সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
অবয়ব
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০ - ১৯৩১) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক ও কবি। তিনি উনবিংশ ও বিংশ শতকে বাঙালি মুসলিম পুনর্জাগরণের প্রবক্তাদের একজন। তিনি মুসলিমদের জন্যে বিজ্ঞানসাধনা, মাতৃভাষাচর্চা, নারীদের শিক্ষা এসবের পক্ষে লেখালেখি করেন। তার অনল-প্রবাহ কাব্যগ্রন্থটি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে এবং স্বাধীনতার জন্য লিখে উপমহাদেশের প্রথম কবি হিসেবে কারাবন্দী হন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আর ঘুমিও না নয়ন মেলিয়া
উঠরে মোস্লেম উঠরে জাগিয়া
আলস্য জড়তা পায়েতে ঠেলিয়া,
পূত বিভু নাম স্মরণ করি।- অনল প্রবাহ
- জাতীয় উন্নতি সাধন কারণ
উৎসর্গ করবে স্বকীয় জীবন,
হবে ধন্য মান্য—মানব জনম
চিরদিন বিশ্বে অমর রবে।- অনল প্রবাহ
- আল্ হামরা কবিত্বের বিরাট নন্দনকানন। তাহার কক্ষে কক্ষে বক্ষে বক্ষে অনন্ত সৌন্দর্য্য অনন্ত ঐশ্বর্য্য এবং অনন্ত কারুকৌশলের বিপুল পরিচয়! সে কাহিনী বর্ণনা করিতে মহা কবির লেখনীও অক্ষম।
- স্পেনীয় মুসলমান সভ্যতা (অষ্টম অধ্যায়)
সিরাজী সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- ...আজ সিরাজগঞ্জে আসিয়া সর্বপ্রথম অভাব অনুভব করিতেছি, আমাদের মহানুভব নেতা, বাংলার তরুণ মুসলিমের প্রথম অগ্রদূত, তারুণ্যের নিশান, বর্দার মওলানা সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাহেবের কথা। সিরাজগঞ্জের সিরাজীর সঙ্গে বাংলার সিরাজ, বাংলার প্রদীপ নিভিয়া গিয়াছে। যাঁহার অনল প্রবাহ-সম বাণীর গৈরিক নিঃশ্রাব জ্বালাময়ী ধারা মেঘ-নিরন্ধ্র গগণে অপরিমাণ জ্যোতি সঞ্চার করিয়াছিল, নিদ্রাতুর বঙ্গদেশ উন্মাদ আবেগ লইয়া মাতিয়া উঠিয়াছিল, অনল প্রবাহের সেই অমর কবির কণ্ঠস্বর বাণীকুঞ্জে আর শুনিতে পাইব না।
- বঙ্গীয় মুসলিম তরুণ সম্মেলন (১৯৩২)-এ সিরাজীর স্মৃতিচারণায় কাজী নজরুল ইসলাম (তরুণের সাধনা প্রবন্ধ থেকে)
- শিরাজী, তোমারে দেখিয়াছি আমি সেই সে বেশে
নতুন যুগের অগ্রপথিক, দাঁড়ালে এসে
মৃত্যু কাতর জাতির দুয়ারে, আঘাত হানি
জাগাইলে তারে, শুনাইলে নব জীবনবাণী
খুদার জ্যোতিতে জালালে ‘অনল প্রবাহ’ তুমি
পুড়ে গেল যত জঞ্জাল-পাক হ’ল এ ভূমি।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।