বেদ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
ঋগ্বেদ, বেদের প্রথম ভাগ, যা সম্ভবত মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ।

বেদ হিন্দুধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। মোটামুটিভাবে ৪,০০০ - ৭,০০০ খ্রিষ্টপূর্ব বা তার বেশি বয়সের এই গ্রন্থ। এজন্য এটিকে প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হিসাবে গণ্য করা হয়।

ঋগ্বেদ[সম্পাদনা]

  • এসো প্রভুর সেবক হই! গরীব ও অভাবীদের দান করি। [ঋগবেদঃ ১.১৫.৮]
  • বিশ্বাসীর হৃদয়েই প্রভু বসবাস করেন। আমাদের দেহই হোক প্রভূর মন্দির। আমরা যেন চিরদিন তাঁর সত্যিকারের দাস হিসেবে থাকতে পারি। আমাদের জীবনের সকল অর্জন তার চরণে সমর্পণ করতে পারি। [ঋগবেদঃ ১.৯১.১৩]
  • নিঃশর্ত দানের জন্য রয়েছে চমৎকার পুরস্কার। তারা লাভ করে আর্শীবাদ ধন্য দীর্ঘ জীবন ও অমরত্ব। [ঋগবেদঃ ১.১২৫.৬]
  • হে প্রভু! আমাদের সর্বোত্তম সম্পদ দান করো; দান করো কালজয়ী মন, আত্নিক সুষমা, অনন্ত যৌবন, আলোকজ্জ্বল রূপ আর মধুর বচন। [ঋগ্বেদ: ২.২১.৬]
  • একজন নিরীহ মানুষের ক্ষতি যে করে সে মানুষ নয়, সে হায়েনা। তার কাছ থেকে দূরে থাকো। [ঋগবেদঃ ২.২৩.৭]
  • ওম্ ভূর্ভূবঃ স্বঃ। তৎসবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি। ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।। [ঋগবেদঃ ৩.৬২.১০] অনুবাদ: পরমাত্মা প্রাণস্বরূপ, দুঃখনাশক, সুখস্বরূপ। তিনি আমাদের বুদ্ধিকে শুভ গুণ, কর্ম ও স্বভাবের দিকে চালনা করেন। সেই জগনির্মাতা ও ঐশ্বর্যপ্রদাতা পরমাত্মার বরণযোগ্য পাপ-বিনাশক তেজকে আমরা ধ্যান করি। [১]
  • যারা সৎপথে কঠোর পরিশ্রম করেন এবং পরস্পরকে সহযোগিতা করে তাদেরকেই প্রভূ সাহায্য করেন। [ঋগবেদঃ ৪.২৩.৭]
  • শুনশ্চিচ্ছেপং নিদিতং সহস্রাদ্যূপাদমুঞ্চো অশমিষ্ট হি ষঃ। এবাস্মদগ্নে বি মুমুগ্ধি পাশান্ হোতশ্চিকিত্ব ইহ তূ নিষদ্য॥ [ঋগ্বেদ, ৫ মণ্ডল, ২ সূক্ত, ৭ মন্ত্র]

অনুবাদ: অগ্নি, হে জ্যোতির্ময় ও বিশ্ববিধাতা, আপনি শুনহ-শেপ বা ইন্দ্রিয়পরায়ণ, মোহগ্রস্ত, অসংযমীকেও রক্ষা করেন; আপনি তাকে ত্রিতাপ জ্বালা থেকে রক্ষা করুন যাতে সে শান্তি পায়। একইভাবে, হে জীবন-যজ্ঞের মহাপুরোহিত, আমাদের যজ্ঞাহুতি গ্রহণ করুন এবং আমাদের দেহ, মন এবং আত্মাকে দুঃখ ও দাসত্বের বন্ধন থেকে মুক্ত করুন। [২]

  • সৎকর্ম মানুষকে দৃঢ় ও সাহসী করে। দেহ মনকে রোগ ও পাপ থেকে মুক্ত রাখে। সকল প্রতিকূলতার ওপর বিজয়ী করে। [ঋগবেদঃ ৫.১৫.৩]
  • মহাপ্রভূর দৃষ্টিতে কেউই বড় নয়, কেউই ছোট নয়, সবাই সমান। প্রভূর আর্শীবাদ সবারই জন্য। [ঋগবেদঃ ৫.৬০.৫]
  • সমাজকে ভালোবাসো। ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও। দুর্গতকে সাহায্য করো। সত্য ন্যায়ের সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রাখার শক্তি অর্জন করো। [ঋগবেদঃ ৬.৭৫.৯]
  • সবুজ উপত্যকার নির্জনতায় ঋষিরা লাভ করেন সজ্ঞা / প্রজ্ঞা। [ ঋগবেদ – ৮.৬.২৮]
  • স্রষ্টা প্রেমের অমিয়ধারা প্রবাহিত হোক আমাদের অন্তরে, আমাদের শিরায় শিরায়। তাহলেই আমরা সকল প্রতিকূলতার মুখোমুখি দাড়াতে পারব প্রশান্ত হৃদয়ে। [ঋগবেদঃ ৮.৩২.১২]
  • হে নেতা ! হে পুরোধা ! নির্ভীকভাবে সত্য ভাষণের নৈতিক শক্তিতে তোমাকে বলীয়ান হতে হবে। [ঋগবেদঃ ৮.৪৮.১৪ ]
  • অলস মস্তিস্ক কু-চিন্তার সহজ শিকার। [ঋগবেদঃ ১০.২২.৮]
  • কখনো জুয়া খেলবে না। পরিশ্রমলব্ধ সম্পদ ভোগ কর ও পরিতৃপ্ত থাকো। পরিশ্রমলব্ধ সম্পদই সত্যিকারের সুখ দিতে পারে। [ঋগবেদঃ ১০.৩৪.১৩]
  • তন্তুং তন্বন্ রজসো ভানুমন্বিহি জ্যোতিষ্মতঃ পথো রক্ষ ধিয়া কৃতান্। অনুল্বণং বয়ত জোগুবামপো মনুর্ভব জনয়া দৈব্যং জনম্॥ (ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ৫৩ সূক্ত, ৬ মন্ত্র।) অনুবাদ: তন্তুর বুননে যেমন বুনটের বিস্তার হয় ঠিক তেমনি আলোর পথে চলে জীবনপথ ও কর্মের বিস্তার করো। হৃদয় অন্তরীক্ষে জ্যোতির প্রকাশক পরমাত্মার পথ অনুসরণ কর, বিবেক দিয়ে কাজ করো, জ্ঞানীদের প্রদর্শিত চেতনাকে রক্ষা ও অনুসরণ করো, মানুষ হও এবং অন্যকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলো।[৩]


  • মন চলে যায় আকাশে, পাতালে, পাহাড়ে, সাগরে। মনকে নিয়ে আসো নিজেরই অন্তরে, যেন তা থাকে তোমারই নিয়ন্ত্রণে। [ঋগবেদঃ ১০.৫৮.২]
  • হে প্রভূ ! সামর্থ্য দাও উদ্দীপনাময় সুন্দর ও সাবলীল কথা বলার। [ঋগবেদঃ ১০.৯৮.৩]
  • যে ক্ষুধার্ত সঙ্গীকে অভুক্ত রেখে একাই ভূরিভোজ করে এবং যে স্বার্থপর তার সাথে কখনো বন্ধুত্ব করো না। [ঋগবেদ-১০.১১৭.৪]
  • ধনীদের উচিত দুঃস্থদের দান করা,তাদের দুরদৃষ্টিসম্পন্ন হওয়া উচিত কেননা ধনসম্পদ হল রথের চাকার মত,এখন যা এখানে পরমূহুর্তেই তা অন্যখানে গতিশীল হয়। [ঋগ্বেদ ১০.১১৭.৫]

সামবেদ[সম্পাদনা]

  • সত্যিকারের ধার্মিক সব সময় মিষ্টভাষী ও অন্যের প্রতি সহমর্মী। [সামবেদঃ ২.৫১]
  • ঈর্ষা থেকে হৃদয়কে মুক্ত করো। সহিংসতা থেকে বিরত থাকো। [সামবেদ-২৭৪]
  • জীবনের প্রতিটি স্তরে অনিয়ন্ত্রিত রাগ-ক্রোধ থেকে দূরে থেকো। [সাববেদঃ ৩০৭]

যজুর্বেদ[সম্পাদনা]

  • হে নেতা ! হে পুরোধা ! ঈশ্বরের গুণাবলীতে গূণান্বিত হও। [যজুর্বেদঃ ১.১৮]
  • স্বর্গীয় জ্যোতি ও আনন্দ উপলব্ধির প্রতীক ‘ওম’ স্পাপিত হোক তোমার হৃদয়ে অনন্তকালের জন্য। [যজুর্বেদঃ ২.১৩ ]
  • কর্কশ স্বরে কথা বলো না, তিক্ত কথা যেন মুখ ফসকে বেরিয়ে না যায়। [যর্জুবেদঃ ৫.৮]
  • হে মানুষ স্বনির্ভর হও ! বাইরের সাহয্যের দাসে পরিণত হয়ো না। [যর্জুবেদঃ ৬.১২]
  • নিজের শত্রুকে বিনাশে সক্ষম এমন উপদেশাবলির প্রতি মনযোগী হও। [যর্জুবেদঃ ৬.১৯]
  • যোগ-ধ্যানের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি জ্ঞান, সৌন্দর্য ও ক্ষমতা। আর স্বর্গীয় জ্যোতিতে স্নাত হয়ে লাভ করি পরম প্রশান্তি ও তৃপ্তি। [যর্জুবেদ-১১.২]
  • হে নেতা ! হে পুরোধা ! পাহাড়ের মত দৃঢ় ও অজেয় হও। কর্তব্য পালনে সব-সময় অবিচল থাকো। [যজুর্বেদঃ ১২.১৭]

অথর্ববেদ[সম্পাদনা]

  • আয় করতে হাতটিকে শতটিতে বৃদ্ধি কর আর দান করতে তাকে সহস্রটিতে রুপান্তরিত কর। [অথর্ববেদ ৩.২৪.৫]
  • হে মানুষ ! সুষম জীবনাচার অনুসরণ করো। ধরিত্রী থেকে আহৃত খাবার ও পানীয় সমভাবে বন্টন করো, একটি চাকার শিকগুলো সমভাবে কেন্দ্রে মিলিত হলে যেমন গতির সন্চার হয়, তেমনি সাম্য-মৈত্রীর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হও। তাহলে অগ্রগতি অবধারিত। [অথর্ববেদ-৩.৩০.৬]
  • হে মানবজাতি ! তোমরা সম্মিলিতভাবে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হও। পারস্পরিক মমতা ও শুভেচ্ছা নিয়ে একত্রে পরিশ্রম করো। জীবনের আনন্দে সম-অংশীদার হও। [অথর্ববেদ-৩.৩০.৭]
  • আদিতে তিনি-ই ছিলেন। সৃষ্টির সবকিছুর উৎসও তিনি-ই। সমগ্র অস্তিত্বের তিনি-ই প্রভূ। আকাশ ও ভূ-মন্ডলে বিরাজমান সবকিছূর তিনি-ই লালনকারী। অন্য কারো কাছে নয়, শুধুমাত্র সেই মহাপ্রভূর কাছেই আমাদের সবকিছূ সমর্পন করছি। [অথর্ববেদ- ৪.২.৭]
  • ধনুকের তীর নিক্ষেপের ন্যায় হৃদয় থেকে ক্রোধকে দূরে নিক্ষেপ করো। তাহলেই তোমরা পরষ্পর বন্ধু হতে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। [অথর্ববেদঃ ৬.৪২.১]
  • হে মানুষ ! উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আন্তরিকতার সাথে পরিশ্রম করো। দারিদ্রতা ও অসুস্হতা তোমার কাছ থেকে পালিয়ে যাবে। [অথর্ববেদঃ ৬.৮১.১]
  • জীবনের প্রতিটি স্তরে সব ধরনের ঋণ থেকে মুক্ত থাকো। [অথর্ববেদঃ ৬.১১৭.৩]
  • ব্রক্ষার সাথে এক হয়ে যাওয়াই পরিপূর্ণ স্বাধীনতা। [ অথর্ববেদ- ৭.১০০.১]
  • হে মানুষ ! ওঠো! দাড়াও ! পতিত হওয়া তোমার স্বভাবজাত নয়। জ্ঞানের আলোকবর্তিকা শুধুমাত্র তোমাকেই দেওয়া হয়েছে যা দিয়ে তুমি সকল অন্ধকূপ এড়িয়ে যেতে পার। [অথর্ববেদঃ ৮.১.৬]
  • সত্যকে তিনি-ই উপলব্ধি করেছেন , যিনি জানেন দৃশ্যমান সুতোর ভেতরে প্রবহমান রয়েছে অদৃশ্য সুতো। [ অথর্ববেদ-১০.৮.৩৭]
  • সত্যজ্ঞানী তিনিই, যিনি জানেন প্রভূ এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্ব বিষয়ে একক ক্ষমতার অধিকারী। প্রাণ এবং নিষ্প্রাণের সব-কিছুই তার নখদর্পণে। সকল ক্ষমতার কেন্দ্র তিনি একক অনন্য। [অথর্ব বেদঃ ১৩.৫.১৪-২১]
  • একজন সমর্পিতের মতো বাচো এবং কাজ করো। তাহলেই তুমি পরিতৃপ্ত সফল জীবনের অধিকারী হতে পারবে। অমর হতে পারবে। [ অথর্ববেদ- ১৫.১৭.১০]
  • অনন্ত প্রশান্তির জন্য আমরা মহাপ্রভূর ধ্যান করি। [অথর্ববেদ-১৯.৯.৪]

বেদ সম্পর্কে উক্তি[সম্পাদনা]

“বেদের আস্তিকতা সহজ সরল নির্ভেজাল একেশ্বরবাদে বিশ্বাস। প্রভূ একক, অদ্বিতীয় এবং সর্ব শক্তিমান। দৃশ্যমান সকল শক্তির পেছনে রয়েছে তারই মহাশক্তি। সকল আলোর নেপথ্যে রয়েছে তার-ই মহাজ্যোতি। অঙ্গের নড়াচড়ায় মানবদেহে আত্নার উপস্হিতি যেমন স্বীকৃত হয়, তেমনি স্রষ্টার সৃষ্টির সুপরিকল্পিত গতিশীলতার দিকে তাকালেই মহাশক্তিমান প্রভূকে আমরা উপলব্ধি করতে পারি।”
স্বামী সত্যপ্রকাশ সরস্বতী।
“ঋগ্বেদ মানবতার সর্বোচ্চ পথের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রদর্শক।”
গুই গুয়ালট
“বেদ হলো মানবসভ্যতার সবচেয়ে মূল্যবান উপহার যার জন্য পাশ্চাত্য সবসময় প্রাচ্যের নিকট কৃতজ্ঞ থাকবে ।”
ভলতেয়ার
“মুল্যবান রত্নগুলো অনন্ত নয় । আদিকালের লোকেরা স্বর্ণ, রৌপ্য, হীরক, স্থাপত্য ব্যবহার করতো নিজেদের অমর করে রাখার জন্য । আর্যগণ সে পথে যাননি, তারা রেখে গেছেন সবচেয়ে বিশাল নিদর্শনটি, শব্দ । মিশরীয়রা অমরত্বের জন্য পিরামিড বানিয়েছিল, আজ তা মরু ঝড়ে ক্ষয়ে গেছে, স্থাপত্য ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে, স্বর্ণ লুট হয়ে গেছে । কিন্তু আজও বেদ মানবসভ্যতার এক অনন্ত তরঙ্গের ন্যায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে ।”
ড. জন লি মি
“এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে বেদের ভাষা শৈলী এতই নিখুঁত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত যে আধুনিক কালে আমাদের মিলটন, শেকসপিয়ার বা টেনিসনকেও এর থেকে কম মনে হয় ।”
আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস
“সকল বুদ্ধিবৃত্তি, রাজনীতি, অর্থনীতি, সকল ধর্মের ধারা বেদ থেকেই প্রবাহিত । এমনকি অসামান্য গ্রীক সভ্যতাকেও এর কাছে হার মানতে হয়েছে ।”
ফ্রেডরিক জন শেলজেল
“বেদ শুধু অসাধারন জীবনদর্শনের জন্যই অবিস্মরণীয় নয় বরং অনবদ্য বিজ্ঞানের জন্যও বটে । বিদ্যুৎ, বিচ্ছুরণ, বিমানবিদ্যা সবই যেন বেদের ঋষিদের জানা ছিল ।”
ইলা হুইলার উইলকক্স
“আশ্চর্য........!

বুঝতে পারলাম যে, যত ঐশ্বরিক গ্রন্থের কথা শোনা যায় তাদের মধ্যে বেদই একমাত্র যার সকল ধারনা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সংগতিপূর্ণ । একমাত্র এটিই জগতের ক্রমান্বয় উন্নতির পথ ঘোষণা করে ।”

লুইস জ্যাকলিয়ট
“যখন আমি বেদ পড়ি তখন এক অপ্রাকৃত আলোক যেন আমায় আলোকিত করে । এটি এমন একটি গ্রন্থ যাতে কোন বিভেদ নেই । এটি সকল দেশ, সকল জাতি, সকল কালের জন্য যেন জ্ঞান অর্জনের এক রাজকীয় পথ ।”
হেনরি ডেভিড থরো
“বেদ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ফলপ্রসূ এবং সবচেয়ে উঁচুমানের বই । যা সারা বিশ্বের সহায় হতে পারে ।”
আর্থার স্কোপেনহাইমার
“পৃথিবীতে বেদ ও উপনিষদের মতো এতো প্রণোদনাপূর্ণ এত অতিমানবীয় গ্রন্থ আর নেই ।”
ম্যাক্স মুলার
“এই শতাব্দীর পূর্ববর্তী সমস্ত শতাব্দীর তুলনায় বেদই সবচেয়ে সুযোগ্য দাবি করতে পারে ।”
রবার্ট ওপেনহাইমার
“বেদ হচ্ছে শল্যবিদ্যা, শারীরবিদ্যা, প্রকৌশল, গণিত, সঙ্গীত, সংস্কৃতি সকল কিছুর এক মিলিত সমাবেশ, যেন এক জীবন্ত বিশ্বকোষ ।”
উইলিয়াম জেমস
“বেদ হচ্ছে সকল সত্য জ্ঞানের উৎস । মহাকর্ষ শক্তি যেমন তা আবিস্কারের আগেও বিদ্যমান ছিল, তেমনি মানবজাতি যদি এটা ভুলেও যায় তারপরও এটা অপরিবর্তিতভাবে বিদ্যমান থাকবে । ঠিক তেমনি বেদ ।”
স্বামী বিবেকানন্দ


আরো দেখুন[সম্পাদনা]

উৎস[সম্পাদনা]

  • পন্ডিত সত্যকাম বিদ্যলংকার -এর ইংরেজী অনুবাদ The Holy Vedas থেকে কিছু বাণীর সরল বাংলা মমার্থ। প্রকাশিত হয় -কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দ্বারা

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  1. বেদশাস্ত্রী, শ্রীদীনবন্ধু, বেদসার, প্রথম সংস্করণ, পৃষ্ঠা ১।
  2. Dr. Ram, Tulsi, RIGVEDA, Volume 1, ISBN : 978-81-7077-155-0, page- 260 & 261।
  3. Dr. Ram, Tulsi, RIGVEDA, Volume 1, ISBN : 978-81-7077-155-0, page- 668, বাংলানুবাদ: বাংলাদেশ অগ্নিবীর।