক্টোবর ২০২৩।[১৪]
  • বিদ্যুৎ শতভাগ থেকে কমিয়ে ওই ২৮ ভাগে নিয়ে আসব। সবাই একটু টের পাক যে কী ছিল। আমাদের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে বলেছিলাম যেন প্রতিদিন একটু লোডশেডিং দেয়। তখন ঐ যে পয়সা দিয়ে তেল কিনে জেনারেটর চালাতে হবে, তখন আবার আক্কেলটা ঠিক হবে!
    • ০৬ অক্টোবর ২০২৩।[১৫]
  • জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। সংবিধান সংশোধন করেছি। যা হবে সংবিধান মোতাবেক হবে। তা থেকে একচুলও নড়া হবে না, ব্যাস।
  • “আমার ৭২ বছর বয়সের ৬০ বছরই কেটেছে রাজনীতিতে। স্কুল থেকে রাজনীতি শুরু করেছি এখনো অব্যাহত আছে। রাজনীতিতে কে কী করেছে অনেক ঘটনা চোখে দেখেছি"।
  • “আমি নিজে নিয়মিত নামাজ পড়ি, কোরান থেকে তিলওয়াত করে দিনের কাজ শুরু করি। আমি জানি, নবী করিম বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না”।
  • ডাক্তাররা রোগীকে মেরে ফেলতে চান না। রোগীর জন্য অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন[উৎস প্রয়োজন]
  • বিরোধী দলে গেলে কখনও হরতাল করব না[উৎস প্রয়োজন]
  • আমি চাই বাংলার মানুষের মুক্তি। শোষণের মুক্তি। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। আজ যদি বাংলার মানুষের মুক্তি না আসে, তবে আমার কাছে মৃত্যুই শ্রেয়।
    • ১৭ মে ১৯৮১। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর মানিক মিয়া এভিনিউতে আয়োজিত গণ-সংবর্ধনায়।
  • সর্বস্তরের মানুষের দুর্ভোগের একটাই কারণ। সেটা হলো হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা বদলের পালা। ষড়যন্ত্র ও হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে যেভাবে ক্ষমতা বদল হচ্ছে তারই জন্য আজকে মানুষের এই দুর্ভোগ।
    • ১৪ অক্টোবর ১৯৮৪। শেরে বাংলা নগরে ১৫ দলের জাতীয় সমাবেশ।
  • মাটি আর মানুষের সাথে রাজনীতিকে একাত্ম করতে হবে। সমাজের গভীর থেকে গভীরতর স্তরে পৌঁছুতে হবে। জনগণের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে সততা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।
    • ১ জানুয়ারি ১৯৮৭। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশন।
  • আমি একটা কথাই বলব, এই মাটিতে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষের বসবাস থাকবে অর্থাৎ আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে অন্য ধর্মকে অবহেলার চোখে দেখবো না।
    • ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এটি বলেছিলেন।[১৬]
  • যারা অস্ত্রের ভাষা বুঝে, তারা মুক্তির ভাষা মানে না। অস্ত্রকে সম্বল করে যারা ক্ষমতায় আসে, তারা যুক্তি বুঝে না, যু্ক্তি তাদের কাছে বোধগম্য নয়।
    • ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭। জাতীয় সংসদ।
  • স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গণমুখী ও বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যম গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।
    • ২৫ এপ্রিল ১৯৯১। জাতীয় সংসদ।
  • আওয়ামী লীগের আদর্শ জনকল্যাণমুখী এক শোষণমুক্ত উন্নত সমাজব্যবস্থা কায়েম করা। আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ ও অর্থনৈতিক মুক্তি এবং স্বনির্ভর অর্থনীতি।
    • ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সল অধিবেশন।
  • আজ সেই সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব এসেছে। এ দায়িত্ব শুধু আওয়ামী লীগের একার হতে পারে না। এ দেশ স্বাধীন করেছিলাম আমরা সবাই মিলে যেমন এক ভয়ঙ্কর দুঃসময়ে, ঠিক তেমনি আজ সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃসময়ে, ঠিক তেমনি আজ সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করার আরেক সংগ্রামে আবার আমরা একসাথে নিঃশ্বাস নেব, এক প্রত্যয়কে অবলম্বন করব, এক লক্ষ্যে হব পথের সাথী।
    • ২৪ জুন ১৯৯৬। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ।
  • গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার চেয়ে বড় কোনো ভিত্তি নেই এবং সভ্যসমাজের আইন ও বিধান ছাড়া গণতন্ত্রের কোনো নিশ্চয়তা নেই।
    • ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়।
  • ন্যায় ও সত্যের পথ কঠিন পথ, এই কঠিন পথ আমি বেছে নিয়েছি
    • ২৮ জানুয়ারি ১৯৯৯। শান্তিনিকেতন।
  • শান্তি একটি মৌলিক মানবাধিকার যাকে অর্জন, লালন, উন্নয়ন করতে হবে এবং সর্বদা ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে নিতে হবে।
    • ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  • শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জনগণের ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। ন্যায়বিচার হচ্ছে এর ভিত্তি।
    • ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  • এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ শ্রমিক। এখানে সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাদের চিকিৎসার কষ্ট লাঘব করা এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। তা ছাড়া এই এলাকায় উন্নতমানের হাসপাতালের সংখ্যা কম। সেই চিন্তা থেকেই এখানে এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিই। আমি অসুস্থ হলে আমাকে বিদেশে নিবেন না, আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নিব।
  • দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।[উৎস প্রয়োজন]
  • সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যোগ্যতা অর্জন কর।[উৎস প্রয়োজন]
  • ‘নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছু নেই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই’
    • ২৫ জুন, ২০২২। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • ক্ষমতায় থাকাকালে ফ্যাসিবাদের সব বৈশিষ্ট্যই দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই নিকট ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট পার্টি আওয়ামী লীগের কোনো জায়গা নেই।
    • মুহাম্মদ ইউনূস, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে [১৭]
  • এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রকাশ্যে বলছেন যে সন্ত্রাসের প্রতি তার জিরো টলারেন্স আছে। হুমকি মোকাবেলায় দৃঢ়তার জন্য আমি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।
  • শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।
    • বার্তা সংস্থা এএফপি, ৫ আগস্ট ২০২৪, [১৮]
  • আপনজন হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের তা আমার চেয়ে আর কে ভালো জানে, বলোনা মোদি, তুমি বলোনা, বলোনা কাদের, তুমি বলোনা। মেট্রোরেলের মনিটর ভাঙার ক্ষতি, ক্ষমতা হারানোর গভীর ব্যথা, আরো মানুষ মেরে তুলব ভয়, কিন্তু আর পারছি না এ পথ ধরতে। শাড়ি বঙ্গভবন সব গেছে হাতছাড়া, আমার বুকে জমেছে কত আর্তনাদ, ক্ষমতা হারানোর কষ্ট বুকে চেপে আমি কি আর হাসতে পারি? ক্ষমতার মসনদ আজ অধরা, আমার ব্যথা কে করবে সান্তনা, শান্তির খোঁজে ক্ষমতার আশায় আমার মনে জমে কত ব্যথা।
    • ১৭ আগস্ট ২০২৪, শেখ হাসিনার শোকবার্তা "আপনজন হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের তা আমার চেয়ে আর কে ভালো জানে" কে উপহাস করে একটি অপেশাদার এআই প্রযুক্তিতে কাল্পনিক গান তৈরি করা হয় যা ফেসবুকে রাজিব জাহান ফেরদৌস নামে একটি পাতায় প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশে ভাইরাল হয় [১৯]
  • ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য কাতান শাড়ি পরে সেজেগুজে বসেছিলেন। তিনি অপেক্ষা করছিলেন, বলছিলেন, আয় সন্ত্রাসী, আয় বাকশালি খুন করিতে যাই, লাশের মালা গলায় দিয়ে শপথ নিতে যাই।’
    • "রেহানা আক্তার রানু" ২৩ জুন ২০১৩ জাতীয় সংসদ ভবণে রক্তপিপাসু এই সরকারের পতন চাই’ বলে তাঁর বক্তব্য শুরু করে প্রথমআলো বলেন
  • ১৯৮৭ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি তরুণ যুবক মৃণাল কান্তি দাসের সাথে শেখ হাসিনার পরিচয় হয়। এবং পরিচয়ের পর থেকে মৃণাল কান্তি দাস বত্রিশ নাম্বারে বঙ্গবন্ধু ভবনে থাকতে শুরু করেন। শেখ হাসিনা তখন ঐ বাড়িতেই থাকতেন। গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ভবনের লাইব্রেরি কক্ষে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে মৃণাল কান্তি দাস আর শেখ হাসিনার কুটকুট করে কথা বলতেন এবং খিলখিল করে হাসতেন। শেখ হাসিনার কাছে মৃনালের গ্রহণযোগ্যতা এতটাই বেড়ে গেল যে তা সকলের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাড়ালো। মৃণাল হয়ে উঠলো শেখ হাসিনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি! তার ক্ষমতা এতটাই বেড়ে গেল যে, ১৯৯০ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে অপমান-অপদস্ত করে বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে বের করে দিলেন। একদিন বঙ্গবন্ধু ভবনে মৃণাল সহ চারজন তাস খেলছে। বেলা তখন তিনটা-সাড়ে তিনটা। এমন সময় শেখ হাসিনার একমাত্র আপন মামা আকরাম মামু এসে কুভঙ্গিতে কুইঙ্গিত করে বললেন, “এই মৃণাল যাওনা, তোমার জন্য না খেয়ে বসে আছে!” মৃণাল তার বন্ধুদের সামনে তার ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য জবাব দিল “ আরে থাক, থাকতে দেন কিছুক্ষণ না খেয়ে!” একদিন মৃণাল শেখ হাসিনার উপর রাগ করে চলে গেল। শেখ হাসিনা নিজে গিয়ে রাগ ভাঙ্গিয়ে মৃনাল কান্তি দাসকে বংগবন্ধু ভবনে নিয়ে এলেন। ১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারার পর মৃণাল বিভিন্ন অসন্তুস্টির কারণে শেখ হাসিনাকে ছেড়ে চলে যায়। শেখ হাসিনা নিজে তিনবার মৃণালকে ফিরিয়ে আনতে যান কিন্তু সে ফিরে আসেনা। বরং শেখ হাসিনার সাথে তার দৈহিক সম্পর্কের কথা প্রচার করতে থাকে। কথায় কথায় মৃণাল হাসতে হাসতে বলতে থাকে, শেখ হাসিনা সাথে তার সম্পর্ক অনেক গভীর!
  • মাননীয় স্পিকার, যিনি আমাদের নেত্রীর (খালেদা জিয়া) পরিবার নিয়ে এখানে কুৎসা রটনা করেছেন... (সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া: (পাশে বসা অবস্থায় সরকার দলীয় (আওয়ামী লীগের) দাড়িয়ে যাওয়া উত্তেজিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে উচু গলায়) বসেন বসেন... অনেক বাড়াবাড়ি করেছেন..) তিনি পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট মাননীয় স্পিকার। কলিকাতা সিভিল কোর্টের উকিল মি: চন্ডিদাস। তার এক মেয়ে ছিল যারনাম গৌরিবালা দাস। (সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে উত্তেজিত শোরগোল) চন্ডিদাসের সহকারী উকিল মি: অরণ্য কুমার চক্রবর্তী চন্ডিদাসের কলিকাতাস্থ বাসায় (সৈয়দা পাপিয়া: (পাশ থেকে) পড়তে থাক.. হ্যা) নিয়মিত যাতায়াত করত। এই সুযোগে গৌরিবালার সাথে অরণ্য কুমার চক্রবর্তীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। (সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া: পড়তে থাক..) গৌরিবালা গর্ভবর্তী হয়ে পড়েন। (পানি খেয়ে নেন) (সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া: পড়তে থাক পড়তে থাক..পড়তে থা-ক) (সরকারদলীয় সদস্যরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন) গৌরিবালা যখন বুঝতে পারলেন যে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন তখন গৌরিবালা অরণ্য কুমারকে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। অরণ্য কুমার এতে রাজী না হয়ে অবৈধ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। এদিকে চন্ডিদাস বিষয়টি জানার জন্য চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২/১২/১৯২০ ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তী। (সৈয়দা পাপিয়া: (পাশ থেকে চিৎকার দিয়ে সমর্থন দিয়ে) ইয়োওওওও...(টেবিল চাপড়াতে থাকেন।)) চন্ডিদাস অরণ্য কুমার চক্রবর্তীকে গৌরিবালাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে, (সৈয়দা পাপিয়া: (টেবিল চাপড়িয়ে সমর্থন দিয়ে) পড়তে থাক, পড়তে থাক...পড়তে থাকুন, ধরতে থাকুন...বাদ যাইসই না...হ্যা) কিন্তু অরণ্য কুমার রাজি হন না। এরই মধ্যে দেবদাসের বয়স ২ বছরে উন্নীত হয়। চন্ডিদাস হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেন এবং ভীষণ ভাবে অসুস্থতা বোধ করেন। দেবদাসের (শিরীন শারমিন চৌধুরী:(সরকারদলীয় উত্তেজিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে) মাননীয় সদস্যবৃন্দ আপনারা একটু শান্ত হন..(রেহানা আক্তার রানুকে উদ্দেশ্য করে) মাননীয় সদস্য) বয়স যখন ৩ বছর তখন দেবদাসের মহুরী শেখ লুৎফুর রহমান (শেখ হাসিনার পিতামহ) গৌরিবালাকে বিয়ে করেন... (মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়) (শিরীন শারমিন চৌধুরী: মাননীয় সদস্য আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, মাননীয় সদস্যবৃন্দ আপনারা বসুন সবাই বসুন বসুন। মাননীয় সদস্য আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাননীয় সদস্য, আপনি ২৭০ বিধি অনুসরণে বাজেটের উপর বক্তব্য দিন। মাননীয় সদস্য। উনাকে মাইক দিন) ধন্যবাদ মাননীয় স্পিকার, আপনি আমাকে বাজেটের উপর বক্তব্য দিতে বলেছেন। কিন্তু গত বিশ তারিখে যে বক্তৃতা দেওয়া হয়েছে আমি আপনার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই এটা কি বাজেট বক্তৃতা ছিল?
  • পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা।
    • আবদুল মতিন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.), ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ [২২]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]