বিষয়বস্তুতে চলুন

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার (১৮৩৪ - ১৯০৭) বাঙালি স্বনামধন্য কবি। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার অধুনা বাংলাদেশের খুলনা জেলার সেনহাটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মাণিক্যচন্দ্র। তিনি "কবিতা কুসুমাবলি" নামে একটি কবিতা-প্রধান পত্রিকা প্রকাশ করেন (১৮৬০)। তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ "সদ্ভাব শতক" (ঢাকা ১৮৬১)। বইটির অধিকাংশ কবিতা নীতিমূলক, সফী এবং হাফিজের ফার্সি কবিতার অনুসরণে রচিত। তাঁর আত্মকথা "রা.সের ইতিবৃত্ত" (১৮৬৮) অকপট আত্মবিবরণের আদর্শস্থানীয়। তাঁর প্রবন্ধাবলী, "কৈবল্য তত্ত্ব" (কুমারখালি ১৮৮২)। এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি কাঙাল হরিনাথ - এর গ্রামবার্তা প্রকাশিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
    দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
    • সদ্ভাব শতক - দুঃখ বিনা সুখ হয় না
  • চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন
    ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?
    কি যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে
    কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে?
    যতদিন ভবে, না হবে না হবে,
    তোমার অবস্থা আমার সম;
    ঈষৎ হাসিবে শুনে না শুনিবে,
    বুঝে না বুঝিবে, যাতনা মম।
    • সদ্ভাব শতক - সুখী দুঃখীর দুঃখ বুঝে না।
  • যেজন দিবসে, মনের হরষে
    জ্বালায় মোমের বাতি;
    আশু গৃহে তার দখিবে না আর,
    নিশিতে প্রদীপ ভাতি।
    • সদ্ভাব শতক - অপব্যয়ের ফল।
  • যে প্রেমিক সাহস-মাতঙ্গপরি চড়ি
    সহিষ্ণুতা দৃঢ়বর্মে সর্বাঙ্গ আবরি,
    নির্ভয়ে প্রবেশে প্রেম-বিপিন মাঝার,
    নিরাশা-কন্টক নাহি ফুটে দেহে তার;
    বিরহ-শার্দুল নারে গ্রাসিবারে তায়,
    প্রিয়-প্রেম-সুখ-মৃগ দরিতে সে পায়।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]