রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী
অবয়ব
আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী (২০ আগস্ট ১৮৬৪ - ৬ জুন ১৯১৯) বাংলা ভাষার একজন বিজ্ঞান লেখক। তিনি ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার জেমো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম গোবিন্দসুন্দর এবং মা চন্দ্রকামিনী। বাংলা ভাষার চর্চার জন্য রামেন্দ্রসুন্দর বিখ্যাত হয়েছেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- ভাষা নিত্য পরিবর্তনশীল হইলে তাহাকে আর ভাষা বলা চলে না। নিত্য পরিবর্তনশীল ভাষায় মানুষের কাজ চলে না। অধিকন্তু উহা একটা যন্ত্রণা হইয়া দাঁড়ায়। সুতরাং পরিভাষা স্থায়ী হওয়া আবশ্যক; কালসহকারে তাহার সংস্কার হোক ক্ষতি নাই; কিন্তু আকস্মিক ও মৌলিক পরিবর্তন বাঞ্ছনীয় নহে।
- রাসায়নিক পরিভাষা, রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র, প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪৯
- জগতে যতগুলা সত্য মানিতে হয়, তার মধ্যে একটা সত্য সকলের উপর সত্য। আর সকলই তার নীচে। আমি আছি, ইহা অপেক্ষা সত্য কথা আর দ্বিতীয় নাই। মনোবিজ্ঞানের প্রথম স্বতঃসিদ্ধ এই। জীবনযাত্রার আরম্ভ ইহাতেই বিশ্বাসে। এবং এই সত্যে বিশ্বাস করিয়া নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখিতে হইলে আরও কতকগুলা সতো বিশ্বাস করিতে হয়। যাহাতে বিশ্বাস না করিলে জীবনযাত্রা চলে না, বা নিজের অস্তিত্ব টিকে না, তাহারই নাম সত্য।
- জগতের অস্তিত্ব, জিজ্ঞাসা- রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, প্রকাশক- মজুমদার লাইব্রেরি, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩১০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮-৯
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীকে নিয়ে উক্তি
[সম্পাদনা]- বাংলার লেখকমণ্ডলীর মধ্যে সাধারণত লিপিনৈপুণ্যের অভাব দেখা যায় না; কিন্তু স্বাধীন মননশক্তির সাহস ও ঐশ্বর্য অত্যন্ত বিরল। মনন ও রচনারীতি সম্বন্ধে রামেন্দ্রসুন্দরের দুর্লভ স্বাতন্ত্র্য ছিল। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তাঁহার সেই খ্যাতি বিলুপ্ত হইবে না। বিদ্যা তাঁহার ছিল প্রভূত, কিন্তু সেই বিদ্যা তাঁহার মনকে চাপা দিতে পারে নাই। তিনি যাহা বলিতেন, তাহার বিষয়বিচারে অথবা তাহার লেখন-প্রণালীতে অন্য কাহারো অনুবৃত্তি ছিল না।
- রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিসংকলনে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী রচিত অথবা সম্পর্কিত রচনা রয়েছে।