বিষয়বস্তুতে চলুন

সুরেশচন্দ্র সমাজপতি

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

সুরেশচন্দ্র সমাজপতি (৩০ মার্চ ১৮৭০ - ১ জানুয়ারি ১৯২১) ছিলেন ভারতীয় বাঙালি লেখক, সাহিত্য সমালোচক ও সম্পাদক। সাহিত্য কল্পদ্রুম মাসিক পত্রিকার সপ্তম সংখ্যা (মাঘ ১২৯৬ বঙ্গাব্দ) থেকে তিনি সম্পাদনা শুরু করেন। এই পত্রিকা এপ্রিল, ১৮৯০ (১২৯৭ বঙ্গাব্দ) হতে সাহিত্য নামে প্রকাশিত হয় এবং এর সম্পাদক হিসাবে সাহিত্যজগতে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। এই পত্রিকাকে আশ্রয় করে একটি শক্তিশালী লেখকগোষ্ঠী গড়ে ওঠে। তদানীন্তন লব্ধপ্রতিষ্ঠ প্রায় সকলের রচনাই পত্রিকায় স্থান পেত। সেজন্য সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সত্যই সাহিত্যজগতের সমাজপতি ছিলেন।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • বাংলা দেশে রাম-শ্যাম সবাই বক্তা হতে চান। কিন্তু ঐ বক্তৃতাগুলি যদি গ্রামোফোনের রেকর্ডে তুলে রাম-শ্যামদের আবার শোনাতে পারা যায়, তাহলে হয়তো তাঁদের কিঞ্চিৎ আক্কেল হতে পারে।

সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পর্কে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • পুণ্যকীর্তি বিদ্যাসাগরের দৌহিত্র বলেই সুরেশচন্দ্র বিশ্রুতনামা হন নি। তাঁর যশের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে মাসিকপত্র “সাহিত্য”। তরুণ যৌবন থেকে মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি কায়মনোবাক্যে “সাহিত্য”-এর সেবা করে গিয়েছেন। পত্রিকা সম্পাদনে এমন অক্লান্ত আন্তরিকতা দুর্লভ। সুদিনে এবং দুর্দিনে “সাহিত্য”ই ছিল তাঁর ধ্যান, জ্ঞান, প্রাণ।
  • গল্পরচনায় এমন দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও কেন যে তিনি লেখনী ত্যাগ করলেন জানি না। কারণ হয়তো কুড়েমি। তা না হলে আজ তিনি কথাসাহিত্যেও স্থায়ী যশ অর্জন করতে পারতেন।
  • তিনি আরও বড় হতে পারতেন, কিন্তু আলস্য তাঁকে আর বড় হতে দেয় নি।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]