ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় (৭ মার্চ, ১৯০৪ — ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৫) ছিলেন একজন খ্যাতনামা বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক। এটি তার ছদ্মনাম। তার আসল নাম তারাপদ মুখোপাধ্যায়। তার বিখ্যাত উপন্যাস চিতা বহ্নিমানশাপমোচন। এই দুটি উপন্যাস তার পাঠক সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ১৯৫৫ সালে শাপমোচন উপন্যাস অবলম্বনে কলকাতার পরিচালক সুধীর মুখার্জি উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন জুটিকে নিয়ে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ ছাড়া ২০০৯ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশি নাট্যনির্মাতা এস এম দুলাল একই নামে একটি টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আকাশ বনানী জাগে, আশার ছলনে ভুলি, বহ্নিকন্যা, ভাগীরথী বহে ধীরে, মন ও ময়ূরী, জলে জাগে ঢেউ, মীরার বধূয়া, স্বাক্ষর, চরণ দিলাম রাঙায়ে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া প্রকাশিত হয় তার রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হিঙ্গল নদীর কূলে ও কাশবনের কন্যা। ১৯৭৫ সালের ২৫ এপ্রিল তিনি মারা যান।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • আকাশের চাঁদকে মাটিতে নামাবার সাধনা শুধু নির্বুদ্ধিতা নয় অন্যায়। তাতে গোটা পৃথিবীটাকে চাঁদের আলো থেকে বঞ্চিত করা হয়।
  • মুক্তির মধ্যেই প্রেমের বন্ধন দৃঢ়তর হয়।
    • চিতা বহ্নিমান। ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়। জোনাকি প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ (২০১৪)। পৃষ্ঠা ৯০।
  • সোনা যতক্ষণ খনিতে থাকে, তাকে খুঁজতে যায় কম লোক আবার সে যখন গিনি হয়ে গহনা হয়ে মণিকারের শো-কেসে বসে তখন রাস্তার পথচারীও তাকে দেখতে দাঁড়িয়ে যায় — তাতে খনির সোনার দাম কমে না।

ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে উক্তি[সম্পাদনা]

  • তাঁর লেখা উপন্যাস অবলম্বনে উওমকুমার–সুচিত্রা সেন অভিনীত ‘শাপমোচন’ সিনেমা তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু, মাসিকপত্র ‘বঙ্গলক্ষ্মী’র সম্পাদক তথা বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক তারাদাস মুখোপাধ্যায় কার্যত বিস্মৃতির আড়ালে চলে গিয়েছেন। এমনকী, ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন নিজের জন্মস্থানেই!

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]