শেখ জমিরুদ্দীন
অবয়ব
শেখ জমিরুদ্দীন (১৮৭০ – ২ জুন ১৯৩৭) বাংলার একজন লেখক ও ইসলাম প্রচারক ছিলেন। শিক্ষা জীবনের এক পর্যায়ে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে তিনি পুনরায় ইসলাম ধর্মে ফিরে আসেন এবং মুনশী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহর সাথে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি পুস্তক রচনা, পত্রিকায় লেখালেখি ও বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে ধর্ম প্রচার করতেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- ইসাই দিনেতে আমি না পে'য়ে নাজাত৷
কালেমা পড়িনু মুখে একিনের সাত॥- আমার জীবনী ও ইস্লাম-গ্রহণ বৃত্তান্ত গ্রন্থের প্রচ্ছদে শেখ জমিরুদ্দীন
(আমার জীবনী ও ইস্লাম-গ্রহণ বৃত্তান্ত (PDF)। কলিকাতা: মোহাম্মদ উমরুদ্দীন চৌধুরী। ১৩১৪।)
- আমার জীবনী ও ইস্লাম-গ্রহণ বৃত্তান্ত গ্রন্থের প্রচ্ছদে শেখ জমিরুদ্দীন
- হায় হায় হায়! হৃদে ফেটে যায়!
অকালে সে মহাজন,
কাঁদায়ে সবায়, চলিলেন হায়,
আঁধারিয়া এ ভুবন।- মেহেরুল্লাহ্-স্মরণে, শোকানল (১৩১৬)
(আবুল আহসান চৌধুরী (১৩৯৫)। মুন্শী শেখ জমিরুদ্দীন। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৯৪।)
- মেহেরুল্লাহ্-স্মরণে, শোকানল (১৩১৬)
শেখ জমিরুদ্দীন সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- হিন্দু সমাজকে শতাব্দীর শুরুতে এ ধরনের খ্রীস্টানধর্ম-মুখিতা থেকে বাঁচিয়েছিলেন রামমোহন। শতাব্দী শেষে মুসলমানদের মধ্যে আন্দোলন আরম্ভ করেন যশোর নিবাসী বাগ্মীপ্রবর মুন্সী মেহেরুল্লাহ এবং তাঁরই হাতে দীক্ষিত ধর্মান্তর গ্রহণকারী মুন্সী মোহাম্মদ জমিরুদ্দীন। এঁদের প্রধান অবলম্বন ছিল ওয়াজ।
- মুহম্মদ আবদুল হাই; সৈয়দ আলী আহসান (১৯৭৯)। "ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতিমূলক রচনা"। বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত। ঢাকা: আহমদ পাবলিশিং হাউস। পৃষ্ঠা ৯৯। আইএসবিএন 984110434X।
- ইসলাম ধর্ম প্রচারে শেখ জমিরুদ্দীন দ্বিমুখী অভিযান চালান―বক্তৃতা দান ও পুস্তক প্রবন্ধ প্রণয়ন। অন্যের আঘাত-আক্রমণ থেকে ইসলামকে রক্ষা করা, ইসলামের মহিমা প্রচার করা, অবিশ্বাসীদের ইসলামে দীক্ষা দেওয়া, ধর্মবোধে মুসলমানদের জাগ্রত করা―এক কথায় ইসলামীকরণ এবং তদ্দ্বারা সমাজের পুনর্জাগরণ―এই ছিল শেখ জমিরুদ্দীনের মুখ্য ব্রত।
- ডক্টর ওয়াকিল আহমদ (১৯৮৩)। উনিশ শতকে বাঙালী মুসলমানের চিন্তা-চেতনার ধারা। প্রথম খণ্ড। নিউ দিল্লী: সাহিত্য অকাদেমী। পৃষ্ঠা ৩৪২।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় শেখ জমিরুদ্দীন সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে শেখ জমিরুদ্দীন সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিসংকলনে শেখ মোহাম্মদ জমিরুদ্দিন রচিত অথবা সম্পর্কিত রচনা রয়েছে।