সমাজ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

সমাজ বলতে মূলত এমন এক ব্যবস্থা বোঝায়, যেখানে একাধিক চরিত্র একত্রে কিছু নিয়ম-কানুন প্রতিষ্ঠা করে একত্রে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলে। মানুষের ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি একত্র হয়ে লিখিত কিংবা অলিখিত নিয়ম-কানুন তৈরি করে; এরকম একত্র বসবাসের অবস্থাকে সমাজ বলে।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • সর্ব্বদেশে তরুণ সমাজ অসন্তুষ্ট ও অসহিষ্ণু হইয়া উঠিয়াছে। তাহার যাহা চায় তাহা পায় না। যে আদর্শকে তাহারা ভালবাসে সে আদর্শ বাস্তবের মধ্যে মূর্ত্ত করিয়া তুলিতে পারে না।
  • আজ আমাদের দেশে জল নাই বলিয়া যে আমরা আক্ষেপ করিতেছি, সেটা সামান্য কথা। সকলের চেয়ে গুরুতর শোকের বিষয় হইয়াছে—তাহার মূল কারণটা। আজ সমাজের মনটা সমাজের মধ্যে নাই। আমাদের সমস্ত মনোযোগ বাহিরের দিকে গিয়াছে।
  • আমাদের দেশে কল্যাণশক্তি সমাজের মধ্যে। তাহা ধর্ম্মরূপে আমাদের সমাজের সর্ব্বত্র ব্যাপ্ত হইয়া আছে। সেইজন্যই এতকাল ধর্ম্মকে, সমাজকে বাঁচানোই ভারতবর্ষ একমাত্র আত্মরক্ষার উপায় বলিয়া জানিরা আসিয়াছে। রাজত্বের দিকে তাকায় নাই, সমাজের দিকেই দৃষ্টি রাথিয়াছে। এইজন্য সমাজের স্বাধীনতাই যথার্থভাবে ভীরতবর্ষের স্বাধীনতা। কারণ, মঙ্গল করিবার স্বাধীনতাই স্বাধীনতা, ধর্ম্মরক্ষার স্বাধীনতাই স্বাধীনতা।
  • মানব-সমাজকে পূর্ণতম বিকাশের অবস্থায় পৌঁছিতে হইলে ক্রমবিকাশের তিনটি স্তরের ভিতর দিয়া যাইতে হয়। প্রথমটি হইতেছে সেই অবস্থা, যখন সমাজের অনুষ্ঠান ও কর্ম্মসমূহ তাহার স্বাভাবিক জীবনলীলা হইতে স্বতঃস্ফূর্ত্ত হইতেছে। তখন সমাজের সকল বিকাশ, সকল গঠন, রীতিনীতি, অনুষ্ঠান জীবনের স্বাভাবিক বিন্যাসে সংবৃদ্ধ হইয়া উঠিতেছে।
  • [...]মেয়েদের সম্বন্ধে সমাজ আপনিই এটা ধরিয়া লইয়াছে যে, মেয়েদের পক্ষে ভালোবাসাটাই সহজ। তাই মেয়েদের সম্বন্ধে নিয়ম ভালোবাসার নিয়ম। সমাজ তাই মেয়েদের কাছে এই দাবি করে যে, তারা এমন করিয়া কাজ করিবে যেন তারা সংসারকে ভালোবাসিতেছে। বাপ মা ভাই বোন স্বামী ও ছেলেমেয়ের সেবা তারা করিবে। তাদের কাজ ভালোবাসার কাজ, এইটেই তাদের আদর্শ।
  • একটি সমাজ যত বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত, তার আইনের সংখ্যা তত বেশি।
    • এডওয়ার্ড অ্যাবে, এ ভয়েস ক্রাইং ইন দ্য ওয়াইল্ডারনেস (ভক্স ক্ল্যামান্টিস ইন ডেজার্ট) (১৯৯০)।
  • যে ব্যক্তি সমাজে থাকতে পারে না, বা প্রয়োজন নেই কারণ সে স্বাবলম্বী, সে হয়তো পশু বা দেবতা।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]