মীর মশাররফ হোসেন
অবয়ব
মীর মশাররফ হোসেন (নভেম্বর ১৩, ১৮৪৭ - ডিসেম্বর ১৯, ১৯১২) ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তার পুরো নাম সৈয়দ মীর মশাররফ হোসেন। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ। কারবালার যুদ্ধকে উপজীব্য করে রচিত বিষাদ সিন্ধু তার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম।
উক্তি
[সম্পাদনা]- ‘ওহে ধার্ম্মিকবর! আমি ও-সকল কথা অনেক জানি। টাকা যে কি জিনিস, তাহাও ভাল করিয়া চিনি। মুখে অনেকেই ‘টাকা অতি তুচ্ছ’, ‘অর্থ অনর্থের মূল’ বলিয়া থাকে, কিন্তু জগৎ এমনই ভয়ানক স্থান যে, টাকা না থাকিলে তাহার স্থান কোথাও নাই—সমাজে নাই, স্বজাতির নিকটে নাই—ভ্রাতা-ভগ্নীর নিকট একটি কথা বলিবার সুযোগও নাই!
- বিষাদ-সিন্ধু, প্রকাশসাল- ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ (১২৯১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৫২
- টাকা না থাকিলে রাজায় চিনে না, সাধারণে মান্য করে না, বিপদে জ্ঞান থাকে না। জন্মমাত্র টাকা, জীবনে টাকা, জীবনান্তেও টাকা। জগতে টাকারই খেলা।
- বিষাদ-সিন্ধু, প্রকাশসাল- ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ (১২৯১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৫২
- বঙ্গবাসী মুসলমানদের দেশভাষা বা মাতৃভাষা “বাঙ্গালা”। মাতৃভাষায় যাহার আস্থা নাই, সে মানুষ নহে। বিশেষ সাংসারিক কাজকর্ম্মে মাতৃভাষারই সম্পূর্ণ অধিকার। মাতৃভাষায় অবহেলা করিয়া অন্য দুই ভাষায় বিখ্যাত পণ্ডিত হইলেও তাহার প্রতিপত্তি নাই। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, এমনকি প্রাণের প্রাণ যে স্ত্রী, তাহার নিকটেও আদর নাই। অসুবিধাও বিস্তর। ইস্তক ঘরকন্নার কার্য্য নাগাদে রাজসংশ্রবী যাবতীয় কার্য্যে বঙ্গবাসী মুসলমানদের বাঙ্গালা ভাষার প্রয়োজন।
- আমাদের শিক্ষা
- হুতাশনের দাহন-আশা, ধরণীর জলশোষণ-আশা, ভিখারীর অর্থলোভ-আশা, চক্ষুর দর্শন-আশা, গাভীর তৃণভক্ষণ-আশা, ধনীর ধনবৃদ্ধির আশা, প্রেমিকের প্রেমের আশা, সম্রাটের রাজ-বিস্তারের আশার যেমন নিবৃত্তি নাই, হিংসাপূর্ণ পাপ-হৃদয়ে দুরাশারও তেমনি নিবৃত্তি নাই—ইতি নাই। যতই কার্য্যসিদ্ধি, ততই দুরাশার শ্রীবৃদ্ধি।
- বিষাদ-সিন্ধু, প্রকাশসাল- ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ (১২৯১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৫৮
মীর মশাররফ হোসেনকে নিয়ে উক্তি
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় মীর মশাররফ হোসেন সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে মীর মশাররফ হোসেন সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।