ফররুখ আহমদ
অবয়ব
সৈয়দ ফররুখ আহমদ (১০ জুন ১৯১৮ – ১৯ অক্টোবর ১৯৭৪) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি। তিনি 'মুসলিম রেনেসাঁর কবি' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তার কবিতায় বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- গণতান্ত্রিক বিচারে যেখানে সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়া উচিত সেখানে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষাকে পর্যন্ত যাঁরা অন্য একটি প্রাদেশিক ভাষায় রূপান্তরিত করতে চান তাঁদের উদ্দেশ্য অসৎ। পূর্ব পাকিস্তানের সকল অধিবাসীর সাথে আমিও এই প্রকার অসাধু প্রতারকদের বিরুদ্ধে আমার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
- পাকিস্তান:রাষ্ট্রভাষা ও সাহিত্য (নিবন্ধ), মাসিক সওগাত, আশ্বিন ১৩৫৪ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৪৭) সংখ্যা
কাঁচড়া পাড়ায় রাত্রি
[সম্পাদনা]- কাঁচড়া পাড়ায় রাত্রি। ডিপোতলে এঞ্জিন বিকল—
সুদীর্ঘ বিশ্রান্ত শ্বাস ফেলে জাগে ফাটা বয়লার,
—অবরুদ্ধ গতিবেগ। তারপর আসে মিস্ত্রিদল
গলানো ইস্পাত আনে, দৃঢ় অস্ত্র হানে বার বার।
জ্বলন্ত অগ্নির তাপে এই সব যন্ত্র জানোয়ার
দিন রাত্রি ঘোরে ফেরে সুদুর্গম দেশে,সমতলে
সমান্তর, রেলে রেলে, সেতুপথ পার হয়ে আর
অভীষ্ট লক্ষ্যের পানে দার্জিলিংয়ে আসামে জঙ্গলে।
আহত সন্ধ্যায় তারা অবশেষে কাঁচড়া পাড়াতে।
দূরে নাগরিক আশা জ্বলে বালবে লাল-নীল-পীত;
উজ্জীবিত কামনার অগ্নিমোহ-অশান্ত ক্ষুধাতে;
কাঁচড়া পাড়ার কলে মিস্ত্রিদের নারীর সঙ্গীত।
(হাতুড়িও লক্ষ্যভ্রষ্ট) ম্লান চাঁদ কৃষ্ণপক্ষ রাতে
কাঁচড়া পাড়ায় জাগে নারী আর স্বপ্নের ইঙ্গিত।
• | ফাল্গুনে শুরু হয় গুনগুনানী, |
ফাল্গুনে |
সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪)
[সম্পাদনা]- পাকে পাকে ঘুরে তীরবেগে ছুটে আবর্তে দিশাহারা,
ক্ষুধার ধমকে ঘাস ছিঁড়ে খেয়ে আকাশে জাগায়ে সাড়া,
জালিমের চোখ গুনে পোড়ায়ে গুঁড়ায়ে পাপের মাথা;
দেখেছি সবুজ দরিয়া জাজিমে স্বপ্ন র'য়েছে পাতা।- সিন্দবাদ
- এবার যদি এ তাজী হয় বানচাল
তক্তায় ভেসে পাড়ি দেব কালাপানি,
হাজার জীবন হয় যদি পয়মাল
মানব না পরাজয়!
ধরো অচপল আবার হালের মুঠি;
শেষ ঢেউয়ে আর ক'রব না সংশয়।- বা'র দরিয়ায়
- দজ্লার পাশে খিমার দুয়ারে হাসিন জওয়ানি নিয়ে
যেখানে আমার জীবনের খা'ব মন ছুটেছিল সেথা,
কাফেলার বাঁশী ব'য়ে এনেছিল জহরের মতো ব্যথা!
কলিজার সেই রুদ্ধ বেদনা শুনেছি ঝড়ের স্বরে।- দরিয়ায় শেষ রাত্রি
- মোরা মুসলিম দরিয়ার মঝি মওতের নাই ভয়,
খিজিরের সাথে পেয়েছি আমরা দরিয়ার বাদশাই,
খাকে গড়া এই ওজুদের মাঝে নিত্য জাগায় সাড়া
বাগদাদী মাটি; কিশতীর মুখ এবার ঘোরাও ভাই!- দরিয়ায় শেষ রাত্রি
- হাজার নাজুক কুমারীর মুখ ভাসায়ে লোহুর স্রোতে
ছুটেছিল সিয়া জিন্দিগি নিয়ে যে পশু মৃত্যুপাড়ে,
হাজার ইশারা ডেকে ডেকে গেছে তারে
থামেনি তবু সে অন্ধ ছুটেছে পথ হ'তে ভুল পথে...- শাহরিয়ার
- রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী ?
দীঘল রাতের শ্রান্ত সফর শেষে
কোন্ দরিয়ার কালো দিগন্তে আমরা প'ড়েছি এসে ?
একী ঘন-সিয়া জিন্দিগানীর বা'ব
তোলে মর্সিয়া ব্যথিত দিলের তুফান-শ্রান্ত খা'ব,
অস্ফুট হ'য়ে ক্রমে ডুবে যায় জীবনের জয়ভেরী।
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে ;
সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি।- পাঞ্জেরী
- এখানে বহে না হাওয়া এ বিস্তীর্ণ প্রান্তরের ধারে,
এই অজগর রাত্রি গ্রাসিয়াছে সকল আলোক,
সোহরাবের লাশ নিয়ে জেগে আছে নিঃসঙ্গ রুস্তম।- স্বর্ণ-ঈগল
- কোন্ প্রবৃত্তির কাছে আজ ওরা পড়িয়াছে বাঁধা ?
গোলাবের পাপড়িতে ছুড়িতেছে আবর্জনা, কাদা
কোন্ শয়তান ?
বিষাক্ত কামনা দিয়ে কে ভরায় আকাশের রঙিন খিলান ?- লাশ (তেরশো পঞ্চাশে)
- আজ মরু-বালুকাতে লুপ্ত তার বিজয়ী পতাকা,
সেই গতিহারা ঝঞ্ঝা ধূলিলীন অস্তিত্ববিহীন
দুর্ভিক্ষ মড়কে আজ গণিতেছে তার শেষ দিন,
ক্ষুধার কাফনে তার সর্বগ্রাসী মৃত্যু-অংগরাখা !- তুফান
- কার হাতে তুমি সওয়ার হ'য়েছ আল হেলাল ?
আরাফাত মাঠ প'ড়ে আছে ম্লান নাই বেলাল !- নিশান
- কত যে আঁধার পর্দা পারায়ে ভোর হ'ল জানি না তা।
নারঙ্গী বনে কাঁপছে সবুজ পাতা।
দুয়ারে তোমার সাত-সাগরের জোয়ার এনেছে ফেনা।
তবু জাগলে না ? তবু তুমি জাগলে না ?- সাত-সাগরের মাঝি
- এ ঘুমে তোমার মাঝিমাল্লার ধৈর্য নাইকো আর,
সাত সমুদ্র নীল আক্রোশে তোলে বিষ ফেনভার,
এদিকে অচেনা যাত্রী চলেছে আকাশের পথ ধ'রে
নারঙ্গী বনে কাঁপছে সবুজ পাতা।
বেসাতী তোমার পূর্ণ করে কে মারজানে মর্মরে?
ঘুমঘোরে তুমি শুনছ কেবল দুঃস্বপ্নের গাথা।- সাত সাগরের মাঝি
- দেরী হ'য়ে গেছে অনেক জানো তা তুমি,
ফিরে গেছে কত জাহাজ-ভাসানো দরিয়ার মৌসুমী,
কত এলাচের দানা উড়ে গেছে ঝড়ে
দারুচিনি-শাখা ভেঙেছে বনান্তরে,
মেশ্কের বাস বাতাস নিয়েছে লুটি,
মৃত্যু এখন ধ'রেছে তোমার টুটী,
দুয়ারে জোয়ার ফেনা ;
আগে বহু আগে ঝ'রেছে তোমার সকল হাসনাহেনা।- সাত-সাগরের মাঝি
সিরাজাম মুনীরা (১৯৫২)
[সম্পাদনা]- তুমি না আসিলে মধু ভাণ্ডার ধরায় কখনো হ'ত না লুট,
তুমি না আসিলে নার্গিস কভু খুলতো না তার পর্ণপুট,
বিচিত্র আশা-মুখর মাশুক খুলতো না তার রুদ্ধ দিল ;
দিনের প্রহরী দিত না সরায়ে আবছা আঁধার কালো নিখিল।- সিরাজাম মুনীরা মুহম্মদ মুস্তফা (সাল্লালাহু আলাইহি অ-সাল্লাম)
- মরু শর্বরী পাড়ি দিয়ে বহু রাত্রি দেখেছো আদম সূরাত
দেখেনি সে আর দরদী সাথীর ধ্যান গম্ভীর রওশন রাত,
যদিও আঁধার হেথা, মদীনার আকাশে হ'য়েছে তার প্রভাত ;
যদিও আঁধার হেথা, বসুধার বক্ষে হ'য়েছে রশ্মিপাত।।- আবুবকর সিদ্দিক
- দুর্গত জনগণের দরদী ! বেছে নিলে সেরা পথ
মাটির তখ্তে ব'সেছে তোমার সাম্যের খেলাফত,
আজো যেন জীর্ণ বস্ত্র মেলে ব'সে আছো একা
তোমার দিলের সেরা দৌলত্ ছিন্ন পিরানে লেখা।- উমর-দারাজ দিল
- তবু তূর পর্বতের সেই তরু,-তনু মৃত্তিকার
আবেগে আবেশে প্রেম করিতেছে ধুলায় বিস্তার ।
তুমি কি এ ধূলিতলে সেই তরু ? কিম্বা জয়তুন !
তোমার প্রেমের বুকে একী সত্য দুর্জয় আগুন !- ওসমান গণি
- জায়নামাজের মাদুরে তোমার মধু ঝরে মোত্তাকী
ফিরদৌসের প্রেমের সারাব বিলায় অচেনা সাকী,
তোমার চিত্ত নীল কবুতর পাড়ি দেয় কান্তার
ক্ষত তনু হ'তে তীর তুলে নিলে ভাঙে না আবেশ তার।।- আলী হায়দর
- শত্রুর তীর বুকে এসে বেঁধে নাই ভ্রুক্ষেপ অসাবধানী !
দুধের বাচ্চা ম'রে গেছে চেয়ে পিয়াসের মুখে কাতরা পানি।
এক বছরের হাসিন শিশুকে তীর হানিয়াছে ভীরুর দল,
ভোলো এ শ্রান্তি ক্লান্ত সিংহ ! জাগাও তোমার সুপ্তবল !- শহীদে কারবালা
- তৌহিদের পানপাত্র ওষ্ঠে তুলি যে করিবে পান,
নিষ্প্রেম জীবন তার রাঙাবে যে তৌহিদী সুরায়,
সহস্র আগ্নেয় শিলা―বিচ্ছেদ-অনলে বহ্নিমান
অগণ্য সংকটে তারে ডাক দেবে প্রেম-পরীক্ষায় ।- প্রেম-পন্থী
- হাজার বছর পরে সে হিলাল উঠেছিল জেগে
হিন্দী বোত―খানা ফুড়ে নিখিল বিশ্বের কূলে কূলে,
অগণন মিথ্যাচারে নমরুদের সাজানো পুতুলে
বিপুল আঘাত হেনে লক্ষ সমুদ্রের প্রাণাবেগে
কোটি শুষ্ক গুলিস্তানে এনেছিল জোয়ার আবেগে
মুক্ত প্রাণধারা !―তবে পারেনি রুধিতে কারা-দ্বার ;
সেলিমের শিরস্ত্রাণ ধুলায় হ'য়েছে একাকার
মুক্তপ্রাণ সাধকের সত্যের দুর্জয় স্রোতাবেগে !- মুজাদ্দিদ আলফেসানী
- তোমার মৃত্যু-সমুদ্র মোহনায়
জীবনের আস্বাদ,বাদ,তোমার জীবন–রমজান সাধনায়
স্বপ্ন ঈদের চাঁদ ।
তোমার চৈত্র–ফাটল–দীর্ণ রেখায়িত প্রান্তর
ইশারা ক'রছে যেখানে আকাশে জমেছে মেঘের স্তর ।- ইশারা
নৌফেল ও হাতেম – কাব্যনাট্য (১৯৬১)
[সম্পাদনা]- 'য়েমেন মুলুকে ছিল শাজাদা হাতেম,―নেকনাম !
নীল সে দারাজ-দিল মানুষের বোঝা গুরুভার !
ছেড়ে এল তাজ তখ্ত, এল ছেড়ে ঐশ্বর্য, আরাম ;
মহান খিদমতগার পেল প্রীতি, খ্যাতি সে অপার ।
আরবে নৌফেল শাহা প্রতিদ্বন্দ্বী সে যশলিপ্সায়
বিলালো ভাণ্ডার, তবু সে পেল না যে সম্মান দাতার ।
নেমে গেল প্রাণ তার অন্ধ হিংস্র রাত্রির ছায়ায় ;
আশ্চর্য পন্থায় শাহা পেল শেষে মুক্তির দুয়ার ।- নৌফেল ও হাতেম। কাহিনীর ইশারা।
মুহূর্তের কবিতা (১৯৬৩)
[সম্পাদনা]- মুহূর্তের এ কবিতা, মুহূর্তের এই কলতান
হয়তো পাবে না কণ্ঠে পরিপুরনসে সুর সম্ভার,</br,হয়তো পাবে না খুঁজে সাফল্যের,পথের সন্ধান,―
সামান্য সঞ্চয় নিয়ে যে চেয়েছে সমুদ্রের পার ;
তবু মনে রেখো তুমি নগণ্য এ ক্ষণিকের গান
মিনারের দম্ভ ছেড়ে মূল্য চায় ধূলিকণিকার ।।- মুহূর্তের কবিতা
- ভোল যুগান্তের কথা, ভুলে জাও দীর্ঘ শতাব্দীর
খতিয়ান, কাম্য এ মুহূর্ত শুধু, মুহূর্তের গান
আকাশের রঙ নিয়ে দুই চোখে জাগে জাগুক অম্লান,
ঘাসের সবুজ শীষে জমে ওঠে যেমন শিশির ।- মুহূর্তের গান
- ফিরে পায় যে মুহূর্তে তপ্ত বক্ষে যে মুহূর্তে হারান সঙ্গীত
আকাশের,বাতাসের,―শিশির ঝরানো ঘাসে ঘাসে,
সমুদ্রের হৃদপিণ্ডে অথবা প্রিয়ার বাহুপাশে
প্রাণের মূর্ছনা মেশা জীবনের আশ্চর্য ইঙ্গিত ।- দুর্লভ মুহূর্ত
- আর একবার তুমি খুলে দাও ঝরোকা তোমার,
আসুক তারার আলো চিন্তার জটিল উর্ণাজালে,
যে মন বিক্ষত, আজ জাগুক তোমার ছন্দ তালে
এখানে সমস্যাকীর্ণ এ জগতে এস একবার ।- কবিতার প্রতি
- 'বনানী সেজেছে সাকী ফুলের পেয়ালা নিয়ে হাতে',
তুহিন শীতের শেষে দেখি আজ মুক্ত রূপ তার,
গাছে গাছে, ডালে ডালে তারুণ্যের জেগেছে জোয়ার ;
জেগেছে কুঁড়ি অরণ্যের মদিরা বিলাতে ।- ফাল্গুনে
- বৃষ্টি এল ...বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি ! ―পদ্মা মেঘনার
দুপাশে আবাদী গ্রামে, বৃষ্টি এল পুবের হাওয়ায়,
বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ ঢেকে গেল কাজল ছায়ায় ;
বিদ্যুৎ―রূপসী পরী মেঘে মেঘে হয়েছে সওয়ার ।- বৃষ্টি
- আমার হৃদয় স্তব্ধও, বোবা হ'য়ে আছে বেদনায়,
যেমন পদ্মের কুঁড়ি নিরুত্তর থাকে হিম রাতে,
যেমন নিঃসঙ্গ পাখি একা আর ফেরে না বাসাতে ;
তেমনি আমার মন মুক্তি আর খোঁজে না কথায় ।
- ক্লান্তি
- সে নদী হারায়ে গেছে, তার সাথে তুমি আর আমি
নদীর স্বচ্ছতা ভুলে, ভুলে গিয়ে সেই সাবলীল
হৃদ্যতা : হৃদ্যয় : পথ খরস্রোতে হ'য়েছি ফেনিল ;
অজান্তে নিয়েছি পথ― যে সড়ক অজ্ঞাত বেনামী !
শরৎ রাত্রির সাথে একদিন ছিল যার মিল
হারায়ে পথের রেখা সে আজ মৃত্যুর অনুগামী॥- বিগত
- যখন দু'খানা ট্রেন মুখোমুখি হ'তে না হ'তেই
নিমেষে বিদ্যুৎ বেগে ছুটে যায় যে যার নিজের
পথে,―তখনি তোমাকে মনে পড়ে, মনে পড়ে ফের
অনেক অস্পষ্ট ছায়া মুখচ্ছবি―তবু রেখা নেই ।- পরিচিতি
- উত্তর বাঙলার মাঠ পাড়ি দিতে দাঁড়াল এবার
এক চক্ষু 'দেও' যেন ক্ষুব্ধ রোষে স্টেশন প্রাঙ্গণে,
দাঁড়াল পিয়াসী দৈত্য আকণ্ঠ তৃষ্ণার প্রয়োজনে,
জানি না, বুঝি না আমি কতটুকু প্রয়োজন তার ।- ট্রেনে/এক
- এখনো বিসয়ে শুনি কাহিনী দিউয়ানা মদীনার,
অজস্র ধানের শীষে ফিরে আসে যখন অঘ্রাণ
জীবনের সহচরী ডোলে তুলে রাখে সেই ধান,
প্রশান্তির তুলি মনে আঁকে ছবি উজ্জ্বল তারার ।- দীউয়ানা মদিনা
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় ফররুখ আহমদ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।