কবীর চৌধুরী
অবয়ব
কবীর চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেশের জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী নামে সমধিক পরিচিত; তার ডাকনাম মাণিক। কবীর চৌধুরীর ছোট ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী। তিনি জীবন, শিল্প, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি নানা বিষয় নিয়ে লিখতেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- স্মৃতি সতত সুখের। স্মৃতি অনেক সময় প্রতারকও বটে। তবু স্মৃতি মানুষের এক চমৎকার সম্পদ। অবশ্য একটু বয়স না হলে এ সম্পদের যথার্থ মূল্যায়ন করা যায় না এবং বয়স যত বাড়তে থাকে, স্মৃতি যেন তত দূর অতীতের গর্ভে সরে যেতে থাকে।
- কবীর চৌধুরী, আমার ছোটবেলা, পৃষ্ঠা ১
- ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী বেনিয়া শক্তির সামনে স্বাধীন বাঙলার সূর্য ডুবে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে সিরাজদ্দৌলা শেষ বারের মতো লড়াই করার জন্য ডাক দিয়েছিলেন হিন্দু-মুসলমান উভয়কে।আমাদের ঐতিহ্য তো মীর মদন ও মোহন লালের, তিতুমীর ও মঙ্গল পাণ্ডের, গোবিন্দ দেব ও মুনীর চৌধুরীর।তবে কেন এখন এরকম ঘটছে?পাকিস্তানি আমলের ধর্মের নামে নৃশংসতার ইতিহাস ভুলে যাওয়া কি এতই সহজ?
- কবীর চৌধুরী, জয়তু পহেলা বৈশাখ, বাংলাদেশের উৎসব: নববর্ষ, পৃষ্ঠা ২০২
- স্কুলজীবনের বহু টুকরো টুকরো স্মৃতি আজও মনে উজ্জ্বল হয়ে জেগে আছে।
- কবীর চৌধুরী, আমার ছোটবেলা, পৃষ্ঠা ৬৪
- পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালির এক অনন্য উৎসব, তার অন্যতম জাতীয় উৎসব। এর ঐতিহ্য সুপ্রাচীন ও গৌরবমণ্ডিত।
- কবীর চৌধুরী, জয়তু পহেলা বৈশাখ, বাংলাদেশের উৎসব: নববর্ষ, পৃষ্ঠা ২০০
- স্কুলজীবনের মতো কলেজ জীবনেও পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা, আবৃত্তি, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে আমার প্রচুর উৎসাহ ছিল। পিংপং তথা টেবিল টেনিসে মশিহুর রহমানের কাছে হেরে যাই। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা আজও মনে আছে।
- কবীর চৌধুরী, আমার ছোটবেলা, পৃষ্ঠা ১০১
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় কবীর চৌধুরী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।