রামকুমার মুখোপাধ্যায়

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
পারলে গোধূলির এই রং গণ্ডূষে শুষে নিত ধনপতি। ওই কেশ-কালা ফিঙেটির মতো দোল খেত কর্ণের মাথায়। পশ্চিমের কমলা সূর্যের মতো দিন-শেষে ডুবে যেত ভ্রমরার জলে। গিরিমাটি রঙে রাঙিয়ে দিত আকাশের কোল।
—রামকুমার মুখোপাধ্যায়
নীরব গিরিলোক। পতঙ্গের কণ্ঠধ্বনি বায়ুতে। ধীর পদে হর দেহলিতে। সেখানে উপবিষ্টা পার্বতী। হরযোগীর করতলের করোটীখানি উত্থিতপার্বতী সমুখে। হর কণ্ঠে প্রার্থনা:
অন্নদা অন্নং দেহি।

রামকুমার মুখোপাধ্যায় (জন্ম ৮ মার্চ ১৯৫৬) ভারতের একজন বাঙালি লেখক। তিনি বড় ও ছোটদের জন্য ছোটগল্প, উপন্যাস এবং ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন। ভারতের সাহিত্য অকাদেমির সহকারী সম্পাদক হিসেবে তার কর্মজীবনের শুরু। পরে পূর্ব ভারতের সচিব হিসেবে চৌদ্দ বছর ছিলেন। তিনি সাহিত্য অকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক হন। ভারতীয় ভাষা পরিষদের সভাপতিও ছিলেন। বিশ্বভারতীর প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার পালন করেছেন। বেশ কয়েকটি বাংলা লিটল ম্যাগাজিনেও তার অবদান রয়েছে। ১৯৮৪ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত "মাদলে নাতুন বোল" নামে তার চৌদ্দটি ছোটগল্পের প্রথম সংকলন প্রকাশিত হয়। ১৯৯৩ সালে তার প্রথম উপন্যাস "চারণে প্রান্তরে" প্রকাশিত হয়। তার লেখা দশটিরও বেশি উপন্যাস রয়েছে। ছোটগল্প সংকলনের বইয়ের এগারোটি। নতুন চীনে এবং ওই বাংলায় নামে দুটি ভ্রমণকাহিনীও রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি কিশোর সাহিত্য, অনূদিত গ্রন্থ এবং প্রবন্ধের বই রয়েছে। ধনপতির সিংহলযাত্রা উপন্যাসটির জন্য তিনি ২০১৩ সালে আনন্দ পুরস্কার পান।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • মাংস খাবেন দুদিন, ভাত খাবেন নিত্যদিন। সকালে খাবেন, দুপুরে খাবেন, রাতে খাবেন। শুধু নিজে খেলে চলবেনি, মাগকেও খাওয়াতে হবে। ভাত থেকে ভাতার।
    • দুখে কেওড়া উপন্যাস, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স, প্রথম প্রকাশ- ২০০২ খৃস্টাব্দ, পৃষ্ঠা ২২
  • পারলে গোধূলির এই রং গণ্ডূষে শুষে নিত ধনপতি। ওই কেশ-কালা ফিঙেটির মতো দোল খেত কর্ণের মাথায়। পশ্চিমের কমলা সূর্যের মতো দিন-শেষে ডুবে যেত ভ্রমরার জলে। গিরিমাটি রঙে রাঙিয়ে দিতে আকাশের কোল।
    • ধনপতির সিংহলযাত্রা উপন্যাস, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স, ২০১০ খৃস্টাব্দ, পৃষ্ঠা ১৩
  • নীরব গিরিলোক। পতঙ্গের কণ্ঠধ্বনি বায়ুতে। ধীর পদে হর দেহলিতে। সেখানে উপবিষ্টা পার্বতী। হরযোগীর করতলের করোটীখানি উত্থিতপার্বতী সমুখে। হর কণ্ঠে প্রার্থনা:
    অন্নদা অন্নং দেহি।
    • হর-পার্বতী কথা, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স, ২০২০ খৃস্টাব্দ, পৃষ্ঠা ৩২১
  • বাড়ির শরীরে ক্ষয় ধরলে পেঁচা আসে। ইমারতের দেহে বটবৃক্ষ জাগলে পেঁচা সেখানে বাসস্থান খোঁজে। লালবাড়ির গায়ে শ্যাওলার সবুজ স্তর জমলে পেঁচা উঁকি দেয় চিলেকোঠায়। আঁধার রাতে অশরীরী আত্মার পিছু নেয় পেঁচা, সহাবস্থানের ইচ্ছেয়। পার্ক স্ট্রীটের কত ফিরিঙ্গি বাড়িতেই ঘর বেঁধেছিল রাতের এই কারিগর।
    • পেঁচা গল্প, গল্পসমগ্র, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স, ২০১৩ খৃস্টাব্দ, পৃষ্ঠা ৩৯২

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]