সংগ্রাম (১৯৭৪-এর চলচ্চিত্র)
অবয়ব
সংগ্রাম হল চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ও কাজী সবুজ প্রযোজিত ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী যুদ্ধ নাট্য চলচ্চিত্র। এটি খালেদ মোশাররফের একটি দিনলিপিতে লেখা সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অবদানকে দেখানো হয়েছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমরা সাধারণ। আমাদের কাছে আবেগ আর অনুভূতিটাই সবচেয়ে বড়। কিন্তু ভাইয়া, তোমরা তো অসাধারণ। তোমরা সৈনিক, সবার উপরে বাঙালী। তোমাদের হাতে অস্ত্র, অথচ দেশের এই চরম মূহুর্তে তোমরা নির্বিকার! ভয়ে শামুকের মতো গুটিয়ে আছো। অনুভূতি তোমাদের ভোঁতা হয়ে গেছে! হুহ, তোমরা কি বুঝবে আবেগ আর অনুভূতির দাম কতখানি।
- অসহযোগ আন্দোলনের সময় বিতর্ক কালে ক্যাপ্টেন আসাদকে তার বোন মুক্তা
- বাংলার মাটি থেকে যদি হানাদারদের নির্মূল করতে না পারি তবে তোমার ছেলে আর কোনদিন ফিরে আসবেনা।
- রিক্তাকে উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় ক্যাপ্টেন আসাদ তার মাকে
- রক্ত দিয়েই রক্তের প্রতিশোধ নিতে হবে।
- হাসপাতালে আহত এক মুক্তিযোদ্ধাকে মেজর হাসান
- একবার একদল মুক্তিবাহিনী একরকম নিরস্ত্র অবস্থায় হটাৎ করে পাকসেনাদের মুখোমুখি পড়ে গিয়েছিল। ঠিক সেই অবস্থায় ওদের বাঁচার কোন উপায়ই ছিল না। তাদের সঙ্গে একটি মেয়েও ছিল। সে কি করলো জানেন? হটাৎ শত্রুদের বিভ্রান্ত করার জন্যে ও তাদের সামনে ছুটে বেরিয়ে গেল অন্য দিকে। সবাই বেঁচে গেল, কিন্তু মেয়েটি তার সর্বস্ব হারাল... হ্যাঁ, সে শুধু মহৎই নয়, সে আমাদের সবার গর্ব। ও আমার বোন, ও তোমার বোন।
- মুক্তার অবদানকে ইঙ্গিত করে মুক্তিযোদ্ধাদের ডাক্তার কবীর
কুশীলব
[সম্পাদনা]- মেজর হাসানের চরিত্রে দারাশিকো
- ক্যাপ্টেন আসাদের চরিত্রে খসরু
- আসাদের বোন মুক্তার চরিত্রে সুচন্দা
- মুক্তার বন্ধু রিক্তার চরিত্রে নূতন
- মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের ডাক্তার কবির চরিত্রে সৈয়দ হাসান ইমাম
- একজন পাঞ্জাবি কর্মকর্তার চরিত্রে খলিল
- রাজাকার দলিলউদ্দিনের চরিত্রে এটিএম শামসুজ্জামান
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈন্যরা
- শেখ মুজিবুর রহমান চরিত্রে নাম ভূমিকায় (বিশেষ চরিত্র)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় সংগ্রাম সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।